December 28, 2024

সুমিংপুল , বিনোদন পার্ক ও টাউন হলের কাজ থমকে কেন ? প্রশ্ন করল সিপিএম দল কালিয়াগঞ্জের এর পৌরপতিকে ?

1 min read
তন্ময়  চক্রবত্তী ঃ- সিপিম এর কাছে কোনো অভিযোগের  প্রমাণ নেই তাই এখনই কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার
বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাচ্ছে না কালিয়াগঞ্জ সিপিএম দল  বলে এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন সিপিএমের
কালিয়াগঞ্জ এর উত্তর এরিয়ার  সম্পাদক
মনোরঞ্জন পাটোয়ারী।  তিনি বলেন হাতে
প্রমাণ না থাকলে কি হবে ?


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 যা শুনতে
পাচ্ছেন তিনি  বিভিন্ন মানুষদের কাছ থেকে
তা হল বর্তমানের কালিয়াগঞ্জ শাসক দল এর পরিস্থিতি খুব ভালো নেই।  মানুষের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ জমে রয়েছে।  এখনই যদি কালিয়াগঞ্জে  সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস
ফিরে আসতে পারবে না । মনোরঞ্জন পাটোয়ারী  আরও বলেন বর্তমান সময়ে আজকের যুব সমাজ কে আর
বামপন্থী মানসিকতা তে আনা যাচ্ছে না কারণ এখন চাওয়া-পাওয়ার রাজনীতি চলছে সর্বত্র।
 যাকে দেওয়া যাবে কিছু সে থাকবে আর যাকে
দেওয়া যাবে না তাকে ধরে রাখা যাবে না । এখন স্বার্থবাদী মানুষ প্রতিটি রাজনিতি  দলে চলে এসেছে ।


 তবে তাদের মধ্যেও কিছু কিছু ভাল
মানুষও রয়েছে ,যারা দলকে ভালোবেসে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।  কিন্তু আজ কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা কিছু
পাওয়ার আশায় তৃণমূল কংগ্রেসে ভিড় করছে ।  মনোরঞ্জন পাটোয়ারী আরো বলেন কালিয়াগঞ্জ নাকি
উন্নয়ন শুরু হয়েছে সবাই বলছে ?  কিন্তু
কেউ জানেনা এই পরিকল্পনাগুলি সবটাই নেওয়া হয়েছিল তৎকালীন কালিয়াগঞ্জ এর প্রথম
নমিনেটেড বোর্ড বামফ্রন্টের পৌরপতি অশোক ঘোষ যখন ছিল তখনই।  তিনি বলেন বামপন্থীরা যখন কালিয়াগঞ্জ ক্ষমতায়
ছিল তখন অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছিল।  কিন্তু মানুষ তাও তাদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে
নিয়েছিল।
 তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জএ এখন  যে  সমস্ত উন্নয়ন মূলক  কাজগুলি  কাজ গুলি হচ্ছে তার কাজ কবে শেষ হবে কেউ তা বলতে
পারবে না । শুধু খোঁড়াখুঁড়ি হয়ে যাচ্ছে
দীর্ঘদিন ধরে । তিনি
বলেন বিগত দিনে কংগ্রেসের পৌরবোর্ড যদিও কাজ করছিল কিছু কিছু । 

কিন্তু এখন তৃণমূল
কংগ্রেসের বোর্ড  যে কাজগুলো করছে তা
সত্যিই সন্দেহের বিষয় । আদৌ কি কাজ হচ্ছে ঠিকঠাক ?
মনোরঞ্জন পাটোয়ারী বলেন কালিয়াগঞ্জ এর কিছু
কিছু মানুষ তৎকালীন বামফ্রন্টের পৌরবোর্ড এর পৌরপতি অশোক ঘোষের নামে নানান
অপপ্রচার করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ছিল।  কিন্তু আদতে অশোক ঘোষের মতো ভালো মানুষ পাওয়া
দুষ্কর।  তিনি আরো বলেন অশোক ঘোষ কথা কম
বলতেন কিন্তু কাজ বেশি করতে ভালোবাসতেন।  আর তাই তার আমলে যে কর ব্যবস্থা প্রচলন করে
দিয়ে গিয়েছিলেন তা আজও সেই একইভাবে কর ব্যবস্থা চলছে কালিয়াগঞ্জ।  তবে এখন তখন থেকে মানুষের  বহু গুন কর বেড়ে গেলেওতবুও মানুষের মধ্যে নেই
কোন প্রতিবাদ। সবাই মুখ বুঝে সহ্য 
করে  যাছে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ এর
বর্তমান পৌরপতি  যিনি রয়েছেন তার ভাগ্য
খুব ভালো যে এবছর তেমন বৃষ্টি না হওয়ার জন্য মানুষ টের পেল না কালিয়াগঞ্জ এর
অবস্থা । যদি ভালো বৃষ্টি একটা হত বা বর্ষা হত তাহলে বুঝতে পারত কালিয়াগঞ্জ
ড্রেনেজ ব্যবস্থা কতটা উন্নত হয়েছে  এই
তৃণমূল কংগ্রেসের জামানায় । এছাড়া তিনি আরো বলেন কালিয়াগঞ্জ এর বিনোদন পার্ক ও
সুইমিংপুল যেটা হচ্ছে সেটা আদৌ বাস্তবায়িত হবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন দেখা
দিচ্ছে এখন থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে।  তাই সে কাজগুলি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা
যাবে না এ ব্যাপারে।তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ এর স্বাস্থ্যব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে
খারাপ হয়ে থাকলেও রাজ্য সরকারের উদাসীনতায় তা থমকে রয়েছে । কারণ এখানে যেটি
সবচেয়ে বড় সমস্যা সেটা হলো হাসপাতালে তেমন কোনো ভালো ডাক্তার নেই কিন্তু দেখা
যাচ্ছে সেই ডাক্তার আনার ব্যাপারে উদ্যোগ না নিয়ে হাসপাতালে বিল্ডিং কে ভেঙে কয়েকবার
গড়া হচ্ছে।  এটা ঠিক নয়।  মানুষের যেটা আগে দরকার সেটা হল স্বাস্থ্য
ব্যবস্থার উন্নয়ন।  এখন যে হাসপাতাল
রয়েছে সেটা রেফার হাসপাতাল । কিন্তু দেখা যাচ্ছে সম্প্রতি এই হাসপাতাল উন্নয়নের
জন্য ৫০  লক্ষ টাকা ব্যয় করা হবে । যেটা
দিয়ে নাকি হাসপাতালের সামনে ফোয়ারা তৈরি করে সৌন্দর্যায়ন করা হবে।  কিন্তু এটা করে সাধারণ মানুষের সমস্যা কখনোই
মিটবে না।  সমস্যা মিটবে একটাতেই সেটা হলো
হাসপাতালে নতুন ও ভালো ডাক্তার আনলে পড়ে । সেদিকে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত
সবার আগে ।সিপিএমের নেতা আরো বলেন রাধিকাপুর থেকে কলকাতা অব্দি দিনের একটি ট্রেন চলাচলের
জন্য রায়গঞ্জের সাংসদ মোহাম্মদ সেলিম উদ্যোগ নিয়েছিলেন রেল  কিন্তু রেল দপ্তরের উদাসীনতায় সেই থমকে যায়
কিন্তু তা সিপিএম দল থমকে যায়নি তারা এই ট্রেনর দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন । সবশেষে
পৌরপতির  উদ্দেশ্যে তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ
এর টাউন হল,  বিনোদন পার্ক ও সুইমিংপুল এর
কাজ এখন বন্ধ কেন  ?হাসপাতালে ডাক্তার  আনার পরিবর্তে শুধুই সৌন্দর্যায়ন করার
জন্য  হাসপাতাল চত্বরে ফোয়ারা তৈরি করার
ব্যবস্থা কেন করা  হচ্ছে ?এতে কি মানুষের সমস্যার সমাধান হবে ।   

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর..