আর্থিক দুরাবস্থা নাসির এর প্রতিভাকে দমাতে পারেনি,তা দেখিয়ে দিলো উচ্চমাধ্যমিক এর ফলাফলে।
1 min read
আনওয়ারুল হক,—চাকুলিয়া— চাকুলিয়া ব্লকের অন্তর্গত প্রত্যন্ত গ্রাম
ভুঁইধর।অপ্রিয় হলেও সত্যি গ্রামে বিদ্যুতের আলোও পৌঁছায়নি। সেই গ্রামের বাশিন্দা ইব্রাহিমের সুযোগ্য ছেলে নাসির হোসেন এবারের
উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষায় ৯২ শতাংশ নাম্বার পেয়ে এলাকাকে যথারীতি তাক লাগিয়ে দিয়েছে।যারপরনাই
উচ্ছ্বসিত শিক্ষকগন ও তার পরিবার সহ এলাকাবাসী।দুই বছর পূর্বে মাধ্যমিকে প্রথম বিভাগে
পাশ করে নাসির।
ভুঁইধর।অপ্রিয় হলেও সত্যি গ্রামে বিদ্যুতের আলোও পৌঁছায়নি। সেই গ্রামের বাশিন্দা ইব্রাহিমের সুযোগ্য ছেলে নাসির হোসেন এবারের
উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষায় ৯২ শতাংশ নাম্বার পেয়ে এলাকাকে যথারীতি তাক লাগিয়ে দিয়েছে।যারপরনাই
উচ্ছ্বসিত শিক্ষকগন ও তার পরিবার সহ এলাকাবাসী।দুই বছর পূর্বে মাধ্যমিকে প্রথম বিভাগে
পাশ করে নাসির।
আর্থিক অনটন থাকায় বাবার পাশে দাঁড়াতে সেইদিন সে পড়াশোনা ছেড়ে ভিন রাজ্যে
কাজ করতে যাবে বলে স্থির করে।কিন্তু এলাকা বাসী ও গ্রামের আর পাঁচজনের পরামর্শ ও সহায়তায়
সে চাকুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে কলা বিভাগে ভর্তী হয়। আর্থিক দুরাবস্থা বাধ সাধে বলে ইচ্ছে
থাকলেও সেদিন বিজ্ঞান নিয়ে ভর্তী হতে পারেনি। এহেন অবস্থায় নাসির নতুন করে মনোবল ও
আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়। তাই আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।সেখান থেকেই পরিশ্রম করে ৯২ শতাংশ
নাম্বার পেয়ে নাসির দেখিয়ে দিলো প্রতিবন্ধকতাকে কিভাবে জয় করা যেতে পারে। নাসির বিষয়ভিত্তিক
যথাক্রমে পায়, বাংলায় ৮২,ইংরাজি তে ৯২,ভূগোলে ৯৭, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসে ৮৭ আর আর
অতিরিক্ত বিষয় দর্শনে ৯৫।
কাজ করতে যাবে বলে স্থির করে।কিন্তু এলাকা বাসী ও গ্রামের আর পাঁচজনের পরামর্শ ও সহায়তায়
সে চাকুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে কলা বিভাগে ভর্তী হয়। আর্থিক দুরাবস্থা বাধ সাধে বলে ইচ্ছে
থাকলেও সেদিন বিজ্ঞান নিয়ে ভর্তী হতে পারেনি। এহেন অবস্থায় নাসির নতুন করে মনোবল ও
আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়। তাই আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।সেখান থেকেই পরিশ্রম করে ৯২ শতাংশ
নাম্বার পেয়ে নাসির দেখিয়ে দিলো প্রতিবন্ধকতাকে কিভাবে জয় করা যেতে পারে। নাসির বিষয়ভিত্তিক
যথাক্রমে পায়, বাংলায় ৮২,ইংরাজি তে ৯২,ভূগোলে ৯৭, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসে ৮৭ আর আর
অতিরিক্ত বিষয় দর্শনে ৯৫।
এ বিষয়ে চাকুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাসুদেব
দে মহাশয় জানান যে, “পড়াশুনায় বরাবরই ভালো নাসির, ভালো ফলাফল করবে বলে আমরা আগেই
ইঙ্গিত পেয়েছিলাম।হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসে নাসির এত ভালো ফলাফল করায় স্কুলের সুখ্যাতি
বাড়িয়ে দিয়েছে।” প্রসঙ্গত চাকুলিয়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার তিনজন ছেলে ৯০ শতাংশের
অধিক নাম্বার পেয়েছে এবং অনেকেই প্রথম বিভাগে পাশ করে বলে জানান বাসুদেব মহাশয়।অত্যন্ত
ভারাক্রান্ত স্বরে নাসির হুসেন জানায়, “অভাব অনটন ছিলো তার নিত্যসঙ্গী। মাঝেমধ্যে
পড়াশুনার ফাঁকে দিনমজুরির কাজ করে খরচ যোগাতে হত।এত ভালো ফলাফলে খুশি হলেও ভবিষ্যতে
এগোতে পারবো পারবো কি না জানি না।ভূগোল বিষয়ের ওপর একজন আদর্শ শিক্ষক হয়ে এ পিছিয়ে
পড়া এলাকায় শিক্ষাদান করতে চাই” বলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে জানালো নাসির। সরকারি সহায়তার
আশ্বাস পেলে নাসির হয়ত একদিন তার প্রতিভা বলে সমাজের একজন সম্পদ হয়ে উঠতে পারে বলে
মত প্রকাশ করেন স্থানীয় যুবক মানসুর আলাম।
দে মহাশয় জানান যে, “পড়াশুনায় বরাবরই ভালো নাসির, ভালো ফলাফল করবে বলে আমরা আগেই
ইঙ্গিত পেয়েছিলাম।হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসে নাসির এত ভালো ফলাফল করায় স্কুলের সুখ্যাতি
বাড়িয়ে দিয়েছে।” প্রসঙ্গত চাকুলিয়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার তিনজন ছেলে ৯০ শতাংশের
অধিক নাম্বার পেয়েছে এবং অনেকেই প্রথম বিভাগে পাশ করে বলে জানান বাসুদেব মহাশয়।অত্যন্ত
ভারাক্রান্ত স্বরে নাসির হুসেন জানায়, “অভাব অনটন ছিলো তার নিত্যসঙ্গী। মাঝেমধ্যে
পড়াশুনার ফাঁকে দিনমজুরির কাজ করে খরচ যোগাতে হত।এত ভালো ফলাফলে খুশি হলেও ভবিষ্যতে
এগোতে পারবো পারবো কি না জানি না।ভূগোল বিষয়ের ওপর একজন আদর্শ শিক্ষক হয়ে এ পিছিয়ে
পড়া এলাকায় শিক্ষাদান করতে চাই” বলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে জানালো নাসির। সরকারি সহায়তার
আশ্বাস পেলে নাসির হয়ত একদিন তার প্রতিভা বলে সমাজের একজন সম্পদ হয়ে উঠতে পারে বলে
মত প্রকাশ করেন স্থানীয় যুবক মানসুর আলাম।