প্রশাসনের উপর ভরসা নেই, তাই গ্রামের রাস্তা নিজেই তৈরী করছেন ইটাহারের এক যুবক
1 min readপ্রশাসনের উপর ভরসা নেই, তাই গ্রামের রাস্তা নিজেই তৈরী করছেন ইটাহারের এক যুবক
১৮ই জুলাই শশাঙ্ক সরকার,ইটাহারঃ প্রশাসনের পক্ষ থকে গ্রামের বেহাল ঢালাই রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় অবশেষে নিজস্ব উদ্যোগে রাস্তার সংস্কারের কাজ শুরু করলো এক যুবক। এমনি চিত্র দেখা গেলো উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের মারনাই অঞ্চলের কচুয়া গ্রামে। পাশাপাশি কচুয়া এলাকায় সুই নদীর দুই প্রান্তে নদী ঘাটে নামার রাস্তাও ঢালাইয়ের কাজ করছে গোলাম মর্তুজা নামে এই যুবক। প্রথমে নিজস্ব উদ্যোগে শুরু করলেও এখন তার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে গ্রামের আপামর মানুষ চাঁদা দিয়ে যুবকের পাশে দাঁড়িয়েছে এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
উল্ল্যেখ্য, এই এলাকায় সুই নদীর দুই পার দিয়ে নদীর ঘাটে নামতে দীর্ঘ দিন ধরে সমস্যায় পরতে হতো এলাকার মানুষদের। অনেকে নদী ঘাটে নামতে গিয়ে পরে ছোট খাটো দূর্ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া গ্রামের বিভিন্ন রাস্তা গুলো মাটির বেহাল দশায় পরে আছে। গ্রামে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। বারবার প্রশাসন সহ এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত দফতর ও পঞ্চায়েত সমিতিতে রাস্তা সংস্কারের কথা জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। কিন্তু এই সব রাস্তা দিয়ে কচুয়া, বীরনগর, জামালপুর, টিটিহা, বোচকাপাড়া সহ বিভিন্ন গ্রামের বহু মানুষকে নিত্যদিন যাতায়াত করতে হয়। এননকি সুই নদীর এক পার থেকে অন্য পারে যেতে নদী ঘাটে নামতে চরম সমস্যায় পরতে হত।
তারমধ্যে সামনে বকরি ঈদ উৎসব ফলে রাস্তা সংস্কার হলে গ্রামের মানুষের সুবিধার কথা ভেবে গোলাম মর্তুজা সহ এলাকার মানুষরা নিজেরাই গ্রামের বেহাল রাস্তা সংস্কার ও নদী ঘাটে নামার রাস্তা করার উদ্যোগ নিজেরাই হাতে তুলে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে সুই নদীর দুই প্রান্তে ঘাটে নামার ঢালাই রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং বর্তমানে গ্রামের বিভিন্ন বেহাল রাস্তার সংস্কারের কাজ চলছে। তবে গ্রামের মানুষ ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসের উপরে আস্থা রেখেছেন যে তিনি আগামী দিনে গ্রামের বেহাল রাস্তা সংস্কার ও নতুন রাস্তা ঘাট তৈরি করে গ্রামের মানুষের সমস্যা সমাধাণ করবেন।
পাশাপাশি গ্রামের মানুষরাও যুবকের এই উদ্যোগকে সাদুবাদ জানিয়েছেন। যদিও এই বিষয়ে বিধায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, বিষয়টি জানা নেই তবে এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে আগামী দিনে স্থানীয় পঞ্চায়েত দফতর থেকে যাতে আরো যেন রাস্তার কাজ করা যায় গ্রামে তার ব্যবস্থা করা হবে।