১১ বছরের শিশু কন্যাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠলো সৎমায়ের বিরুদ্ধে
1 min readবিশ্বজিৎ মন্ডল, মালদা : শেয়াল খেয়ে নিয়েছে ছাগল,তাই কন্যা সন্তানকে প্রাণে মেরে দিতে ঝাপলো সৎমা।সেই কারণেই ১১ বছরের শিশু কন্যাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠলো সৎমায়ের বিরুদ্ধে।স্থানীয়দের তৎপরতায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে শিশু কন্যা।বর্তমানে চিকিৎসা চলছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।উত্তেজিত গ্রামবাসী মারধর দিয়ে সৎমা ও বাবাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজ বাজার থানার লক্ষিপুর এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,আক্রান্ত শিশু কন্যার নাম তামান্না খাতুন(১১)।অভিযুক্ত সৎমায়ের নাম কহিনূর বিবি ও বাবা লালু শেখ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তামান্নার মা হামেদা বিবি গত সাত বছর আগে মারা যায়।এরপর তার বাবা লালু সেখ পেশায় দিন মজুর বিবাহ করেন কহিনূর বিবির সাথে। অভিযোগ, ছোট্ট শিশু কন্যাকে পড়াশোনা না করিয়ে ছাগল চড়ানোর কাজ করাতেন সৎ মা।প্রতিদিনের মত শনিবার বাড়ির ছাগল গুলি নিয়ে মাঠে চড়াতে যায় তামান্না।সেই সময় একটি ছাগলকে শেয়ালে তুলে নিয়ে গিয়ে খেয়ে ফেলে।এরপর শিশুটি ঘরে ফিরে আসলে সৎমা শুরু করে নির্মম অত্যাচার।ধারালো অস্ত্র নিয়ে শিশু কন্যার উপর চড়াও হয় সৎ মা। ধারালো অস্ত্রর আঘাতে জখম অবস্থায় গ্রামবাসীরা শিশুটিকে উদ্ধার করে শনিবার রাতেই মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।স্থানীরা ধরে সৎমা কোহিনুর বিবি,বাবা লালু শেখকে মারধর করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ সৎমা কোহিনুর বিবি, বাবা লালু শেখ ও শাশুড়ি মানোয়ারা বিবিকে গ্রেফতার করেছে।রবিবার শিশুটির সাথে দেখা করেন জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান চৈতালি সরকার।তিনি জানান,বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।তামান্নার চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।আমরা দেখা করেছি তার সাথে।শিশু কন্যার চিকিৎসা বিষয়ে যা যা দরকার আমরা ব্যবস্থা করেছি।অভিযুক্ত সৎ মায়ের যাতে কঠোর শাস্থি হয় সেই দিকে আমাদের চেষ্টা রয়েছে।