January 11, 2025

টানা লক লকডাউনের প্রভাবে মালগাঁওয়ের কার্পেট শিল্প বন্ধ,প্রচুর কার্পেট তৈরি হয়ে থাকলেও বিক্রি করবার কোন সুযোগ নেই,কর্মহীন কয়েকশ কার্পেট শিল্পী-

1 min read

টানা লক লকডাউনের প্রভাবে মালগাঁওয়ের কার্পেট শিল্প বন্ধ,প্রচুর কার্পেট তৈরি হয়ে থাকলেও বিক্রি করবার কোন সুযোগ নেই,কর্মহীন কয়েকশ কার্পেট শিল্পী-

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১৬ জুলাই:কোভিডের করাল গ্রাসে উত্তর দিনাজপুর জেলার ঐতিহাবাহী প্রাচীন কার্পেট শিল্প গত দুই বছর থেকে বন্ধ হয়ে থাকায় আনুমানিক ছয়শতাধিক কার্পেট শিল্পী কর্ম হারিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।মালগাঁওয়ের কার্পেট শিল্পী তথা কার্পেট ইউনিটের কর্মকর্তা শামীম রেয়াজ ক্ষোভের সাথে দুঃখের সাথে জানালেন টানা দুই বছর করোনা ও লকডাউনের কারনে আনুমানিক ৩০টি কার্পেট ইউনিটে কার্পেট তৈরির কাজ পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হয়েছে। পূর্বের তৈরি প্রচুর কার্পেট ঘরে পরে থাকলেও বাইরে গিয়ে বিক্রি করবার কোন সুযোগ না থাকায় তারা দুই দিক থেকে বিপদের মধ্যে পরে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে।মালগাঁওয়ের প্রতিষ্ঠিত কার্পেট শিল্পী শামীম রেয়াজ জানালেন কার্পেট তৈরির বরাত তারা বেনারস থেকে সাধারণত নিয়ে আসেন।

বরাত অনুযায়ী কার্পেট বানিয়ে তারা বেনারসে গিয়ে কার্পেট বিক্রি করে থাকে।কিন্তু গত দুই বছর থেকে কোভিডের গ্রাসে ও লকডাউনের প্ৰর্তিবন্ধকতার কারনে মজুত কার্পেট বেনারসে নিয়ে যেতে পারছেনা বিগত দুই বছর ধরে। ফলে প্রচুর পরিমান মজুত

তৈরি কার্পেট বেনারসে লকডাউনের কারনে যেমন পারছেনা নিয়ে যেতে বিক্রি করতে,তেমনি নুতন কোন বরাত বেনারস থেকে না পাবার কারনে মালগাঁওয়ের কার্পেট শিল্পের সাথে যুক্ত ছয় শতাধিক কার্পেট শিল্পীরা কাজ হারিয়ে অসহায় অবস্থার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে বলে জানান।তিনি বলেন বেনারস ছাড়াও ভারতবর্ষের বিভিন্ন শহরে তাদের তৈরি কার্পেট যান বাহনের নিষেধাক্কার কারনে নিয়ে যেতে পারছেন না।তিনি বলেন গ্রামে কাজ থেকেও গ্রামের মানুষ কাজ পাচ্ছেনা এর থেকে আর কি দুঃখের আছে?

মালগাঁওয়ে কার্পেটের প্রচুর কাজ থাকলেও গ্রামের শিল্পীদের আমরা কজ দিতে পারছিনা। তিনি বলেন মালগাঁও গ্রামের মানুষ মাত্র দুই মাস চাষ আবাদের কাজ করে থাকে। বাঁকি সময় কার্পেট তৈরির কাজে নিযুক্ত থেকে রোজগার করতো।তা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় মালগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী কার্পেট শিল্প আজ ধ্বংসের পথে।গ্রামবাসীরা কালিয়াগঞ্জের সাশক দলের নেতাদের তাদের সমস্যা দূর করবার জন্য ব্যবস্থ্য নিতে বললেও কোন কাজ হয়নি।

কালিয়াগঞ্জের প্রাক্তন তৃণমূলের বিধায়ক তপন দেবসিংহকে মালগাঁও থেকে ব্যাপক ভোট দিয়ে জিতিয়ে ছিলেন তারা।কিন্তূ প্রতিশ্রুতি দিয়েও তিনি বিগত দিনে আমাদের কোন উপকার করতে পারেন নি।গ্রাম বাসীরা বলেন এবারের বিধান সভা ভোটে বিজেপির বিধায়ক সৌমেন রায়কে তারা বিপুল ভোটে জয়ী করেছিলেন।

সেই বিজেপির বিধায়ক সৌমেন রায় কার্পেট শিল্পকে বাঁচানোর জন্য এখনো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় তার কাজ কর্মে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।জানা যায় আশির দশকে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মালগাঁওয়ে কার্পেটের জনক আবু তাহেরের হাত ধরেই মালগাঁওয়ের ঘরে ঘরে কার্পেট শিল্পের বিস্তার ঘটেছিল।মালগাঁওয়ের গ্রামকে কার্পেট গ্রাম বলেই সবার কাছে পরিচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *