October 23, 2024

ইটাহারের কাপাসিয়ায় সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প চালু হল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে

1 min read
গত কাল সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের উদ্বোধন হল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের কাপাসিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রকল্পটি তৈরি হয়েছে  ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, রাজ্যের দুটি জেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে এই পাইলট প্রকল্পটি শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার প্রতিটি ব্লকে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে।স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে বাড়ি বাড়ি থেকে জঞ্জাল সংগ্রহ করা হবে। জৈব বর্জ্য থেকে কেঁচো সার ৎপাদন অজৈব বর্জ্য বিক্রি করা হবে। এথেকে যা আয় হবে তা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের উপার্জন হবে।



 এদিন কাপাসিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীমণি লক্ষ্মীপুরে একটি প্রকল্প চালু হল। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইটাহারের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক অমল আচার্য, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) অশোককুমার মোদক।অশোকবাবু বলেন, রাজ্যের দুটি জেলায় পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। তারমধ্যে আমাদের জেলাও রয়েছে। এর আগে আমাদের জেলায় আরও তিন জায়গায় এই সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এদিন কাপাসিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে চতুর্থ সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পটি চালু হল।


জেলা পরিষদ জানিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রকল্পটি পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে শুরু হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কমলাবাড়ি, চোপড়া পঞ্চায়েত হেমতাবাদে প্রকল্পটি চালু হয়েছে। কাপাসিয়ায় প্রকল্পটির জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। যার মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে ব্যয় করে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে, ২০ লক্ষ টাকা মিশন নির্মল বাংলার মাধ্যমে ব্যয় করে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, রিকশ কেনা হয়েছে বাকি পাঁচ লক্ষ টাকা আনন্দধারা প্রকল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। এই অর্থে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কাপাসিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চার কাঠা জমির উপরে প্রকল্পটি গড়ে তোলা হয়েছে। বর্জ্য পদার্থ ফেলার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বাড়ি বাড়ি থেকে বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করবেন। এজন্য এলাকার বাসিন্দাদের মাসে সামান্য টাকা দিতে হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ওই বর্জ্য সংগ্রহ করে নিয়ে এসে এখানে তা বাছাই করবেন। জৈব পদার্থ থেকে এখানেই কেঁচো সার ৎপাদন করা হবে। তার জন্য একটি কিটও তৈরি করা হয়েছে।এর ফলে গ্রামীণ এলাকায় একসঙ্গে কর্মসংস্থান এলাকাকে দূষণমুক্ত করা সম্ভব হবে বলে প্রশাসনের দাবিপাশাপাশি প্লাস্টিক সহ অন্যান্য সংগৃহীত পদার্থ বিক্রি করেও এখান থেকে উপার্জন হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *