সব পক্ষের কাছে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
1 min read
পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে সব পক্ষের কাছে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোর্ড
গঠন
নিয়ে
হিংসা–গুন্ডামি
এবং
তার
জেরে
মৃত্যুর
ঘটনা
যে
অত্যন্ত
দুর্ভাগ্যজনক,
স্পষ্ট
ভাষায়
তাও
জানিয়েছেন
তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, হিংসা–গুন্ডামি তা সে যেই করুক না কেন, তা বরদাস্ত করা হবে না। এই
বিষয়ে
তিনি
তাঁর
দল
তৃণমূলকেও
যে
রেয়াত
করবেন
না,
তাও
জানিয়ে
দিয়েছেন। মমতার কথায়, আমি নিজে এদিন ১৫–২০টা জায়গায় কথা বলেছি। তাঁর
আক্ষেপ,
গ্রামসভার
দু’-একটা
আসন
দখলের
জন্য
এত
প্রতিযোগিতার
কী
দরকার!
মুখ্যমন্ত্রী
বলেন,
হিংসায়
যে
কোনও
মৃত্যুর
ঘটনাই
দুর্ভাগ্যজনক। তা সে প্রাণ ওদের (বিজেপি) কারও হোক, কিংবা আমাদের।
গঠন
নিয়ে
হিংসা–গুন্ডামি
এবং
তার
জেরে
মৃত্যুর
ঘটনা
যে
অত্যন্ত
দুর্ভাগ্যজনক,
স্পষ্ট
ভাষায়
তাও
জানিয়েছেন
তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, হিংসা–গুন্ডামি তা সে যেই করুক না কেন, তা বরদাস্ত করা হবে না। এই
বিষয়ে
তিনি
তাঁর
দল
তৃণমূলকেও
যে
রেয়াত
করবেন
না,
তাও
জানিয়ে
দিয়েছেন। মমতার কথায়, আমি নিজে এদিন ১৫–২০টা জায়গায় কথা বলেছি। তাঁর
আক্ষেপ,
গ্রামসভার
দু’-একটা
আসন
দখলের
জন্য
এত
প্রতিযোগিতার
কী
দরকার!
মুখ্যমন্ত্রী
বলেন,
হিংসায়
যে
কোনও
মৃত্যুর
ঘটনাই
দুর্ভাগ্যজনক। তা সে প্রাণ ওদের (বিজেপি) কারও হোক, কিংবা আমাদের।
তবে বহু জায়গায় যে বহিরাগতদের নিয়ে এসে হাঙ্গামা পাকানো হচ্ছে, সেটাও স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মমতা। তাঁর
কথায়,
বিভিন্ন
রাজ্যের
বর্ডার
পার
করে
লোকজন
আসছে
গোলমাল
পাকাতে। এই বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বিহার বর্ডার, আলিপুরদুয়ার বর্ডার এবং মালদহ বর্ডারের উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরুলিয়ার
জয়পুরের
হিংসার
ঘটনা
প্রসঙ্গে
তিনি
বলেন,
ওখানে
পুলিসকে
অ্যাটাক
করা
হয়েছিল। একজন পুলিসকর্মী আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিসিইউ’তে ভর্তি রয়েছেন। ওখানে
আমাদের
(তৃণমূলের)
সঙ্গে
ওদের
(বিজেপি)
কোনও
গোলমাল
হয়নি। ওরা (বিজেপি) পুলিসকে আক্রমণ করেছিল। যা
রিপোর্ট
পেয়েছি,
তাতে
সম্ভবত
দু’জন
ওখানে
মারা
গিয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোট আর গ্রামসভা নিয়ে এই অবস্থা! মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পঞ্চায়েতের মতো স্থানীয় নির্বাচনে ব্যক্তিগত শত্রুতা কাজ করে। বোর্ড
গঠন
পর্বে
আমাদেরও
তিনজন
কর্মী
মারা
গিয়েছেন। আমি আমার পার্টিকেও বলেছি, শান্তিপূর্ণভাবে বোর্ড গঠন করতে। গুন্ডামি–হিংসা
বরদাস্ত
করা
হবে
না। কোনও রাজনৈতিক দলেরই কাজ নয় গুন্ডামি হিংসা করা। পুলিস–প্রশাসনকে
আক্রমণ
করা
কি
ঠিক?
ক্ষোভ
থাকলে,
তা
গণতান্ত্রিকভাবে মেটাতে হবে।
পঞ্চায়েত বোর্ড
গঠনকে
কেন্দ্র
করে
রাজ্যের
বিভিন্ন
প্রান্তের
হিংসাত্মক
ঘটনায়
মুখ্যমন্ত্রী
যে
উদ্বিগ্ন,
এদিন
তার
আঁচ
মন্ত্রীরা
পেয়েছেন
ক্যাবিনেট
মিটিংয়ে। দেগঙ্গা সহ আরও কয়েকটি জায়গার নামোল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট জেলার মন্ত্রীদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দেন মমতা। বোর্ড
গঠন
পর্ব
যাতে
নির্বিঘ্নে
সম্পন্ন
হয়,
তা
নিয়ে
এরপর
পুলিস
ও প্রশাসনের
শীর্ষকর্তাদের
সঙ্গে
নবান্নে
বৈঠকও
করেন
মুখ্যমন্ত্রী। যে কোনও ভাবে শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রশাসনিক কর্তাদের আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। নবান্ন
সূত্রে
জানা
গিয়েছে,
গোলমাল
এড়াতে
উত্তর
দিনাজপুর
জেলার
উত্তেজনাপ্রবণ
এলাকাগুলিতে
পঞ্চায়েত
বোর্ড
গঠন
প্রক্রিয়া
আপাতত
বন্ধ
রাখার
পরামর্শ
দিয়েছে
রাজ্য
নির্বাচন
কমিশন। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি ব্লকের ধেড়ুয়া এলাকার পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় আধা–সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘নাক গলানোর’ অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে করেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও
এহেন
‘নাক
গলানো’
প্রক্রিয়া
সেখানকার
কেশিয়াড়ি
ব্লকেও
চলছে
বলে
অভিযোগ
উঠেছে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ধেড়ুয়ায় কেন্দ্রীয় আধা–সামরিক বাহিনী সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি। তথ্যপ্রমাণ
জোগাড়
করা
হচ্ছে। মমতা বলেন, আইন–শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। তাতে
ওরা
(কেন্দ্রীয়
আধা–সামরিক
বাহিনী)
ঢুকবে
কেন?
এর
আগে
পঞ্চায়েত
নির্বাচনে
বিএসএফ
রাজ্যের
এক্তিয়ারভুক্ত
আইন–শৃঙ্খলা
ক্ষেত্রে
নাক
গলিয়েছিল। সীমান্তে চোরাচালান আর অনুপ্রবেশ ঠেকানোটাই ওদের কাজ। মুখ্যমন্ত্রী
বলেন,
এসব
কেন্দ্রীয়
বাহিনীর
কাজ
নয়। এখন আবার লক্ষ করছি, কেন্দ্রীয় এজেন্সির লোকজন আরএসএসের সঙ্গে মিলে রুদ্রাক্ষ বিলি করছে। অনেক
কেন্দ্রীয়
সংস্থা,
এজেন্সি
আছে। তারা সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। প্রত্যেকটি
সংস্থার
নিজস্ব
সত্তা
আর
সম্মান
আছে। আছে একটা সীমাবদ্ধতাও, প্রত্যেকের উচিত তার মধ্যে থেকে কাজ করা।