December 26, 2024

মতুয়া সমাজের উন্নয়নের যোগ্য নেতৃত্ব তথা একনিষ্ঠ কর্মী বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ডঃপ্রহ্লাদ রায়

1 min read
তপন চক্রবর্তী-উত্তর দিনাজপুর— মতুয়াদের আদিপুরুষ শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও তাঁরপুত্র শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের শিক্ষা ও সমাজ ভাবনানিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃপ্রহ্লাদ রায় ।অধ্যাপক ডঃ রায় “লোক শিক্ষা ও বাংলা সাহিত্যে শ্রী শ্রীগুরুচাঁদের অবদান” নিয়ে যে গবেষণা করেছেন তা  প্রথম বলা চলে ।কারন তাঁর পূর্বে মতুয়াদের  শিক্ষা ভাবনা নিয়ে আর কেউ গবেষণা করেন নি ।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনয় ভবনের শিক্ষাবিভাগের অধ্যাপক ডঃপ্রহ্লাদ রায়ের তত্ত্বাবধানে ও উদ্যোগে ছয়জন শিক্ষার্থী হরি-গুরুচাঁদ তথা মতুয়াবিষয়ে গবেষণা করে ডিগ্রি অর্জন করেছেন । এছাড়াও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী সংগীত ভবনে অধ্যাপক ড.প্রহ্লাদ রায়ের তত্ত্বাবধানে মতুয়া সংগীতের উপর গবেষণা করেছেন স্নিগ্ধামুখার্জী । প্রসংগত ২০০৬ সালে মার্চ মাসে DISTANCE EDUCATION PROGRAMME, SARVA SHIKSHA ABHIYAN, AND OSMANIA UNIVERSITY র উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনাচক্রে অধ্যাপক ডঃ  প্রহ্লাদ রায় জাতীয় স্তরেIntellectual Society র সামনে সর্বশিক্ষা ও সার্বিকস্বাস্থ্যবিধানে ১২৫ বছর আগে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরও গুরুচাঁদ ঠাকুরের অবদান ও কর্মকান্ড তুলেধরেছিলেন ।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সেদিন সর্বভারতীয় স্তরে শিক্ষাবিভাগের উপস্থিত অধ্যাপকগণ মুগ্ধ হয়েছিলেন । ২০০৯ সালে অধ্যাপক ডঃ প্রহ্লাদ রায় উদ্যোগ নিয়ে চিঠি লিখে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও তাঁর পুত্র শ্রী শ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুরের শিক্ষা ও সমাজ ভাবনা নিয়েবিস্তারিত ভাবে পশ্চিবঙ্গ       সরকারকে অবগত করান।অধ্যাপক ডঃ রায়ের দেওয়া চিঠি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও অনগ্রসরকল্যাণ মন্ত্রী যোগেশ বর্মণ শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামাঙ্কিত পুরস্কার ঘোষণা করেন । ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মহা আড়ম্বরে রবীন্দ্রসদনে সকলের উপস্থিতিতে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ -গুরুচাঁদ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল পশ্চিম বঙ্গ সরকার । উক্ত অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সদনে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক ডঃপ্রহ্লাদরায় ।কলকাতার বুদ্ধিজীবী মহল তথা বিদ্বজ্জনদের অনুরোধে ২০১০সালে আগস্ট মাসে কলকাতা বাংলা আকাদেমিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুদানে শ্রী শ্রী হরি-গুরুচাঁদের শিক্ষা ও সমাজভাবনা শীর্ষক জাতীয় স্তরের আলোচনা চক্রের আয়োজন করেছিলেন ।বক্তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ হলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালযের উপাচার্য অধ্যাপক করুণা সিন্ধু দাস, ত্রিপুরা রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী অনিল সরকার, পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রীযোগেশ বর্মণ সহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ ।এই আলোচনাচক্রের আয়োজন ও সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক প্রহ্লাদ রায় ।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

    অধ্যাপক প্রহ্লাদ রায় নিজে মতুয়া পরিবারের সন্তান ।শৈশব থেকে মতুয়া ভাবাদর্শে বড় হয়ে উঠেছেন ।২০০৪ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের সকল জেলা সহ অন্যান্য রাজ্যে ও মতুয়াদের সংগঠিত করে সম্মেলন করে চলেছেন ।ত্রিপুরা, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, আসাম, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, দিল্লি, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকেরমত রাজ্যগুলিতে মতুয়াদের সংগঠিত করেছেন ।শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের ভক্ত সহ মতুয়া সমাজে প্রহ্লাদ রায় এখন সর্বজনগ্রাহ্য ব্যক্তিত্ব।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *