বঙ্গীয় ক্ষত্রিয় রাজবংশী সমিতির পক্ষ থেকে রায় সাহেব ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার ৮৭ -তম তিরোধান দিবস পালন কুশমন্ডি।
1 min readবঙ্গীয় ক্ষত্রিয় রাজবংশী সমিতির পক্ষ থেকে রায় সাহেব ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার ৮৭ -তম তিরোধান দিবস পালন কুশমন্ডি।
লোকনাথ সরকার, কুশমন্ডি, ৯ সেপ্টেম্বর গোটা উত্তরবঙ্গের মতোই শ্রদ্ধার সাথে কুশমন্ডিতেও পালিত হলো রাজবংশী ভাষার জনক রায় সাহেব ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার ৮৭ -তম তিরোধান দিবস। এদিন কুশমন্ডি ব্লক প্রাঙ্গণে বঙ্গীয় ক্ষত্রিয় রাজবংশী সমিতির পক্ষ থেকে রায় সাহেব ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার তিরোধান দিবস পালন করা হয়। কুশমন্ডি ব্লকেরবিডিও অমরজ্যোতি সরকার মহাশয় রায় সাহেব পঞ্চানন বর্মার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে, এবং প্রদ্বীপ জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।রায় সাহেব ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার ৮৭ -তম তিরোধান দিবসে। কুশমন্ডি ব্লকের বিডিও অমরজ্যোতি সরকার বলেন। আমরা সকল রাজবংশীরা যাতে পঞ্চানন বর্মার জীবনী মেনে চলি। এবং তিনে যে যে কাজ গুলো করে গেছেন তার মূল্য রাখতে পারি।বঙ্গীয় ক্ষত্রিয় রাজবংশী সমিতির সম্পাদক খগেন্দ্রনাথ সরকার (খুশি) জানান। তিনিও একি বার্তা দেন। যাতে রায় সাহেব ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জীবনী মেনে চলি, তার কাজ কর্ম মেলে চলি সকলেই।
এবং সব থেকে বড়ো কথা হচ্ছে, পঞ্চনন বর্মা যে ভাষা প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন সেই ভাষা যাতে রাজবংশীরা সকলেই মেনে চলি।তিনি বলে সব থেকে বড়ো দুঃখের বিষয় হলো। আমরা রাজবংশী হয়েও আমরা আমাদের নিজের ভাষাকে সন্মান করছি না! এবং কি নিজের ভাষাকেই ভুলে যাচ্ছে বহু রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ।
আজ আমরা শিক্ষিত মানুষেরাই লজ্জা করছি নিজের ভাষায় কথা বলেতে। যে জায়গায় রাজ্য সরকার রাজবংশী ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। রাজবংশী ভাষা অ্যাকাদেমি গঠন করেছে। তার সত্বেও আমরা নিজের ভাষাকে অসম্মান করছি না। এটা যাতে আমরা রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষেরা না করি। সে জন্য হাত জোর করে অনুরোধ করেন সকলের কাছে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুশমন্ডি ব্লকের বিডিও অমরজ্যোতি সরকার মহাশয়, বঙ্গীয় ক্ষত্রিয় রাজবংশী সমিতির সভাপতি প্রাণনাথ সরকার, সম্পাদক খগেন্দ্রনাথ সরকার (খুশি), দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা যুব তৃণমূল নিরংগ্রেস সভাপতি অম্বরিষ সরকার, জিতেন্দ্রনাথ সরকার সহ সমিতির সদস্যরা।