জরাজীর্ণ বাড়ির মালিক রতন কুণ্ডু একটি পাকা বাড়ি পাবার জন্য বার বার প্রধানের দ্বারস্থ হয়েও পাকা বাড়ি আজও অধরা
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৩০ জানুয়ারী:প্রকৃত হত দরিদ্রদের জন্য যে গৃহ প্রকল্প গুলি আসছে ঠিক।তার উল্টো কাজ করে যাচ্ছে দিনের পর দিন কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বোচাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তৃপক্ষ। হত দরিদ্র রতন কুন্ডু,মালা সরকারের ভাঙ্গাচোরা ঘরবাড়ি থাকার পরেও দরখাস্ত দেবার কয়েক বছর হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত তাদের কাছে সরকারের দেওয়া পাকা বাড়ি অধরাই থেকে গেছে।অথচ এই বোচাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে বার বার একটি পাকা ঘরের জন্য দরবার করলেও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শুধু নয় কেও তাদের কথা রাখেনি।রতন কুন্ডু সহ গ্রামের অনেকের অভিযোগ আমাদের জন্য সরকারের পাঠানো ঘর অন্যরা দ্রুত পেয়ে যাচ্ছে অথচ যাদের ঘর পাবার কথা তারা ভাঙ্গা ঘরে দিনের পর দিন রাতের পর রাত সাপ আর মানুষ একসাথে বাস করে।অথচ ইচ্ছাকৃত ভাবে সরকারি সমর্থকদের নানানভাবে দ্রুত দেবার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।
এসব কি হচ্ছে?তিনি জানান তারপরে যারা আবেদন করেছে তাদের ঘর হলেও তাদের পাড়ার অনেকেরই ঘর হয় না এর কারণটা ঠিক বুঝতে পারছেন না তিনি। পরে দিয়ে আগে পেয়ে যাচ্ছে আর আমরা আগে জমা দিয়েও পাচ্ছি না এর পেছনে কোন অজ্ঞাত কারণ আছে বলে তিনি মনে করছেন।বোচাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের মালা সরকার বলেন আমরা আগে আবেদন করেও ঘর পাই না অথচ আমাদের অনেক পরেও আবেদন করার সাথে সাথে ঘর পাওয়া যায় যারা পায় তাদের বাড়িতে ইতিমধ্যে পাকা বাড়িও আছে। সেই সমস্ত বাড়ির লোকেরাই এই সরকারি বাড়িগুলো পাচ্ছে। কেন আমাদের গরীবদের জন্য যে ঘরগুলি আসছে সেই ঘরগুলি যাদের পাকা বাড়ি আছে তারা আবার নতুন করে পাচ্ছে? রতন কুন্ডু জানান এখন যিনি প্রধান তিনি আসলে প্রধান নন আসল প্রধান তার স্বামী। আমি সবসময় প্রধানের চেয়ারের পাশেই বসে থাকে আর মিনুবালা যিনি প্রধান তিনি শুধু নানেই। প্রধানের দায়িত্ব আছেন আসলে তার স্বামী।তিনি তার ইচ্ছামত যা খুশি তাই করে যাচ্ছেন।