মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় মালদার জয়জয়কার হলেও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলের মেধা তালিকায় নেই মালদা
1 min read
বিশ্বজিৎ মন্ডল, মালদা : মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় মালদার জয়জয়কার হলেও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলের মেধা তালিকায় নেই মালদা।রাজ্যের প্রথম দশে মালদার কোনো ছাত্রছাত্রীর জায়গা করতে না পারলেও জেলায় প্রথম স্থান দখল করেছেন মানিকচক শিক্ষা নিকেতনের ছাত্র রোহান সাহা। রাজ্যে সম্ভাব্য ১১ তম স্থান দখল করেছে।তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮০ ।রোহানের এমন ফলাফলে বেজায় খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে এলাকাবাসী।মালদা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিমি দূরে অবস্থিত মানিক
চক ব্লক।মানিকচকের মথুরাপুর এলাকার বাসিন্দা রোহান সাহা।শৈশবেই বাবা রঘুনাথ সাহাকে হারিয়েছে রোহান।মা মিরা সাহাকে নিয়ে বসবাস।মানিকচক শিক্ষা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র রোহান।উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলটা যে নজর কারা হবে তা অবশ্য জানতো পরিবার। স্বভাবে লাজুক রোহানের ফলাফল জানতে পেরেই খুশির হওয়া পরিবারে।আত্মীয় পরিজন থেকে শিক্ষক সকলেই তার শুভকামনা ও মিষ্টি মুখ করান।এপ্রসঙ্গে মা মিরা সাহা জানান,”রোহানের ফিজিক্স বিষয়ের শিক্ষক বিকাশ বাবু ফোন করে জানাই রোহান নাকি জেলায় প্রথম হয়েছে।তারপরই তার বিদ্যালয় থেকে রোহানের জেলায় প্রথম ও রাজ্যে ১১ তম স্থানের কথা জানায়।তা জানতে পেরে আমরা বেজায় খুশি।আমরা ভেবেছিলাম রাজ্যে মেধা তালিকায় থাকবে রোহান।১ নম্বরের জন্য মেধা তালিকায় তার নাম নেই।তবুও আমরা খুবই খুশি। ১ নম্বর আমার কাছে কোনো ব্যাপার না।ছেলে জেলায় প্রথম হয়েছে এটাতেই আমি খুশি।ছোট থেকেই ছেলে পড়াশোনাই খুব মনোযোগী রয়েছে।তবে পরীক্ষার কয়েকমাস ছেলে খুব পড়াশোনা করেছে দরজা জানালা বন্ধ করে।ছেলে ৪৮০ পেয়েছে।বাইলজি ওর দিদি পড়াতো।তিনটা টিউশন ছিলো ছেলের।ওর দিদি যেহেতু ডক্টর তাই ছেলেও ডক্টর হতে চাই”।রোহান জানান,”আমি আশা করেছিলাম ১০ এর মধ্যে আসবো।কিন্তু ১ নম্বরে জন্য ছুটেছে।তবুও জেলায় প্রথম হয়ে ভালই লাগছে।প্রথম দিকে ঢিলেঢালা থাকলেও টেস্ট পরীক্ষার পর পড়াশোনা বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।এই ফলাফলের কৃতিত্ব প্রথমে মা তারপরই শিক্ষকরা।ছোটো থেকেই ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে আমার”।রোহান স্বভাবে লাজুক।পড়ার ঘরে একমাত্র চিত্র স্বামী বিবেকানন্দ।ফেসবুক উহাটসপ কোনো দিন পছন্দ না রোহানের।ক্রিকেট খেলাটা প্রিয়।টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখতে ভালোবাসে রোহান।সাথে একটু সময় পেলেই গিটার বাজানো ও রবীন্দ্র সংগীত পছন্দ রোহানের।