আমরা দেশের স্বর্ণযুগের অপেক্ষায় আছি ,ওরা দলের স্বর্ণযুগের স্বপ্ন দেখে। । শুক্রবার এভাবেই বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে বিঁধলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অশান্তি তৈরির প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলল তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে বিজেপি সহ বিরোধীরা যে দাবি করেছে, তাও এদিন উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব।
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সমস্ত আঞ্চলিক দলকে নিয়ে ঐক্য গড়ার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মুম্বইতে সাংবাদিক সম্মেলনে পরোক্ষে বিরোধীদের ফেডারেল ফ্রন্টকে আক্রমণ করেন অমিত শাহ। অ–বিজেপি আঞ্চলিক দলগুলিকে বিড়াল, সাপ, বাঁদর, ইঁদুরের সঙ্গে তুলনা করে ব্যঙ্গ করেছেন বিজেপি সভাপতি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট ফের মোদির নেতৃত্বে বিজেপি জিতবে। তাই ২০১৯ সালে বিজেপির স্বর্ণযুগ আসতে চলেছে বলে দাবি করেন অমিত। এদিন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব গোটা দেশে বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। অমিত শাহরা তা দেখে শঙ্কিত। ওরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পায়। তাই এসব মন্তব্য করছে। মানুষের স্লোগান, ২০১৯ বিজেপি হবে ফিনিস। ওদের সঙ্গে আমাদের ফারাক হচ্ছে ওরা দলের স্বর্ণযুগের স্বপ্ন দেখে। আমরা বলছি, বিজেপি ক্ষমতা থেকে চলে গেলে দেশের স্বর্ণযুগ ফিরে আসবে। দেশবাসী সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বলেন। পার্থ বলেন, তিনি যে ভাষায় ও যে ভঙ্গিতে কথা বলছেন, তাতে প্ররোচনার ইন্ধন রয়েছে। এদিন বিজেপির মিছিলে দলীয় পতাকা লাগানো বর্শা দেখা গিয়েছিল। এই প্রসঙ্গের জের টেনে পার্থ বলেন, আমরা সবার বক্তব্য ও অস্ত্র মিছিলের ছবি টেপ করে রাখছি। দিলীপের দাবি, মনোনয়নে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। পার্থ এদিনও ফের বলেন, বিজেপি সহ বিরোধীদের ওই দাবি ধোপে টেকে না। ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশের বেশি আসনে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছে। তৃণমূল মহাসচিবের কটাক্ষ, এত মনোনয়ন কি ভূতেরা দিচ্ছে? অসত্য অভিযোগ নিয়ে একদল গান্ধী মূর্তি (বিজেপি) আরেক দল নির্বাচন কমিশনে (বামফ্রন্ট) ধর্না দিচ্ছে রাজ্যবাসীকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে। তাঁর মতে, বিজেপি এরাজ্যে সিপিএমের সহযোগিতায় বিশৃঙ্খলা তৈরিতে সচেষ্ট হয়েছে। মানুষের দরবারে তারা সবাই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে আস্থাশীল। তাই নির্বাচনে উন্নয়নই তৃণমূলের একমাত্র হাতিয়ার।