বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকে কেন্দ্র করে তৃণমূল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে
1 min read
সংবাদদাতা চাকুলিয়া, ৩রা জানুয়ারি :গত বুধবার ইসলামপুর মহকুমার অন্তর্গত গোয়ালপোখর – ২ নম্বর ব্লকের বিদ্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীগঞ্জ, রামপুরহাট,গুহাস এম এস কে ও কালারাম মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয় তৃণমূল কংগ্রেস পার্টিতে যোগদান পর্ব।এই চারটি স্থানে সিপিএমের-১ ফরওয়ার্ড ব্লকের-১ এবং নির্দল থেকে – ২ মোট ৪ জন নির্বাচিত সদস্য/সদস্যাগণ ও শতাধিক কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জনাব গোলাম রব্বানী প্রতিটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে দলে যোগদান কারী নতুন সদস্য/সদস্যাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন।জনাব রব্বানী তার বক্তব্যে বলেন, এমন একটা সময় ছিল যখন আমি ও আমার পিতা এই এলাকায় কোন ভোট পায়নি। আজ মা-মাটি-মানুষের সরকারের উন্নয়ন দেখে মানুষ নিজেরাই তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করছে। এটা খুশির খবর।ধীরে ধীরে জনশূন্য হচ্ছে বিরোধী শিবির।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এর ফলে বিরোধীরা ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে সাধারণ মানুষকে কাছে টানার চেষ্টা করছে।সাধারণ মানুষ চাই উন্নয়ন। তাই সাধারণ মানুষ মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়ন কে হাতিয়ার করে আজ দলে দলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছে।অন্যদিকে ফরওয়ার্ড ব্লকের চাকুলিয়া লোকাল কমিটির সভাপতি মহম্মদ মহসীন রহমানীর বক্তব্য, তিনি বলেন বুধবার তাদের দলের কেউই তৃনমূল কংগ্রেসে যোগ দান করেনি।এটা তৃণমূলের ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়। কিছু স্বার্থাণ্বেষী মানুষ তৃণমূলের প্রলোভনে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তৃণমূলে গিয়েছিল যাদেরকে ফরওয়ার্ড অনেক আগেই দল থেকে বহিষ্কার করেছে।সি পি আই (এম) পার্টির চাকুলিয়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক আব্দুস সামাদ কাদরী জানিয়েছেন, রামপুরের একজন নির্বাচিত আদিবাসী সদস্য বাধ্য হয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন।তিনি অভিযোগ করেন, বিদ্যানন্দপুর জি, পি, তে তৃণমূলের বোর্ড গঠনের পর তাকে পঞ্চায়েতে ঢুকতে দিত না কিংবা তার এলাকায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েত কোন কাজ না করায় বাধ্য হয়ে ওই সদস্য তৃনমূলে যোগদান করেছে যেটা গনতন্ত্রের পক্ষে অসুভ লক্ষণ।কিন্তু জনগণ এখনো আমাদের পার্টিতে আছে। অন্যদিকে এই যোগদান শিবির গুলিতে গোয়ালপোখর ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সেতাব উদ্দিন ওরফে মুন্না, কার্যকরী সভাপতি একরামুল হক, সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতি ফারুক আব্দুল্লাহ। উপস্থিত না থাকায় এলাকায় জল্পনা তুঙ্গে। ব্লক সভাপতি সেতাব উদ্দিন ওরফে মুন্না কে উক্ত শিবিরে তার অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বুধবারের প্রোগ্রাম সম্বন্ধে তার কাছে কোন রকম খবর ছিল না।একই কথা কার্যকারী সভাপতি একরামুল হক ও সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতি ফারুক আব্দুল্লাহর। ব্লক সভাপতি সেতাব উদ্দিন ওরফে মুন্না বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রী গোলাম রব্বানীকে জানিয়েছেন এবং রাব্বানী সাহেব বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।কিন্তু এলাকার মানুষের মুখে মুখে চর্চার বিষয় অন্য রকম। ভিতরের অন্তর্দন্ড বহির্প্রকাশ পেতে বেশি দেরি নেই। আর এতেই খুশি বিরোধী শিবির।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});