January 11, 2025

আধুনিকতার ছোয়া পেলে বালাস গ্রামের ধোকরা শিল্পে প্রচুর গ্রামীন কর্মসংস্থান সম্ভব হতে পারে

1 min read

আধুনিকতার ছোয়া পেলে বালাস গ্রামের ধোকরা শিল্পে প্রচুর গ্রামীন কর্মসংস্থান সম্ভব হতে পারে

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১৩মে:ভোট আসে আবার চলেও যায়।ভোটের মরশুমে মাস দুয়েক ধোকরা শিল্পকে নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীদের মুখে ধকরার উন্নয়নের বন্যা বয়ে যায়।ঢোকরাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখায়।কিন্তূ ভোট চলে।গেলেই বালাসের ধোকরা ১৫ বছর আগে যেখানে ছিল সেখানেই থেমে থাকে।

উত্তর দিনাজপুর জেলার নিজস্ব কৃষি সম্পদ পাট।এই পাট থেকেই বালাস গ্রামের রাজবংশী সমাজের গৃহবধূরা বালাসের প্রতিটি ঘরে ঘরে গ্রামীণ শিল্প ধোকরা কুটির শিল্পে যে কখন রূপ পেয়েছে তা বালাস গ্রামের মানুষই জানেনা।কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বালাস গ্রামের রাজবংশী সমাজের মহিলারা সংসারের সমস্ত কাজ করার পর অবসর সময়ে সাধারণত নিজের জমির ফসল পাট দিয়ে এই ধকরা বানিয়ে থাকে নিজের বাড়িতে বসেই।ধকরার সাথে নানান পাট জাত সামগ্রী।তবে বর্তমান যুগে ধকরা শিল্পে আধুনিক ছোয়া পেলে

অর্থাৎ ধকরা যদি নানান রঙের সাথে কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নত মানের ডিজাইনে তৈরি করা যেত তাহলে গ্রাহকরা আরো বেশি করে আকৃষ্ট হতে পারতো বলে ধকরা শিল্পীরাই মনে করে।বালাস গ্রামের বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের একমাত্র সদস্য কমল সরকার এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন বালাস গ্রামের সমস্ত রাজবংশী পরিবারের কাছে এই ধকরা বানানোটা একটা বংশ পরম্পরা কাজ।এখানকার বাড়ির রাজবংশী ঘরের মহিলারা বাড়ির সমস্ত কাজের মধ্যেও অবসর সময়ে এই কাজ করে উপার্জন করে থাকে।নিজের জমির পাট থেকে এই ধকরা বানিয়ে বিভিন্ন হাটে গিয়ে তা বিক্রি করে থাকে।এক সপ্তাহে বেশ কিছু ধকরা বানিয়ে পার্শ্ববর্তী ধনকোল হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে গেলে খুব তাড়াতাড়ি তা বিহার থেকে আসা ব্যবসায়ীরা সব কিছু নিয়ে যায়।গ্রামের ধকরা শিল্পীরা একটি ঢোকরা ২০০-থেকে২৫০টাকায় বিক্রি করলেও বিহারে

নিয়ে গিয়ে এক একটি ৪০০-৪৫০টাকায় বিক্রি করে থাকে।ধকরা থেকে মূল লাভ করে থাকে বিহারের ধকরা ব্যবসায়ীরা।বর্তমানে শুধু বাড়ির মা, দিদিমারাই ধকরা তৈরি করেনা।বালাস গ্রামের অনেক স্কুল ও কলেজ পড়ুয়ারাও ধকরা বানিয়ে নিজেদের পড়াশোনা ও হাত খরচের টাকা জোগাড় করে থাকে।সেই কারণেই বালাস গ্রামে যদি এই শিল্পের উন্নয়নে সরকার দৃষ্টি দেয় তাহলে উন্নতমানের ধকরা তৈরি করবার প্রশিক্ষণ নিয়ে এই গ্রামীন শিল্পের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান হতে পারে বলে কমল সরকার জানান।কালিয়াগঞ্জের নবনির্বাচিত বিধায়ক সৌমেন রায় এক সাক্ষাৎকারে বলেন তিনি সবেমাত্র বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।বালাস গ্রামে ধকরা শিল্পকে একটি উন্নতমানের জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায় সে ব্যাপারে সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করবেন বলে জানান।উত্তর দিনাজপুর জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার সুনীল সরকার এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন বালাস গ্রামের এই ধকরা শিল্প একটি ট্র্যাডিশনাল শিল্প বলেই পরিচিত হয়ে আসছে।তবে এই শিল্পের আধুনিকিকর ন করা যেতে পারে।কালিয়াগঞ্জের মালগাঁও গ্রামে যেমন কার্পেট শিল্পের আধুনিকীকরণের ফলে তার অনেকটাই বাজার বৃদ্ধি পেয়ে আধুনিকীকরণ করা যেতে পারে। তৃতীয়বারের জন্য সরকার সবে মাত্র ক্ষমতায় এসেছে।আমরা এবার চেষ্টা করবো কিভাবে এই শিল্পের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *