কারোর চাকরি যাবেনা – মুখ্যমন্ত্রী
1 min readকারোর চাকরি যাবেনা – মুখ্যমন্ত্রী
তপন চক্রবর্তী,১০জুলাই:না যতই অবৈধ ভাবে চাকরি দেওয়া হোক তাদের কারো চাকরীই এই সরকারের আমলে কোন ভাবে যাবেনা।আমাদের রাজ্যে যে সমস্ত টেট পাস না করে চাকরি পেয়েছে টাকার বিনিময়,যাদের চাকরির বয়স না হতেই টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিল,যারা শুধু মাত্র সাদা খাতা দিয়েই লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিল।তারাতো এই রাজ্যেরই বেকার ছেলে মেয়ে।ঠিকই তাই।তাদেরতো মেধা না থাকলেও অর্থ ছিল।কেন তাদের চাকরি চলে যাবে।
রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রীর সদর্পে এই ঘোষণার একটাই মানে দাড়ায় যতই সিবিআই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান, আধিকারিকগন,প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সোনা মানিকের নাম অথবা নিদেন পক্ষে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম খুঁজে বের করুক আসলে তারা শুধু যে নাম মাত্র তা পরিষ্কার করেই স্বীকার করে নিয়েছেন রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।রাজ্যের প্রাক্তন আই পি এস নজরুল ইসলাম সে কথা আগাম বলে দিয়ে তার সৎ সাহসের পরিচয় দিয়ে বলে ছিলেন যে রাজ্যে একটি গাছের পাতা নরচড়া করেনা রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রীর হুকুম ছাড়া সেখানে তুচ্ছ সোনা মানিকের চাকরি দেবার কোন ক্ষমতা থাকে নাকি?এরা শুধু বিশ্বস্ত চাকরের ভূমিকা পালন করতে গিয়েই ফেঁসে যেতে বসেছে।তবে হ্যাঁ এরা বড় জোর জেলার বিভিন্ন তৃণমূলের সাব এজেন্টদের কাছ থেকে কালীঘাট থেকে কোটা অনুযায়ী চাকরির নামের তালিকার সাথে কে কত লক্ষ টাকা দিয়েছে তার একটা অংশ নিজের পরিশ্রমের আয় হিসাবে রেখে সেই অর্থ সোনা মানিকদের মত পর্ষদের চেয়ারম্যানরা হাত বদল করে পার্থ বাবুর কাছে হয়তোবা পাঠিয়ে ছিলেন।পার্থবাবু এর পর তার দায়িত্ব একজন মন্ত্রিসভার বিশ্বস্ত সৈনিক হিসাবে সেই নামের তালিকার সাথে অর্থ কালীঘাটের দরবারে পাঠিয়ে দিয়েই তার দায়িত্ব নির্দেশ মতই পালন করেছেন মাত্র।রাজ্যে যেমন বিভিন্ন দপ্তর দেখভাল করার জন্য মন্ত্রী রাখা হয়েছিল।ঠিক তেমনিভাবেই অবৈধ উপায়ে চাকরি দেবারও একটি দপ্তর ছিল যা আগে কখনো কেও ঘুনাক্ষরে বুঝতে না পারলেও এখন রাজ্যের মানুষ তা বুঝতে পেরেছে। রাজ্যের সরকারি কর্ম বিনিময় কেন্দ্র গুলোলির পাততারি গুটিয়ে নিয়ে রাজ্যের জেলায় জেলায় অথবা ব্লকে ব্লকে যে সরকার অনুমোদিত বেসরকারি অবৈধ চাকরির কর্ম বিনিময় কেন্দ্র বিগত ১১বছর ধরে চলে আসছিল।সেটা আগে কেও বুঝতে না পারলেও এখন আর সেটা কারো কাছে অজানা নয়।আসলে রাজা সরকারের চাকরি বিপনন কেন্দ্রে সব রকম চাকরি বেচা কেনা বিগত কয়েক বছর ধরেই হয়ছে।শুধু মাত্র আই এ এস বা আই পি এস বাদে আর সব চাকরিই পাবার সুবন্দোবস্ত ছিল।কিছুদিন আগে যদিও রাজা সরকারের চাকরির দোকানে ডাব্লু বিসিএস চাকরিটা দুষ্প্রাপ্য থাকলেও বর্তমানে তার সাথে কলেজের অধ্যাপকের চাকরি ও এখন পাওয়া যাচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর থেকে জানা যায়।তবে এও শোনা গেছে ভবিষতে যদি আই এ এস ও আয়ু পি এস চাকরি বিক্রি করবার কোন রকম সুযোগ সুবিধা এই সরকারের হাতে আসে তাহলে নাকি সুলভ মূল্যে এগুলো দেবার ব্যবস্থাও করা হলেও হতে পারে। আসলে ভারত বর্ষ নিয়ে একটি প্রবাদ আছে কি বিচিত্র এই দেশ। এখন সেটা পাল্টিয়ে কি বিচিত্র আমাদের এই রাজ্য?আমাদের এই রাজ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় যেমন বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যকে একশো দিনের কাজের জন্য দেশের মধ্যে প্রথম,মৎস চাষে প্রথম, প্রাথমিক শিক্ষায় প্রথম পুরস্কার দিয়েছে তেমনি কন্যাশ্রী প্রকল্প বিশ্ববন্দিত হয়েছে।যায় সব ক্ষেত্রেই প্রাধান্য পেয়েছে ব্যাপক দুর্নীতি। একশো দিনের কাজে উত্তর দিনাজপুর জেলায় যেমন পুকুর কাটতে গিয়ে ব্যাপক পুকুর চুরি তেমনি বৃক্ষরোপণ ক্ষেত্রে বৃক্ষ না লাগিয়েই লক্ষ লক্ষ টাকা কুকুর চুরি হয়ছে। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে মনে চাকরি ক্ষেত্রে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি,পুলিশ নিয়োগে দুর্নীতি,খাদ্য দপ্তরে চাকরি নিয়ে দুর্নীতি,দমকল বিভাগের চাকরি নিয়ে দুর্নীতি,স্বাস্থ্য দপ্তরের চাকরি নিয়ে দুর্নীতি যখন সারা রাজ্যে।একটা জায়গা দখল করতে পেরেছে তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই রাজ্যকে চাকরি ক্ষেত্রে এত বিশাল দুর্নীতির জন্য এখনো প্রথম পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে না কেন? এই পুরস্কার কেন্দ্রীয় সরকার অবিলম্বে রাজ্য সরকারের হাতে তুলে না দিলে ধরেই নেওয়া যেতে পারে এটি কেন্দ্রীয় সরকারের একটি বড়সর চক্রান্ত হিসাবেই সাধারন মানুষ ধরে নিতে পারে।তাই নয় কি?