রায়গঞ্জ শহরকে সবুজায়ন করবার উদ্যোগ নিলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
1 min read
তপন চক্রবর্তী উত্তর দিনাজপুর __রায়গঞ্জ শহর কে সবুজায়,, করবার উদ্যোগ নিলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর তাপস পাল. তিনি রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান সঞ্জীব বিশ্বাস কে একটি প্রস্তাব দেন রায়গঞ্জ শহর কে কিভাবে সবুজায়ন করা যায়.রায়গঞ্জ পৌরসভা চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালযের অধ্যাপক তাপস পাল কে তার এই উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানান।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অধ্যাপক তাপস পাল বলেন বর্তমান রায়গঞ্জ পৌরসভা শহরের সৌন্দর্যায়নের এর জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও এখনো সেভাবে কিছু করা যায়নি ।তাই রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনার কাজ করবার সাথে সাথে নিজের শহর রায়গঞ্জ শহরকে গ্রীন সিটি হিসেবে তুলে ধরবার জন্য নানান ধরনের প্রস্তাব দিয়েছেন ।যার মধ্যে থাকবে শহরের বিভিন্ন জেলায় গর্ব ঘর এবং মাতৃস্নেহ ঘর তৈরি করা। মহিলাদের ঋতুকালীন সমস্যা চলার সময় আব্রু রক্ষার স্বার্থে এই ঘর বানানোর বিশেষ প্রয়োজন ।এই ঘর তৈরি হলে কেবল শহরের মহিলারাই নন এর সুবিধা ভোগ করতে পারবে দূর-দূরান্ত থেকে রায়গঞ্জ শহরে আসার অন্যান্য মহিলা রাও।অধ্যাপক তাপস পাল বলেন রায়গঞ্জ কে গ্রীন সিটি হিসেবে তুলে ধরতে পারলে বর্তমান ক্রমবর্ধমান দূষণের মধ্যে এই শহর এক ব্যতিক্রমী পরিচয় লাভ করতে পারবে।আমরা সবাই আন্তরিকতার সাথে করলে তা সহজেই করা যাবে বলে তিনি মনে করেন। অধ্যাপক তাপস পাল বলেন তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জে আয়োজিত সেমিনারে অংশ নিয়ে সেখান থেকে যে জ্ঞান অর্জন করেছেন সেই জ্ঞান তার নিজের শহর রায়গঞ্জ কে সবুজায়ন করার ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে চান। তাপস পাল বলেন রায়গঞ্জ শহরকে গ্রীন ও শাস্টানেবল শহর বানানোর জন্য প্রথমে রায়গঞ্জ শহর থেকে প্লাস্টিক মুক্ত করবার অভিযান চালাতে হবে। শহরে যাতে কোন ভাবেই প্লাস্টিক ব্যবহার করা না হয় সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।তাপস বাবু বলেন যেহেতু রায়গঞ্জ শহরে পুকুরের সংখ্যা অত্যন্ত কম সেই জন্য পশুপাখিদের জল খাওয়ানোর জন্য ব্যবস্থা করতে হবে।শহরে যাতে মুক্ত অবস্থায় কোন নর্দমা না থাকে তার ব্যাবস্থা করতে হবে। কারণ পরিবেশ দূষণ ও মশা ঘটিত বিভিন্ন অসুখের কারণ হল মুক্ত নর্দমা।তাপস বাবু বলেন তিনি বিভিন্ন দেশে গিয়ে দেখেছেন প্লাস্টিক বোতলকে কেটে তার মধ্যে মাটি ভরে গাছ বপন করে শহরের বিভিন্ন স্থানে রেখে কিভাবে শহরকে সবুজায়ন করা যায়। রায়গঞ্জ শহরের মধ্য দিয়ে যে ডিভাইডার গুলি আছে তার মাঝে এই গাছগুলি লাগানো যায় তাহলে রায়গঞ্জ শহর অচিরেই সবুজায়নের দিকে অগ্রসর হতে পারবে। পাশাপাশি প্রত্যেক বাড়ির সামনে কমপক্ষে একটি করে গাছ সহ ফুলের টব রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।এছাড়া শহরের মধ্যে থার্মোকলের প্লেট বাটির ব্যবহার অবিলম্বে বন্ধ করার দিকে জোড় দিতে হবে। তাপস বাবু বলেন রায়গঞ্জ শহরকে দূষণমুক্ত ও সবুজায়ন করার ক্ষেত্রে মোট কুড়িটি প্রস্তাব সম্বলিত একটি চিঠি রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাসের হাতে তুলে দিয়েছেন।আশা করা যায় রায়গঞ্জ পৌর সভা তার ডাকে সাড়া দেবেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});