পাহাড়েও মুখ্যমন্ত্রীর মিনি সচিবালয় তৈরি হবে
1 min readরিচমন্ড
হিলে
মুখ্যমন্ত্রীর
ওই
অফিস
তৈরি
করবে
উত্তরবঙ্গ
উন্নয়ন
দপ্তর। পাশাপাশি নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে কার্শিয়াংয়ের শতাব্দী প্রাচীন রাজরাজেশ্বরী হল। গোর্খা
জনমুক্তি
মোর্চার
আন্দোলনের
সময়ে
ওই
ঐহিহ্যবাহী
হলঘরটি
পুড়িয়ে
দেওয়া
হয়েছিল। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর হলঘরটি তৈরির জন্য দেড় কোটি টাকা ও মুখ্যমন্ত্রীর মিনি সচিবালয় তৈরির জন্যও দু’কোটি টাকা দিয়েছে। শুক্রবার
উত্তরকন্যায়
জেলা
প্রশাসন
এবং
সংশ্লিষ্ট
দপ্তরের
আধিকারিকদের
সঙ্গে
রিভিউ
মিটিং
করেন
উত্তরবঙ্গ
উন্নয়নমন্ত্রী
রবীন্দ্রনাথ
ঘোষ। বৈঠকের পর তিনি বলেন, দার্জিলিংয়ে রিচমন্ড হিলে মুখ্যমন্ত্রীর অফিস তৈরি হচ্ছে। এরজন্য
ডিপিআর
তৈরি
হয়ে
গিয়েছে। রাজরাজেশ্বরী হল তৈরির জন্য দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কাজ
শুরু
হয়েছে। লাটাগুড়িতে একটি রিসর্ট তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। সেখানে
এক
একর
জায়গার
উপর
সেটি
তৈরি
হচ্ছে। খরচ হবে আট কোটি টাকা। অত্যাধুনিক
ওই
রির্সটে
১৮টি
রুম,
ক্যান্টিন,
ভিআইপি
লাউঞ্জ
থাকবে। রিসর্টের কাজ প্রায় শেষের পথে। পুজোর
আগে
সেটির
উদ্বোধনের
চেষ্টা
হচ্ছে। ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের হাতে সেটি তুলে দেওয়া হবে। তারা
সেটি
চালাবে। শিলিগুড়ি গেট নির্মাণের কাজও প্রায় শেষের পথে। আর
কিছুদিনের
মধ্যে
এর
উদ্বোধন
করা
হবে। নতুন প্রকল্পের মধ্যে মালদহের নঘড়িয়াতে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু, উত্তর দিনাজপুরে সুই নদীর উপর একটি ও গোয়ালপোখরে দু’টি সেতু তৈরি করবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর। লাভা
থেকে
লোলেগাঁও
পর্যন্ত
১৬
কোটি
টাকা
ব্যয়ে
২৩
কিলোমিটার
রাস্তা,
কোচবিহারের
রবীন্দ্র
ভবনটি
নতুন
করে
তৈরি
করা
হচ্ছে। এর জন্য খরচ হবে সাত কোটি টাকা। এছাড়াও
ছয়
জেলার
দু’টি
নতুন
কলেজ
নির্মাণ
সহ
১৮টি
কলেজের
বর্ধিত
বিল্ডিংয়ের
জন্য
৫৪
কোটি
টাকা
বরাদ্দ
হয়েছে। ডুয়ার্সে পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে ১০০টি টিউবওয়েল বসানো হবে। পরীক্ষামূলক
ভাবে
ছয়
জেলার
তিনটি
করে
ব্লকে
জলসেচের
জন্য
সৌরচালিত
পাম্পসেট
চাষিদের
দেওয়া
হবে। এরজন্য ১২৮ কোটি টাকা খরচ হবে।
মন্ত্রী বলেন,
পঞ্চায়েত
নির্বাচনের
জন্য
প্রায়
দুই
মাস
সমস্ত
কাজ
পিছিয়ে
গিয়েছে। প্রায় ৩০০ কোটি টাকার কাজের আমরা টেন্ডার করতে পারতাম। তা
করা
যায়নি। বিশেষ করে শুখা মরশুমে রাস্তার কাজগুলি করতে হয়। কিন্তু
এবার
তা
করা
যায়নি। বর্ষার আগে আর রাস্তার কাজ করা যাবে না। প্রায়
২০০
কোটি
টাকার
রাস্তার
কাজ
আমরা
করতে
পারছি
না। বর্ষার পরে দ্রুত যাতে কাজ শুরু করা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি
জানান,
পুরনো,
মাঝপথে
পড়ে
থাকা
প্রকল্পগুলি
দ্রুত
শেষ
করার
পাশাপাশি
নতুন
বেশ
কয়েকটি
প্রকল্প
হাতে
নেওয়া
হয়েছে।