খাদ্য নিশ্চয়তা কি, সরকারি ভবনের পোস্টারের মধ্যেই সীমাবদ্ধতা, নাকি তার বাস্তব প্রয়োগ বা প্র্যাক্টিক্যাল এপ্লিকেশন হবে ?
1 min readখাদ্য নিশ্চয়তা কি, সরকারি ভবনের পোস্টারের মধ্যেই সীমাবদ্ধতা, নাকি তার বাস্তব প্রয়োগ বা প্র্যাক্টিক্যাল এপ্লিকেশন হবে ?
প্রভাস সরকার উত্তর বাংলায় – নতুন – পুরোনো মিশিয়ে আমার জানা কিছু কস্টের কথা :- ১৯৭১/৭২ সালের ভয়ংকর বিভীষিকাময় – পুর্বপাকিস্থান ( অধুনা বাংলাদেশ) এর স্বাধীন করার মুক্তিযুদ্ধ –আর দলে দলে এপার বাংলায় ঘটি বাটি নিয়ে প্রানে বাচার আশ্রয়, এমতাবস্থায় ততকালিন ইন্দিরা গান্ধী সরকারের রিলিফ আর অন্যদিকে এপারবাংলার সম্ভ্রান্ত কৃষক পরিবারদের দরাজ দিল – সহযোগীতা অনেক – মানুষকে কিছুটা হলেও বাচতে সাহায্য করেছিল।বলার বিষয় হল কস্ট কাকে বলে, খাবার অভাব বাচার অভাব, পরিবারের দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা পুর্ব্ববংগীয় সম্মানীয় ব্যাক্তি গন জীবনে একবার ভোগ করেছেন সেই কারনে তাহারা অনেকটাই চালাক। আবার ওপার বাংলা থেকে যাহারা ১৯৭১ এর আগেই এপারে এসে কৃষিকাজকে জীবন জীবিকা হিসাবে ধরে নিয়েছিল তাহাদের উন্নয়ন এখানকার স্থানীয় রাজবংশীদের মতই, ভালো করে – চিন্তা করে দেখুন।গরীবই হোক আর স্বচ্ছলই হোক যাহারা ( বিশেষ,করে রাজবংশীরা) এপার বাংলার স্থানীয় মানুষ পুর্বে তেমন ভাবে – জীবনের এই জাতাকলে পড়েনি বলেই ইতিহাস অন্তত তাই দেখাচ্ছে।
যাই হোক -মুল বিষয় হল -COVID-19 আর – তার সাথে – একদিকে প্রান অন্যদিকে দুর্ভিক্ষ( যাদের কাছে লকডাউন অভিশাপ হয়ে দেখা দেয়)সমস্যা হয়েছে – এপার বাংলায় বংশপরম্পরায় বসবাসকারী স্থানীয় রাজবংশী ( এই দেশীয়) সম্প্রদায় এর মানুষ জন, বিশেষ করে যাহারা পুর্বে – অবস্থাসম্পন্ন সম্ভ্রান্ত কৃষক পরিবার ছিল কিন্তু কালের নিয়মে – অকামের কুকামের দেশীয় অর্থনীতির জাতাকলে পিষে – জমিজমা বিক্রি বাট্টা করে আজ কারখানার শ্রমিকের জীবন জীবিকার মাধ্যমে অন্নের জোগান করেন।এপার বাংলায় জন্মে গরীবই হোক আর ধনীই হোক কোনওদিনই – পাঠার বিপরীত লিংগ পাঠি বা নারী-খাশি / মেয়ে ছাগল খায়না বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই, যদিওবা যাহারা গরীব ছিল তাহারা কচুর
ডাটার সিদ্ব খানা খন্দ থেকে খুটিয়ে খুটিয়ে জোগার করে সযত্নে খেয়েছেন, বড়লোকের বাড়ির ঢেকিছাটা চালের গাঢ় ভাতের মার চেয়ে খেয়েছেন। কিন্তু অভাবের তাড়নায় অনেক পুর্ব্ববংগীয় সম্মানীয় পরিবার একসময়কার কঠিন দিনে নিজেদের অনিচ্ছা সত্বেও নারী-খাশি খেয়েছেন যাহা কিছু পরিবার পরবর্তীতে স্বচ্ছলতা বাড়িবার সাথে সাথে পরিত্যাগ করেছেন, আর কিছু পরিবার অভাবের স্মৃতির দিনগুলিকে স্বগতোক্তি করেন। এই কাথাগুলি আমি পুর্ব্ববংগীয় ভাই বন্ধু আত্মীয় স্বজ্জনদের আঘাত দেওয়ার জন্য বলিনি বরং তাদের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য বলেছি, এতদ সত্বেও কোনও ভুল কিছু মনে হলে মার্জনীয়!গরীবেরা দুটো অন্নের জন্য বয়সে তুলনায় ছোটদের শুধুমাত্র পেট ভরানোর জন্য – অর্থাৎ খাবার বিনিময়ে কাজ করে দিত, তাও আবার ২৪ ঘন্টা মালিকের বাড়িতেই থাকিত।কিন্তু ২০১৯ এবং ততপরবর্তিতে প্রাণঘাতী করোনার প্রকোপ এবং লকডাউন মাথায় বাজপড়ে যাওয়ার সামিল হয়েছে বর্তমানে যাহারা গরীব দরিদ্র তাহাদের পরিবার পরিজন সহ – দরিদ্র পরিবারের প্রধান সদস্যের কাছে।
এপারের স্থানীয় মানুষ জন যাহা কোনওদিনই সম্মান খুইয়ে লাভজনক কিছু করতে পারেন না বলেই – আমরা জানি ( ব্যাতিক্রমি থাকতেই পারেন) তাহারা আজ পড়েছেন – প্রকৃতির এক অদৃশ্য সুপার সাইক্লোন যাহা কেবলমাত্র গরিব, দরিদ্র, নিরন্ন দের কাছেই দৃশ্য বাকিদের কাছে চন্দ্র-সুর্য গ্রহনের মতই অদৃশ্য!এপার বাংলার রাজবংশীয় সম্প্রদায় এর একটা বিরাট অংশ, বিশেষ করে যারা তথাকথিত লেবার অর্থাৎ শ্রমিক শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত তাহারা – জীবন-হানিকর বে-আইনি ট্যাবলেট মেশানো মদ পান করে – অকালে,মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছেন, কতশত পরিবার এই বে-আইনি মদের কুপ্রভাব এর স্বীকার গ্রামে গ্রামে একটু খোজ নিলেই – পরিস্কার হয়ে উঠবে কি ভয়ানক এক সমাজের চিত্র।
একদিকে ধর্মপ্রাণ হিন্দু মানুষ দেবদেবীর কাছে মাথাকুটে মরে আর হিন্দুরাজনীতির পাতা ফাদে পা ফেলে নিজেই স্বীকার হয়ে জান, স্বীকারি আর হয়ে ঊঠতে পারেন না।অন্যদিকে খ্রিষ্টান, ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা মুচকি হেসে নিজের ধর্মের সাথে সাথে তাদের স্ব স্ব ধর্মীয়ভাবে সমাজকে সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালনা করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।স্থানীয় ( ওপার থেকে আসা রাজবংশীরা নন কিন্তু) রাজবংশীয় সম্প্রদায় এর মানুষজন আজ চরম বিপন্ন,অর্থনীতিতে অনেকেই নোবেল পেয়ে কি এমন উন্নতি হয়েছে – ভারতীয় দরিদ্র মানুষের।, যেমন যে শিক্ষা সমাজে কিছু প্রোডাকশন – গঠনমূলক সৃষ্টিশীল, উতপাদন শীল কিছু দিতে পারে না – শুধু বইয়ের পাতায় থেকে যায় বা যে শিক্ষার কোনও ব্যবহারিক প্রয়োগ সমাজের দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে পারেনা তেমনই যে নোবেল পেয়ে – ভারতীয় গরীবরা আরও গরীব হয় তেমন নোবেল পেয়ে ভারতের একজন গরীব মানুষের কী লাভ?বংশপরম্পরায় স্থানীয় ভাবে একই স্থানে বসবাসকারীরা আজ সারা বিশ্বে বিপন্ন নিরন্ন অশায় ক্লিস্ট জীর্ন শীর্ন – আধুনিকতা তাদের অশপৃশ্য করে রাখতে প্রাণপণ চেস্টা করে।এবার প্রশ্ন / আবেদন -যেখানে মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলি(১) খাদ্য (২) বস্ত্র (৩) বাসস্থান (৪) শিক্ষা আর স্বাস্থ্যসেখানে (১) নং মৌলিক চাহিদা পুরনের দ্বায় কার? নিস্পাপ শিশুরা কার উপর ভরসা করে বড় হয়ে উঠছে।,প্রতিটি মানুষের খাদ্য নিশ্চয়তা না করে কাউকে কাজের অধিকার, শ্রমের অধিকার ছাড়িয়ে – বাড়িতে বসিয়ে – দেওয়া কি মানবিকতার মধ্যে পড়ে।খাদ্য নিশ্চয়তা কি, সরকারি ভবনের পোস্টারের মধ্যেই সীমাবদ্ধতা, নাকি তার বাস্তব প্রয়োগ বা প্র্যাক্টিক্যাল এপ্লিকেশন হবে।