খোদ পুলিশ কর্মীর এ টি এম থেকে খোয়া গেল নব্বই হাজার,হলোনা এখনো কোন কিনারা?
1 min readখোদ পুলিশ কর্মীর এ টি এম থেকে খোয়া গেল নব্বই হাজার,হলোনা এখনো কোন কিনারা?
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১৯জুলাই:উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরে বেশ কিছুদিন থেকেই সম্ভবত একটি স্থানীয় চক্র মাঝে মধ্যেই সাধারণ মানুষের অতি কষ্টের জমানো টাকা আত্মসাৎ করার ক্ষেত্রে ব্যাপক সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।এবার যারা মানুষের সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্বে থাকে সেই একজন পুলিশ কর্মীর জমানো নব্বই হাজার টাকা এ টিম থেকে তুলে নিয়ে চম্পট দিলেও কালিয়াগঞ্জ থানা তার কোন কিনারা করতে ব্যার্থ হল বলে জানা যায় ।ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াগঞ্জ শহরের শান্তি কলোনীর বাসিন্দা ৫নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ কর্মী সুবল রায়ের ক্ষেত্রে।
এ টি এম থেকে টাকা উধাওয়ের ঘটনাটি ঘটে কালিয়াগঞ্জ শহরের এস বি আই এর তালতলার এ টি এ মে।এস বি আই ব্যাঙ্কের আমানত কারী সুবল চন্দ্র রায় বলেন গত ১০ই জুলাই তিনি দুবারে এ টি এম থেকে ১৮হাজার টাকা তোলেন।যখন তিনি টাকা তোলেন তখন এ টি এ মে থাকা এক যুবক নিজেকে এ টি এমের গার্ড বলে তার পরিচয় দিয়ে সুবল বাবুর সাথে কথা বলেন।সেই সময় তথাকথিত গার্ড সুবল বাবুকে বলেন আমাকে কার্ডটি দিন আমি আপনাকে টাকা তুলে দিচ্ছি।তখন সুবলবাবুর কাছ থেকে কার্ডটি নিয়ে এ টি এমে ঢুকিয়ে পরক্ষণেই বলে টাকা বের হলোনা।তখন ঐ যুবক সুবল চন্দ্র রায়ের পরিবর্তে সুভাষ চন্দ্র রায়ের একটি কার্ড দিয়ে তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে চলে যায়।যাবার পরে সুবল বাবু দেখেন ওটা তার এ টিম কার্ড নয়।ওটা অন্য জনের কার্ড।নাম সুভাষ রায়।
সেই সময় বুঝতে পারেন নি ।যেহেতু তার নামের প্রথম অক্ষর এবং পদবি এক থাকায়।পরে এই ঘটনা এস বি আই এর কালিয়াগঞ্জ এ ডি বি শাখার ম্যানেজারবাবুকে সমস্ত ঘটনা জানালে তিনি সুবল বাবুর একাউন্টের সমস্ত তথ্য দেবার সময় দেখেন কালিয়াগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এটিএম থেকে আটবার সুবল বাবুর একাউন্ট থেকে নব্বই হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। সুবলবাবু তার একাউন্টে মাত্র ৪৩৫টাকা ব্যালেন্স দেখে তার মাথায়।বাজ পরে।।সুবলবাবু বলেন তালতলার এটিএম থেকে তিনি ১৫টি এ টি এম কার্ড পাওয়ায় তিনি অবাক হয়ে গেছেন বলে জানান।এত এ টি এম কার্ড সেখানে কি ভাবে থাকে।সুবল বাবু এ টি এম কাউন্টারের ফুটেজ দেখে প্রতারককে গ্রেপ্তারের দাবি ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজারের কাছে করেন বলে জানা যায়।কালিয়াগঞ্জ থানার আই সি দীপাঞ্জন দাস সাংবাদিকদের বলেন তিনি অভিযোগ পেয়ে তার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন বলে জানান।এই ঘটনায় কালিয়াগঞ্জ শহরের মানুষদের মধ্যে চরম আতঙ্ক শুরু হয়েছে বলে জানা যায়।কালিয়াগঞ্জে এ টি এম থেকে টাকা আত্মসাৎ করবার ব্যাপারে যে একটি বড় চক্র বেশ কিছু দিন থেকেই এই কাজ করে যাচ্ছে তা পরিষ্কার।।কালিয়াগঞ্জ ক্রেতা সুরক্ষা সমিতির সভাপতি কানাই শেঠ জানতে পেরে বলেন তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী বৃহস্পতিবার কালিয়াগঞ্জ স্টেট ব্যাঙ্কের এ ডি বি শাখার ম্যানেজার এবং কালিয়াগঞ্জ থানায় একটি ডেপুটেশন দেবার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানান। বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলেও এখনো এটিএম প্রতারক গ্রেপ্তার না হওয়ায় সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ বলে জানা যায়।কালিয়াগঞ্জ শহরের মানুষ এ টি এমকে কেন্দ্র করে সব সময় আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বলে জানা যায়।