ইন্টারনেটের দৌলতে মুহূর্তের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে উধাও ইনল্যান্ড লেটার, পোস্ট কার্ড
1 min readএখন
সেই
ব্যস্ততা
পুরোপুরি
উধাও। কারণ এখন আর কেউ হ্যাপি নিউ ইয়ার কিংবা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানতে ইনল্যান্ড লেটার, পোস্ট কার্ড কিংবা রেজিস্টার্ড ডাকে কার্ড পাঠন না। ইন্টারনেটের
দৌলতে
মুহূর্তের
মধ্যেই
সোশ্যাল
মিডিয়ায়
মাধ্যমে
শুভেচ্ছা
বার্তা
পৌঁছে
যাচ্ছে
প্রিয়জনদের
মোবাইল
ফোন
কিংবা
কম্পিউটারের
স্ক্রিনে। তাই ডাকঘরগুলিতে শুভেচ্ছা বার্তার কার্ড পাঠানোর কোনও ব্যস্ততা দেখা যায়নি।
বক্তব্য,
ই–মেইল,
মোবাইল
ফোনে
হোয়াটসঅ্যাপ,
ম্যাসেঞ্জার,
ট্যুইটারের
যুগে
আজ
প্রিয়জনদের
কার্ড
পাঠানো
ইতিহাস
হয়ে
গিয়েছে। এখন আর কেউ নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে পোস্ট কার্ড, ইনল্যান্ড লেটার ব্যবহার করেন না। চিঠি
লেখা
অথবা
ডাক
ব্যবস্থার
মাধ্যমে
তা
পাঠানো
আজ
নিতান্তই
গল্পগাঁথা
হয়ে
উঠেছে। সেসব দিনের স্মৃতিকে অউরে প্রবীণ ডাক কর্মীদের বক্তব্য, এখন মানুষ খুব তাড়াতাড়ি তাঁদের কাছের মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে চান। সেজন্য
মোবাইল
ফোন,
কম্পিউটার
ব্যবহার
করছেন। ডাকযোগে বার্তা পাঠানোর বিষয়টি নেহাতই সেকেলের ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রায়গঞ্জের বিশিষ্ট
চিকিৎসক
সাহিত্যিক
জয়ন্ত
ভট্টাচার্য
বলেন,
মানবিক
বস্তুজগত
থেকে
আমরা
ডিজিটাল
দুনিয়াতে
প্রবেশ
করেছি। মানুষকে এখন চেনা যায় না। কিছু
রং
ও শব্দের
দুনিয়ায়
আমরা
ভেসে
বেড়াচ্ছি। আমরা পরস্পর পরস্পরকে অনুভব করতে পারছি না। পরস্পর
পরস্পরের
অভাব,
দুঃখ,
কষ্ট
কোনওটাকেই
আত্মা
দিয়ে
ভাবতে
পারছি
না। গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করছে ডিজিটাল দুনিয়ার রথী মহারথীরা। সাধারণ
চোখে
বস্তুজগৎ
অনেক
ধীর
হলেও
তার
মধ্যে
স্থিরতা
ছিল। এখন মানুষের অনেক গতি বেড়েছে, সেই গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে আমাদের মন হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা
সবসময়ে
কিছু
যন্ত্রের
দ্বারা
চালিত
হচ্ছি। সেকারণেই হাতে লেখা শুভেচ্ছা বার্তা, চিঠি লেখা ইত্যাদি আজ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা
শুধুমাত্র
গতির
কথা
ভাবছি। তাড়াতাড়ি বার্তা পাঠানোই আমাদের কাছে এখন অগ্রাধিকারে থাকছে। তার
সঙ্গে
মনের
খুব
একটা
যোগাযোগ
আছে
বলে
মনে
হয়
না। ডিজিটাল দুনিয়াটাই বাস্তব, তার কাছে আমাদের নতিস্বীকার করে নিতেই হবে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});