ধামজা ফরেস্টে এই মানুষটাকে দেখে সবাই বাঘের মতন ভয় পায় কেন জানেন ?
1 min readধামজা ফরেস্টে এই মানুষটাকে দেখে সবাই বাঘের মতন ভয় পায় কেন জানেন ?
তন্ময় চক্রবর্তী উত্তর দিনাজপুর জেলার মধ্যে পর্যটন মানচিত্রে যে সমস্ত জায়গাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ধামজা ফরেস্ট। বছরের একেবারে শেষ লগ্নে এসে উপস্থিত আমরা সকলে। শীতের আমেজ গায়ে মেখে ছুটি কাটানোর সেরা সময় হলো এই ডিসেম্বর। আর ডিসেম্বর মাস মানেই পিকনিক খাওয়া দাওয়া ও আড্ডা। শহরের কোলাহলের একঘেয়ে জীবনকে পিছনে ফেলে শীতের পিকনিক একটা সময় হতো এই কালিয়াগঞ্জ এর ধামজা ফরেস্টে। কিন্তু আজ সে যেন ইতিহাস। অনেক পরিকল্পনাই করেছিল সরকার এই ফরেস্ট কে ঘিরে। রাজ্যের মন্ত্রী ও এসে ঘুরে দেখে গিয়েছিল এই জঙ্গলে। কিন্তু আজ সে সব কিছু খাতায়-কলমে থাকলেও বাস্তবে তার বিন্দুমাত্র কোন পরিকল্পনাই কার্যকর হয়নি। আজ অব্দি।। তাই এখন ঘন জঙ্গলে ভরা এই ফরেস্ট শুধুমাত্র ফরেস্ট হিসেবেই থেকে গিয়েছে। চাল সেগুন মহুয়া সহ একাধিক গাছ এই ফরেস্টে গেলে দেখা যায়। কিন্তু দেখা যায় না আর মানুষের কোলাহল সেখানে।
কারণ একটাই এখানে সরকার থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে কোন পিকনিক করা যাবে না। গত কয়েক বছর ধরে এখানে বন্ধ পিকনিক। কিন্তু তাও তো জঙ্গলকে রক্ষা করতে হবে? গাছকে রক্ষা করতে হবে সেই তাগিদে বনদপ্তরের প্রহরীরা এখন ভীষণ ব্যস্ত সেগুলোর দেখভাল করতে।।
এমনই একজন বনদপ্তর এর প্রহরী চৈতু কর্মকারকে দেখা গেল সেই ঘন জঙ্গলে ভরা জঙ্গলে গিয়ে কোন মানুষ এসে কোন অসামাজিক কার্যকলাপ করছে কিনা তা কড়া হাতে দেখভাল করতে। কেউ যদি কোন গাছ চুপিসারে কাটতে চায় তাকেও সেই ভাবে বাধা দেয় এই কর্মকার বাবু। তার চিৎকার শুনে সকলে চমকে উঠে।
ফরেস্টের ভিতর উল্টাপাল্টা কাউকে দেখলেই লাথি হাতে তাকে দেখতে পাওয়া যায়, উচিয়ে চিৎকার করতে। তার বক্তব্য তিনি এই বনের রাজা। তার সামনে কেউ কিছু করলে তিনি ছেড়ে কথা বলেন না। তার বক্তব্য কেউ যাতে কোন গাছ না কাটে গাছের ডাল না কাটে পাখি যাতে না মারে সেগুলো তাকে দেখভাল করতে হয় প্রতিদিনই। তিনি সাধারণ মানুষ যারা এ ধরনের কান্ড কারখানা গুলো করতে চান তাদেরকে বুঝিয়ে বলেন গাছ কাটতে হয় না গাছের ডাল কাটতে হয় না গাছ কিন্তু কথা বলে।
। তিনি বলেন গাছ কখনোই কারো ক্ষতি করে না গাছ উপকার করে। ক্ষতি করি আমরাই। তিনি বলেন যারা এই ধরনের কান্ড কারখানা করতে চায় তাদেরকে যেমন তিনি বকাও দেন তেমন তাদেরকে বুঝিয়ে শুনিও বলেন কথা তিনি। এদিন চৈতু কর্মকারকে দেখা গেল লাঠি হাতে করা ভাবে শাসন করতে এই জঙ্গলের ভিতর যারা চুপিসারে কোন গাছের ডাল কাটছিল কিংবা জঙ্গলের ভিতর অযথা ঘুরাঘুরি করছিল। সবশেষে চৈতি কর্মকার বলেন আমার যা দায়িত্ব আমি সঠিকভাবে এখানে পালন করছি। আমি মনে করি এই জঙ্গলের বাঘ আমি। আমাকে দেখেই সবাই ভয় পায় তাই এখানে কোন অসামাজিক কাজ হয় না এখন।