December 22, 2024

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে হাশুয়াতে শুরু হল ঐতিহ্যবাহি স্বামি নাথের মেলা

1 min read

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে হাশুয়াতে শুরু হল ঐতিহ্যবাহি স্বামি নাথের মেলা

বিপ্লব চাকি ইটাহার ২৩ মে: ইটাহারে চলছে ঐতিহ্যবাহী স্বামীনাথের মেলা। প্রতিবছর বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ইটাহারের হাসুয়া গ্রামে এই মেলা বসে। সাত দিনব্যাপী এই মেলায় যোগ দিতে দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন। এই মেলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু পুরনো ইতিহাস।

উত্তর দিনাজপুরের বহু প্রাচীন মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম এই স্বামীনাথের মন্দির। এই মেলা ঘিরে নানা লৌকিক ও অলৌকিক ঘটনার কাহিনী প্রচলিত। জানা যায়, জমিদার রাজা ভূপালচন্দ্র রায়চৌধুরী স্বামীনাথের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। একসময়কার জমিদার রাজা ভূপাল চন্দ্র রায় চৌধুরী। জমিদারের মা, অর্থাৎ রাজমাতা দুর্গাময়ী দেবী তাঁর শাশুড়ি পদ্মাবতীর স্মৃতিতে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে জানা যায়।স্বামীনাথের মন্দিরের পাশেই আছে মনসা, গণেশ, অষ্টধাতুর কৃষ্ণমূর্তি, রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তি, শালগ্রাম শিলা, দুর্গা-সরস্বতী, রাম-লক্ষ্মণ, সীতা ও হনুমানের মূর্তি সহ বহু দেবদেবীর বিগ্রহ। এছাড়া চূড়ামন ও টেনহরি থেকেও মূর্তি এনে রাখা আছে।জনশ্রুতি আছে, নিঃসন্তান মায়েরা এই স্বামীনাথের মেলায় এসে মানত করলে সন্তান লাভ করেন। কৃষিকাজের প্রয়োজনীয় উপকরণ কোদাল, দা, কাস্তে, খুরপি ইত্যাদি এই মেলায় বিক্রি হওয়াটা বহু প্রাচীন ঐতিহ্য, যা আজও বজায় আছে। এছাড়া স্থানীয় তন্তুবায়দের উৎপাদিত কাপড় বিক্রি হয়। কুটির শিল্পের নানা সম্ভার নিয়েও দোকানিরা হাজির হন এই মেলায়। অনেকে দাবি করেন, এটিই উত্তর দিনাজপুরের সর্ববৃহৎ মেলা।জমিদার বাড়ির বর্তমান বংশধররা বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন মন্দিরে গিয়ে স্বামীনাথ ও সীতাকে স্বর্ণ অলঙ্কারে ভূষিত করেন। এর পর মন্দিরে পুজো শুরু হয়। স্বামীনাথের বিগ্রহটি কালো কষ্টি পাথরের তৈরি বিষ্ণুমূর্তি। এই মেলা ঠিক কত বছর পুরনো তা কেউ জানে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *