পঞ্চায়েত দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রব্বানির খাসতালুক গোয়ালপোখরে গোঁজের কাঁটায় বিদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস অর্ধেক পঞ্চায়েতেও দখল করতে পারল না
1 min readসংবাদদাতা: গোঁজের কাঁটায় বিদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস অর্ধেক পঞ্চায়েতেও দখল করতে পারল না পঞ্চায়েত দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রব্বানির খাসতালুক গোয়ালপোখরে । এখানে ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ছ’টি তৃণমূল এবং দু’টি নির্দল দখল করেছে। বাকি ছ’টি ত্রিশঙ্কু অবস্থায় আছে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে চাকুলিয়াতে রব্বানি সহেব পর্যবেক্ষক ছিলেন। সেখানকার ১১টির মধ্যে মাত্র তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল জয়ী হয়েছে। অবশ্য গোঁজ এখানে ফ্যাক্টর হয়নি। বিরোধী দলগুলির সংগঠন খানিকটা থাকায় শাসকদলকে হোঁচট খেতে হয়েছে। একটি গ্রাম পঞ্চায়েত ফরওয়ার্ড ব্লক পেলেও বাকি সবক’টি ত্রিশঙ্কু হয়ে আছে। গোটা রাজ্যেই তৃণমূল অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে। সেদিক দিয়ে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর ও চাকুলিয়াতে শাসকেরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, সবক’টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই তারা বোর্ড গঠন করবে।
রব্বানি সাহেব বলেন, গোয়ালপোখরে অনেক নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তাঁরা আমাদের দলেরই লোক। সকলেই দলে চলে আসবেন। তাই বোর্ড গড়তে তৃণমূলের কোনও অসুবিধা হবে না। চাকুলিয়াতে বিরোধিরাও এককভাবে পঞ্চায়েত দখল করতে পারেনি। সেখানেও আমরা বোর্ড গড়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছি। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আমাদের দখলেই রয়েছে। আশা করি জয়ীরা কেউ অন্য দলে থাকবেন না। চাকুলিয়ার বিজেপি নেতা তথা দলের শিক্ষক সেলের জেলা আহ্বায়ক বিশ্বনাথ মৃধা বলেন, বিজেপির প্রতি মানুষ আস্থা রেখেছে। এই ফলাফলের মাধ্যমেই চাকুলিয়াতে বিজেপির অস্তিত্ব জানান দিয়েছে। কানকিতে আমরা বোর্ড গঠন করব। তৃণমূলকে ঠেকাতে আমরা অন্য দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করব।
গোয়ালপোখরে মোট ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এখানে ২০৪টি গ্রাম সংসদের মধ্যে ২৪টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। বাকিগুলির মধ্যে তৃণমূল ৭৯টি, বিজেপি ১৪টি, সিপিএম ১২টি, ফব ১০টি, কংগ্রেস ছ’টি এবং নির্দল ৫৮টি সংসদ দখল করেছে। জৈনগাঁওয়ের একটি গ্রাম সংসদ টাই হয়ে গিয়েছে। পাঞ্জিপাড়া, খাগর, জৈনগাঁও, মহুয়া, ধরমপুর এবং গোয়ালপোখর মোট ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল জিতেছে। গতি, সাহাপুর-১, ২, গোয়াগাঁও-১, ২ এবং পোখরিয়া ত্রিশঙ্কু হয়ে আছে। লোধন গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩টি গ্রামের মধ্যে আটটিতে নির্দলের প্রার্থীরা জিতেছেন। অন্যদিকে ধরমপুর-২ পঞ্চায়েতের ১৫টি গ্রামের মধ্যে আটটিতে নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
চাকুলিয়াতে ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এখানে গ্রাম সংসদ ১৭৪টি। এরমধ্যে তৃণমূল ৬৬, বিজেপি ২২, সিপিএম ৩০, ফব ৩২, কংগ্রেস আট এবং নির্দল ১৪টি গ্রাম দখল করতে পেরেছে। একটিতে ভোট হয়নি। একটি অন্যান্যরা পেয়েছে। এখানকার চাকুলিয়া, বিদ্যানন্দপুর ও সাহাপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল দখল করেছে। বেলন গ্রাম পঞ্চায়েতটি ফব’র দখল গিয়েছে। বাকি সাতটি পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে। রাজনৈতিক মহল বলছে, তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুরের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন সময়ে জেলায় এসে চাকুলিয়া দখলের বার্তা দলের স্থানীয় ও জেলা নেতৃত্বকে দিয়ে গেলেও দল তারা তা করে দেখাতে পারেনি।
গোয়ালপোখরে মোট ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এখানে ২০৪টি গ্রাম সংসদের মধ্যে ২৪টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। বাকিগুলির মধ্যে তৃণমূল ৭৯টি, বিজেপি ১৪টি, সিপিএম ১২টি, ফব ১০টি, কংগ্রেস ছ’টি এবং নির্দল ৫৮টি সংসদ দখল করেছে। জৈনগাঁওয়ের একটি গ্রাম সংসদ টাই হয়ে গিয়েছে। পাঞ্জিপাড়া, খাগর, জৈনগাঁও, মহুয়া, ধরমপুর এবং গোয়ালপোখর মোট ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল জিতেছে। গতি, সাহাপুর-১, ২, গোয়াগাঁও-১, ২ এবং পোখরিয়া ত্রিশঙ্কু হয়ে আছে। লোধন গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩টি গ্রামের মধ্যে আটটিতে নির্দলের প্রার্থীরা জিতেছেন। অন্যদিকে ধরমপুর-২ পঞ্চায়েতের ১৫টি গ্রামের মধ্যে আটটিতে নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
চাকুলিয়াতে ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এখানে গ্রাম সংসদ ১৭৪টি। এরমধ্যে তৃণমূল ৬৬, বিজেপি ২২, সিপিএম ৩০, ফব ৩২, কংগ্রেস আট এবং নির্দল ১৪টি গ্রাম দখল করতে পেরেছে। একটিতে ভোট হয়নি। একটি অন্যান্যরা পেয়েছে। এখানকার চাকুলিয়া, বিদ্যানন্দপুর ও সাহাপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল দখল করেছে। বেলন গ্রাম পঞ্চায়েতটি ফব’র দখল গিয়েছে। বাকি সাতটি পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে। রাজনৈতিক মহল বলছে, তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুরের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন সময়ে জেলায় এসে চাকুলিয়া দখলের বার্তা দলের স্থানীয় ও জেলা নেতৃত্বকে দিয়ে গেলেও দল তারা তা করে দেখাতে পারেনি।