কালিয়াগঞ্জে কো-অপারেটিভ সোসাইটির বিরুদ্ধে চল্লিশ লক্ষ টাকার তছরূপের বিস্ফোরক অভিযোগ আনলো প্রতিষ্ঠানের কর্মী,পরিচালক কমিটি অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অবাস্তব বলে উড়িয়ে দেন
1 min readকালিয়াগঞ্জে কো-অপারেটিভ সোসাইটির বিরুদ্ধে চল্লিশ লক্ষ টাকার তছরূপের বিস্ফোরক অভিযোগ আনলো প্রতিষ্ঠানের কর্মী,পরিচালক কমিটি অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অবাস্তব বলে উড়িয়ে দেন
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,২৩,ফেব্রুয়ারী:উত্তর দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী এক সময়কার সমবায় ক্ষেত্রে বিধান চন্দ্র রায় শিল্ড জয়ী কালিয়াগঞ্জ কো-অপারেটিভ মাল্টি পারপাস সমবায় সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মচারী চল্লিশ লক্ষ টাকা তছরূপের চাঞ্চলকর তথ্য লিখিত ভাবে পেশ করলেন।
সোমবার রাত ৯টায় কালিয়াগঞ্জ প্রেস ক্লাব ভবনে কালিয়াগঞ্জ কো-অপা রেটিভ মাল্টিপারপাস সমবায় সমিতির দুই কর্মচারী স্বপ্নন ঘোষ এবং সুনীল সাহা সাংবাদিকদের সামনে অর্থ তছরূপের স্বপক্ষে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।সংস্থার কর্মী চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরে বলেন এই সমবায় সমিতির পূর্বেকার সম্পাদক জহর লাল ঘোষের আমলের আনুমানিক চার লক্ষ টাকার তছরূপের টাকার হিসাব কোনভাবেই মিলাতে না পারার জন্য আট থেকে নয় বছরের অডিট করাতে পারছেন না।সমিতির গ্যাস বিভাগ,রেশন বিভাগ এবং এই সমিতির হাট কালিয়াগঞ্জে অবস্থিতভুইহারা মৌজায় ২২ একর জমি আছে।সেই জমি বিভিন্ন ভাবে অবৈধ উপায়ে সমিতির জনৈক ডিরেক্টর,সভাপতি ও সম্পদকের আঙ্গুলীহেলনে তা বিক্রি করে দেবার অভিযোগ উঠলো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে।
সমিতির অবসরপ্রাপ্ত ম্যানেজার সুনীল সাহা বলেন সমিতি থেকে বর্তমান সভাপতি টাকা নিয়ে তিনি সুদের ব্যবসা করে যাচ্ছে।যা অবিলম্বে বন্ধ করা হোক।শুধু এখানেই শেষ নয় সমবায় সমিতি থেকে ইনকাম ট্যাক্সের টাকা দিতে গিয়েও সেখানেও বড়সড় গাফলা হয়েছে বলে প্রাক্তন মানেজার সুনীল সাহা বলেন।প্রতিষ্ঠানের দুই বর্ও প্রাক্তন কর্মীর গতকালের ডাকা সাংবাদিক সম্মেলনের পর পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন মঙ্গলবার বেলা ১২টায় সমবায় ভবনে একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন সমিতির সভাপতি স্বপন নন্দী এবং সম্পাদক মুনসুর আলী।সমিতির সভাপতি স্বপন নন্দী সাংবাদিকদের বলেন কালিয়াগঞ্জ মাল্টিপারপাস সমবায় সমিতি ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।এই সমিতি উত্তরবঙ্গের মধ্যে অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে চলেছে।
বেশ কিছু বিভাগ থাকায় অনেক সময় অপটুডেট হিসাব করা সম্ভব হয়না।অডিটের কাজের জন্য পুরোদমে কাজ উঠানো হচ্ছ সমবায় সমিতর অডিট কাজ শেষই হলোনা অথচ আমাদে বিরুদ্ধে অর্থ তছরূপের অভিযোগ আনলেন।যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত,আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত বলেই আমাদের মনে হচ্ছে।সমিতির সম্পাদক মঃ মনসুর আলী। বলেন আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ,অথচ আমাদের জানালেন না,সমবায় দপ্তরের জেলা অধিকারীকেকে জানালেন না।জানালেন জেলা সাশককে।এর থেকেই বোঝা যায় আমাদের বিরোদ্ধে কালিমা লেপনের জন্যই এই প্রেস মিট করা হয়েছে।আসলে যে দুইজন কর্মী এটা করেছে তাদের একজন স্বপন ঘোষকে সম্প্রতি তার কাজের।জায়গা থেকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে এবং অপর টেম্পুরারি ম্যানেজার সুনীল সাহাকে তার বার্ধক্যজনিত কারনে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।বদলি ও ছেড়ে দেবার কারণে তারা এই ঘটনার অবতাড়না করেছেন বলেই তাদের মনে হয়েছে।যদি আমাদের মধ্যে অর্থ অর্থ তছরূপের কোন ঘটনা ঘটেই থাকতো তাহলে এতদিন পরে কেন এই অভিযোগ আনা হল?এই কর্মী দুজন দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে আসছিল।এর পেছনে আর কোন কারন থাকতে পারেনা বলেই তাদের বিশ্বাস।