অপেক্ষার ওপারে থাকে রোদ্দুর ।আমোদিত রোদ্দুর
1 min read
তুহিন শুভ্র মন্ডল এক নতুন রোদ্দুরের খোঁজ পেলাম আজ বেলেঘাটা সুকান্ত মঞ্চে মাঙ্গলিক-এর নাট্য উৎসবে।আজ ছিল পঞ্চম বৈদিকের আমোদিত রোদ্দুর ।নাট্য রচনা দেবেশ চট্টোপাধ্যায় ও নির্মল ভার্মা।সিনোগ্রাফি ও নির্দেশনা দেবেশ চট্টোপাধ্যায়।অভিনয়ে অঙ্কিতা মাঝি ও অর্পিতা ঘোষ।প্রথমেই বলি এই নাটক জাগিয়ে দেয় জীবনের গায়ে গায়ে লেগে থাকা অনুভূতির নানা পরতকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যে অনুভব নিজের দিকে তাকাতে বলে।তাকাতে বলে মনের গহীন কোনে বসে থাকা একটা আমি যে অপেক্ষা করে একটা গন্ধের,একটা রোদ্দুরের।এই নাটক তাই আমার আর একটা আমির সাথে ঘন হয়ে বসতে চাওয়া নাটক যা মঞ্চে চলাকালীন সমান্তরাল ভাবে দর্শকের মনেও চলে ।যেখানে চলতে থাকে এক নিরন্তর অন্বেষণ ,দর্শকও নিজেকে খুঁজে ফেরার প্রক্রিয়ায় অবলীলায় অবচেতনে নিজেকে যুক্ত করে ফেলে।অঙ্কিতা মাঝি ও অর্পিতা ঘোষ এত নিয়ন্ত্রিত ভাবে বিরতির আগে ও পরে নিজেদের বেঁধেছেন যে তাদের বাহবা দিতেই হয়। আবেগের ছুঁয়ে যাওয়া উচ্চারণ আছে ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মঞ্চের সবটা জুড়ে অভিনয়ে চরিত্ররা ‘হয়ে উঠলো’ একটা বোধ,একটা দর্শন ।অব্যক্ত কথা কিংবা চোখের কোণে থাকা জলের মায়া এক নতুন রোদ্দুরের খোঁজ দেয় যে রোদ্দুরে তাপ নেই কিন্ত আলো আছে।যে আলোতে নিজেকে ভিজিয়ে নেওয়া যায়।নাটকে ছড়িয়ে আছে সময় এবং তাকে ঘিরে অসংখ্য স্পেস।যে স্পেস সচেতন ভাবেই তৈরি করেন নাট্যকার এবং নির্দেশক যাতে কিনা দর্শক সেখানে মিশে যেতে পারে।আর সেই সময়ই শ্রেয়ান চট্টোপাধ্যায়ের মিউজিক এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায় দর্শককে যেখানে জাগতিক সব কিছু ভুলে ঝুম হয়ে বসে থাকতে ইচ্ছে করে।এমনকি নাটক শেষেও কথা বলতে খুব বেশী ইচ্ছে করেনা।আলোর কারিগরি সমস্যাকে দূরে রেখেই দর্শক কাছ থেকে দেখে নিতে পারে জীবনের এপিঠ-ওপিঠকে। আর শেষটা কি অর্থবহ ! কি সম্ভাবনাময়! দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশনা প্রতিবার এক অন্য স্তরে অন্য ডাইমেনশনে আমাদের নিয়ে যায়।আমোদিত রোদ্দুর তার মধ্যেও ‘অন্যরকম’ হয়ে থাকলো।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});