"সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ" কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বে হেলমেট বিহীন বাইক মিছিল, সচেতনতার জলাঞ্জলী, প্রশাসন নিরব।
1 min read
জয়ন্ত বোস, বর্তমানের কথা আইন নিজের হাতে নয়, আইন সকলের জন্য তাও আবার সেই আইন যদি মানুষের প্রাণ রক্ষার্থে হয়ে থাকে।পথ নিরাপত্তায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক বলিষ্ঠ প্রকল্প ” সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ ” যেখানে বিভিন্ন ভাবে পথ নিরাপত্তায় দুর্ঘটনা কে এড়াতে দিনের পর দিন সচেতনতা মূলক প্রচার চালিয়ে সর্বস্তরের পথচলতি জনগণের কাছে , বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের এমনকি বিশেষ করে বাইক চালকদের সতর্ক করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। আর প্রশাসনের এই সচেতনতা মূলক প্রচারের সাথে সংযুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন সমাজসেবক তথা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। পথচলতি মানুষের জীবনের নিরাপত্তায় এক নৈতিক সামাজিক দায়িত্ববোধে সকলের এগিয়ে আসা। সেফ সেফ সেফ ড্রাইভ। বিশেষ ভাবে দুই চাকা বিশিষ্ট বাইক চালকদের প্রতি ” সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ ” প্রকল্প টির গুরুত্ব অপরিসীম। ” পরিবারের কথা ভাবুন, নিজের জীবনের কথা ভাবুন, বাইক চালানোর আগে, মাথায় হেলমেট টি পরুন ” এই কথাগুলো সকলের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দৈনন্দিন রাজ্যের সর্বত্র জায়গার মতো কালিয়াগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে সকাল বিকাল স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন রাস্তায় ট্রাফিক চেকিং এর দ্বায়িত্ব সামলাচ্ছেন এবং বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট, লাইসেন্স, ইনসিওরেনস , পলিউশন ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেকিং করছেন এবং কোন কিছুর ঘাটতি থাকলে জরিমানা করে সরকারি ভাবে ট্যাক্স আদায় করছেন। সরকারি প্রকল্পে আইনগত কাজ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্বদের নেতৃত্বে যখন কোনো রাজনৈতিক দলের হেলমেট বিহীন বাইক মিছিল শোভা পাচ্ছে শহরের রাস্তায় তখন কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের এর বিরুদ্ধে কোনো রকম হেলদোল চোখে পরছে না, প্রশাসন নিঃশ্চুপ। কেন রাজনৈতিক পাওয়ার বলে কি ? পরীক্ষা হলে যেমন টুকলী চলে অর্থাত্ দেখে দেখে লেখা আর এরাজ্যে কি এখানে দেখে দেখে শেখা।
সরকার পক্ষের শাষক দলের নেতৃত্বদের নেতৃত্বে কর্মীদের যেমন হেলমেট বিহীন বাইক মিছিল অহরোহ চোখে পরছে তেমনি গত ৩০ জুলাই এমনি এক রাজনৈতিক নেতৃত্বে হেলমেট বিহীন বাইক মিছিল দেখলো কালিয়াগঞ্জের পুলিশ প্রশাসন এবং জনগণ। বিজেপি উত্তর দিনাজপুর জেলার নতুন সভাপতি হয়েছেন শঙ্কর চক্রবর্তী।সভাপতি হয়ে কালিয়াগঞ্জে তার প্রথম সফর শুরু করেন বাঘন বটতলী থেকে কালিয়াগঞ্জ শহর হয়ে ২ নং ধনকোল , ১ নং অনন্তপুর অঞ্চল হয়ে ৯ নং বরুনা অঞ্চলের বিস্তির্ণ পথ অতিক্রম করে রায়গঞ্জে ফিরে যাওয়া।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তাকে সংবর্ধনা দিতেই হেলমেট বিহীন বাইক মিছিল করে বিজেপির কর্মীরা। বিজেপির নব্য জেলা সভাপতি একজন সমাজসেবী রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তি হয়ে আইন কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে যেভাবে হেলমেট বিহীন বাইক মিছিলের তদারকিতে নেতৃত্ব দিয়ে গেলেন এই দীর্ঘ পথ তাতে পথ নিরাপত্তায় বিজেপির নব্য জেলা সভাপতির সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তেমনি প্রশ্ন হেলমেট বিহীন বাইক চালকদের দেখেও রাস্তায় ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশ ও পুলিশ প্রশাসনের কর্তব্যে গাফিলতি নিয়ে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ও নেতৃত্বে এক স্বপ্নের প্রকল্প ” সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ “। জনস্বার্থে এই প্রকল্পটির গুরুত্ব অপরিসীম। পথ নিরাপত্তায় “সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ” পোস্টারে এই প্রকল্পের পথ নিরাপত্তায় সচেতনতা মূলক শিবিরে জনগণের সামনে ও উদ্দেশ্যে অনেক পুলিশ আধিকারিক , বিভিন্ন সরকারি অফিসের পদাধিকারীরা, কতিপয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা সুন্দর ভাষন দেন বটে কিন্তু তারাও এই সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েই চলেছেন। এতে করে মুখ্যমন্ত্রী কে যেমন হেয় প্রতিপন্ন করে তোলা হচ্ছে তেমনি তার স্বপ্নের প্রকল্প টিকেও কারন সরকারি দপ্তরের পদাধিকারী কতিপয় ব্যক্তিরা জনসমক্ষে হেলমেট বিহীন বাইক চালাচ্ছেন তেমনি কতিপয় পদাধিকারী পুলিশ কর্তারা পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে বসে থাকা অবস্থায় সেই গাড়ির চালকরা সিট বেল্ট ব্যবহার করছেন না, যা দেখেও পুলিশ প্রশাসন নিঃশ্চুপ। এতে করে সর্বস্তরের পথচলতি জনগণের ও মোটরবাইক সহ অন্যান্য গাড়ি চালকদের প্রশ্ন ” সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ ” প্রকল্পের জনসচেতনতার জলাঞ্জলীর সাথে প্রশাসনের নিরবতা নিয়ে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});