উত্তর দিনাজপুরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করণা আক্রান্তের সংখ্যা। তবুও অসচেতন হয়ে মুখে মাক্স ছাড়াই অনেকে ঘুরছেন যত্রতত্র।
1 min readউত্তর দিনাজপুরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করণা আক্রান্তের সংখ্যা। তবুও অসচেতন হয়ে মুখে মাক্স ছাড়াই অনেকে ঘুরছেন যত্রতত্র।
তনময় চক্রবর্তী লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। প্রতিদিনই গড়ে ১৫০ থেকে ২৫০ জন আক্রান্ত হচ্ছে উত্তর দিনাজপুর জেলাতে । পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। পাল্টা চলছে সচেতনতা। তবু হুঁশ ফিরছে না শহরবাসীর একাংশের। বিনা মাস্কে ঘোরাঘুরি বাড়ছে শহরজুড়েই। বাস, টোটো থেকে অটো সর্বত্রই থিক থিক ভিড়। মাস্কের বালাই নেই। দূরত্ব বিধি উধাও। অথচ বার বার পুলিশ প্রশাসন মাইকিং করে সচেতনতার প্রচার চালাচ্ছে। কে, কার কথা শোনে! উলটে মাস্কহীনদের দাবি, প্রচণ্ড গরম। মাস্ক দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা যাচ্ছে না।
এক বাস চালকের কথায়, “ইঞ্জিনের সামনে বসে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। সঙ্গে গরম। কেউ আবার বলছেন, কিছুক্ষণের জন্যে মাস্ক খোলা হয়েছে। অর্থাৎ অবান্তর দাবি এক এক জনের মুখে।আবার অনেকেই মুখে মাস্ক নেই কেন?
প্রশ্ন শুনতেই সটান দৌড়, অনেকে আবার এড়িয়ে যান। ন্যূনতম কোভিড বিধি মানার লক্ষণ নেই। মাস্ক থাকলেও অনেকেরই তা ঝুলছে হয় থুতনিতে, নতুবা গলায়! পুলিশ কড়া হাতে পথে না নামলে এক শ্রেণীর মানুষকে বাগে আনা সম্ভব নয়। অন্যদিকে করোনার বারবাড়ন্ত, কোভিড পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।
সংক্রমণ থেমে নেই। দ্রুত জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং পুরসভাকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাড়াতে হবে সেফ হাউসের সংখ্যা। সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত বেড এবং কোভিড টিকা মজুত করতে হবে শহরে।
এ দিকে গ্রাফ থেমে নেই। গত ২৪ ঘন্টায় উত্তর দিনাজপুর জেলার করনা আক্রান্ত হয়েছে ১৪৭জন । মোট আক্রান্ত হয়েছে ৮৬৩৩ জন । এর মধ্যে এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭৪১৪ জন। আজ সুস্থ হয়েছে ৯১ জন।
গত ২৪ঘন্টায় জেলার কালিয়াগঞ্জে নতুন করে একজন করনা আক্রান্ত হয়েছে শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এখন অব্দি দ্বিতীয় দফায় কালিয়াগঞ্জ শহরে আক্রান্ত হয়েছে মোট ২৮ জন ।
এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর সুরজিৎ কৈরী জানান, কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা করোনা মোকাবেলায় যথেষ্ট তৎপর। খুব শীগ্রই অক্সিজেন পরিষেবা চালু করতে চলছে পৌরসভা।