১১ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগরে সভা করতে আসছেন অমিত শাহ, জানালেন শান্তনু ঠাকুর
শেষ পর্যন্ত নিজের দেওয়া কথা রাখলেন অমিত শাহ। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরনগরে পা রাখছেন তিনি। সেখানেই সভা করবেন শাহ। এই খবর নিশ্চিত করেছেন বনগার বিজেপি সাংসদ তথা ঠকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুর। উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি বঙ্গ সফরে আসার কথা ছিলো অমিত শাহের। পরের দিন ঠাকুরনগরে সভা করার কথা ছিলো তার। কিন্ত রাজধানী দিল্লিতে বিস্ফোরণের কারনে সেই সভা বাতিল করেন শাহ। যা নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয় ঠাকুরনগরে। এরপরেই অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি ঠাকুরনগরে আসবেন। মঞ্চ যেন খোলা না হয়।ঠাকুরনগরে আসার ৪৮ ঘন্টা আগে তিনি জানিয়ে দেবেন বলেও জানান। কিন্ত সেই ৪৮ ঘন্টার অনেক আগেই ঠাকুরনগরে আসার কথা জানিয়ে দিলেন তিনি।
শান্তনু ঠাকুর জানান, তিনি ১১ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগরে সভা করবেন বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ। মূলত ঠাকুরনগরের সভায় অমিত শাহের কাছে মতুয়াদের মূল দাবি সিএএ। অমিত শাহের কাছ থেকে নাগরিকত্বের আশ্বাস পেতে মরিয়া মতুয়ারা। ইতিমধ্যে সিএএ চালুর দাবিতে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে সভা করেছেন মতুয়ারা। ফলে অমিত শাহ এসে নাগরিকত্ব নিয়ে ঠাকুরনগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে কি বার্তা দেবেন সেদিকে তাকিয়ে বাংলার বৃহত্তর মতুয়া সমাজ।এদিকে রাজনৈতিক মহলের মতে, অমিত শাহ ১১ তারিখ যদি ঠাকুরনগরে এসে সভা করেন এবং নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে বড়ো কোনও ঘোষনা দেন তাহলে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বেশ খানিকটা হলেও চাপের মুখে পড়ে যাবে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। মাত্র কয়েকদিন আগেই রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জোরের সঙ্গে বলেছিলেন, অমিত শাহ আর কোনওদিনই ঠাকুরনগরে আসবেন না।
তিনি দাবি করেন, নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়কে ঠাকাচ্ছে বিজেপি। খাদ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ তোলার প্রায় ৭২ ঘন্টার মধ্যেই ঠাকুরনগরে এসে সভা করার সিদ্ধান্ত নেন অমিত শাহ। যে কথা জানিয়ে দেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।আর এই সভাতে অমিত শাহ যদি নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে মতুয়াদের মন জয় করে নিতে পারেন তাহলে বাংলা জয়ের ক্ষেত্রে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ পেয়ে যেতে পারে বিজেপি। কারন, এবারের ভোট মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোট ব্যাংক একটি ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোট বিজেপি এবং তৃণমূলের পক্ষে প্রায় ৫০-৫০ শতাংশের হারে রয়েছে। সেক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে তৃণমূল চাইছে যেন তেন প্রকারেণ সেই মতুয়া ভোটব্যাংককে ধরে রাখতে। অন্যদিকে, আগামী ১১ তারিখ অমিত শাহ এসে মতুয়া সম্প্রদায়ের অন্যতম দাবি নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে যদি সদর্থক ঘোষনা দিয়ে যান তাহলে ভোটের বাজারে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে মতুয়া ভোটব্যাংকের মন জয়ে অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারে বিজেপি।