কালিয়াগঞ্জ জুড়ে মোমো আতঙ্ক
1 min read
উত্তরবঙ্গ জুড়ে মোমো গেম খেলার টোপ দেওয়া চলছেই। অনেকের মোবাইলে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে লিংকটি এলে তাঁরা তা নিজেরাই ব্লক করে দিচ্ছেন। তবে একাংশ মোহে পড়ে গিয়ে পরিণতির কথা না ভেবেই গেমটি খেলা শুরু করছেন। দুই একটি ঘটনা প্রকাশ্যেও আসছে। রবিবার কালিয়াগঞ্জ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি ব্লকের দু’টি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। রবিবার দুপুরে কালিয়াগঞ্জের স্কুলপাড়ায় এক যুবকের মোমো গেম খেলাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরিবার জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে ওই যুবকের মোবাইলে মোমো খেলার অফার আসে। তিনি মোবাইলে গেমটি খেলা শুরু করেন। বিষয়টি তিনি তাঁর মামাকে দেখান। মামা সঙ্গে সঙ্গে নম্বরটি ব্লক করতে বলেন। কিন্তু তাতে ভাগ্নে তার বিনিময়ে টাকা দাবি করেন। মামা তাঁকে সেইমতো ২০০ টাকা দেন। সেই টাকায় যুবক মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাক ভরে ফের গেমটি খেলা শুরু করেন। রবিবার বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানতে পেরে রায়গঞ্জ থানা থেকে পুলিসও ঘটনাস্থলে যায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মামা বলেন, ভাগ্নে মোবাইলে মোমো গেম খেলার কথা আমাকে জানায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে নম্বরটি ব্লক করতে বলি। কিন্তু ভাগ্নে তার বিনিময়ে ২০০ নিয়ে মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাক রিচার্জ করে গেমটি খেলা শুরু করে। ভাগ্নে এনিয়ে কিছুই বলছে না। পুলিস এসেও বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে। ওর আচরণও ঠিক নেই। প্রচণ্ড রেগে রয়েছে। মোবাইল ফোনটি স্থানীয় কাউন্সিলারের কাছে জমা রয়েছে। কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিকচন্দ্র পাল বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিস ও স্থানীয় কাউন্সিলারকে জানিয়েছিলাম। তারা বিষয়টি দেখছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আমরা এনিয়ে সচেতনতা প্রচারে নামব।অন্যদিকে, মোমো গেম নিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি ব্লকের মহিপালের এক কলেজ পড়ুয়া। শনিবার রাতে তাঁর মোবাইল ফোনে একটি অদ্ভুত নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মেসেজ আসে। ছাত্রটি বুঝতে না পেরে মেসেজের উত্তর দেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণের অনুরোধ করা হয়। সেইমতো ছাত্র কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেন। এরপর তাঁকে ভিডিও কল করতে বলা হয়। কিন্তু রাজি না হওয়ায় মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। আতঙ্কিত হয়ে ছাত্রটি ফোন বন্ধ করে দেন। সকালে ঘটনাটি পরিবারকে জানান। ওই ছাত্র বলেন, আমার বিষয়টি জানা ছিল না। আমি ভেবেছিলাম কোনও বন্ধু নতুন নম্বর নিয়ে মেসেজ করছে। খুন করার হুমকি দেওয়ায় আমি সহ আমার পরিবার আতঙ্কে রয়েছি। সোমবার এনিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করব। অন্যদিকে, শনিবার রাতেই মাথাভাঙার শিকারপুরের এক কলেজ পড়ুয়াকে মোমো গেম খেলার টোপ দেওয়া হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});