নেই নির্দিষ্ট সরকারি বাস রাখার ব্যবস্থা, পৌর কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারনে দূর পাল্লার বাস গুলিকে বৃষ্টির মধ্যে রাত কাটাতে হচ্ছে রাস্তায় মধে নিরাপত্তা ছাড়াই।ক্ষুব্ধ বাসের চালক ও কন্ডাক্টরগন-
1 min readপৌর কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারনে দূর পাল্লার বাস গুলিকে বৃষ্টির মধ্যে রাত কাটাতে হচ্ছে রাস্তায় নিরাপত্তা ছাড়াই।
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১১জুলাই: উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরে পৌর সভার বাস টার্মিনাস থাকা স্বত্বেও উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের দূর পাল্লার বেশ কয়েকটি বাসকে বর্ষার মধ্যে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রাস্তার মধ্যে রাতে থাকতে হচ্ছে।গাড়ির চালক ও সি কন্ডাক্টর দের নেই কোন নিরাপত্তা শুধুমাত্র পৌর সভার গাফিলতির কারনে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষুব্ধ বাস চালক ও বাসের কন্ডাক্টরগন বলেন কালিয়াগঞ্জ শহরে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার বাস চলে।আমরা কেউ তুফানগঞ্জ,কেও শিলিগুড়ি কেও কোচবিহার থেকে সারাদিন পরিশ্রম করে কালিয়াগঞ্জে গাড়ি নিয়ে আসি।কিন্তু এখানকার পৌর কর্তৃপক্ষ আমাদের সরকারি বাসগুলির থাকার কোন রকম ব্যবস্থা বিগত দুই বছরের মধ্যে করতে পারেনি।ফলে এই বর্ষার মধ্যে আমাদের গাড়ির চালক ও কন্ডাক্টরদের থাকার কোন রকম ব্যবস্থ্যা নেই।বাধ্য হয়ে অনেক প্রতিবদ্ধকতাকে সামলে নিয়ে অসুবিধার মধ্যে আমাদের থাকতে হয় শহরের রাস্তার মধ্যে গাড়ীর মধ্যে।এটা শহরের পৌর কর্তিপক্ষদের দেখা উচিৎ বলেই রাষ্ট্রীয় পরিবহনের গাড়ীর চালক ও কন্ডাক্টর মনে করেন।কালিয়াগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক তপন দেব সিংহ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের গাড়িগুলো রাতে কালিয়াগঞ্জ শহরের রাস্তার মধ্যে থাকবে এটা কোন ভাবেই ঠিক নয়।
কালিয়াগঞ্জ পৌর বাসস্ট্যান্ডের ভেতরে থাকলে কোন সমস্যাই হবার কথা নয়।তাহলে গাড়ি সহ চালক ও কন্ডাক্টর সবারই নিরাপত্তা থাকবে। এ ব্যাপারে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রসাশকমন্ডলীর পৌর প্রসাশক শচিন সিংহ রায়কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এটা সঠিক যে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের বাসগুলির রাতে থাকার কোন রকম ব্যবস্থ্যা আমরা করতে পারিনি।তারা এই বর্ষার মধ্যে শহরের রাস্তার পাশে গাড়ি রেখে রাতে গাড়ির মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকেন।
তবে আমি এইটুকু বলতে পারি দুই একদিনের মধ্যে প্রসাসক মন্ডলীর সদস্যদের সাথে কথা বলে আমাদের বিবেকানন্দ পৌর বাস স্ট্যান্ডে রাতে রাষ্ট্রীয় পরিবহনের গাড়িগুলো যাতে রাখতে পারে তার ব্যবস্থার জন্য একটা চেষ্টা করবো।তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কো-মেন্টর অসীম ঘোষকে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের দূরপাল্লার গাড়ি গুলো এই বর্ষা বাদলের রাতে কালিয়াগঞ্জের রাস্তার মধ্যে অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনের মধ্যে থাকছে কেন? কেনই বা কালিয়াগঞ্জ পৌর বাস স্ট্যান্ডের ভেতর রাখার ব্যবস্থ্য করা যাবেনা এর উত্তরে অসীম ঘোষ বলেন এটি উত্তম প্রস্তাব।
আমি কথা দিচ্ছি আগামী কাল পৌর সভায় গিয়ে পৌরপ্রসাশকের সাথে কথা বলে নুতন বাস স্ট্যান্ডের ভেতরে গাড়ি,চালক ও কন্ডাক্টরদের থাকার ব্যবস্থা যেমন করেই হোক করে দেব।এতে করে গাড়ীর ও গাড়ীর স্টাফদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।কালিয়াগঞ্জ মা বয়রা কালি মন্দির কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ বিকাশ ভদ্র বলেন কালিয়াগঞ্জ থানার সামনে রাস্তার ধারে সরকারি বাসগুলোকে রাখার ব্যবস্থ্যা করা হলেও থানা কর্তৃপক্ষ সেই জায়গা ঘিরে
ফেলায় সেখানে বাসগুলো আর থাকতে পারেনা।আমরা মায়ের মন্দিরের সামনের জায়গায় বাসগুলো রাতে থাকার ব্যবস্থ্যা করেছি।কিন্তু এভাবে বাইরে রাস্তার মধ্যে সরকারি বাসগুলো নিয়ে বাসের চালক ও কন্ডাক্টর থাকবে এটা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু বলেই তার মনে হয়েছে।
তা ছাড়া এই গাড়ি রাখার সমস্যার কারনে যদি বাসগুলো বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এই এলাকার মানুষদের চরম সঙ্কটের মধ্যে পড়তে হবে বলে তিনি মনে করেন।অবিলম্বে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের বাসগুলোকে পৌর বাস স্ট্যান্ডে রাখার ব্যবস্থা করা হলে সব দিক দিয়েই ভালো হবে।
কালিয়াগঞ্জের প্রাক্তন পৌর পিতা কার্তিক পাল এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন তিনি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের বাস গুলির জন্য আলাদা একটি বাসস্ট্যান্ড করবার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলাম।কালিয়াগঞ্জ মা বয়রা মন্দিরের সামনে জেলা পরিষদের পরে থাকা জায়গাটি
কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার নামে লিজ নেবার জন্য সবরকম ব্যবস্থাও করেছিলাম।কিন্তূ বিজেপি দলে চলে আসার পরে কিছু হয়েছে কিনা বলতে পারছিনা। ইচ্ছা ছিল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের অর্থে কালিয়াগঞ্জে পৃথক আর একটি বাস স্ট্যান্ড গড়ে তুলবার।
কিন্তু আমি তা করতে পারিনি বলে দুঃখ করলেন।তবে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার জায়গায় বাম আমলে একটি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের ডিপো করা হলেও কংগ্রেস বোর্ডের আমলে তা তুলে দেওয়া হয় বলে জানা যায়।