কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক কোন দলের? উত্তর এড়ালেন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি, রক্তদান শিবিরে সকলে হাজির হলেও গরহাজির বিধায়ক
1 min readকালিয়াগঞ্জের বিধায়ক কোন দলের? উত্তর এড়ালেন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি, রক্তদান শিবিরে সকলে হাজির হলেও গরহাজির বিধায়ক
তন্ময় চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ বিধায়ক কোন দলের? প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন দলের ব্লক সভাপতি। এমনই ঘটনা ঘটল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় এর ক্ষেত্রে।সৌমেন রায় কোন দলের বিধায়ক? বিজেপি না তৃনমূলের? উত্তর দিলেন না কালিয়াগঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিতাই বৈশ্য। সরাসরি প্রশ্নের এড়িয়ে বলেন, এটা বিধায়ককেই জিগ্যেস করুন।
আমি এ নিয়ে কিছু বলব না।আজ, রবিবার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের কুনোরে তৃণমূলের একটি রক্তদান শিবির ছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সমস্ত নেতা-কর্মীরা। কিন্তু দেখা গেল না এলাকার বিধায়ককে। তাহলে কী বিধায়ককে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি? উদ্যোক্তা তথা কালিয়াগঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিতাই বৈশ্য বলেন, বিধায়ক এখন বিধানসভার অধিবেশন নিয়ে ব্যস্ত। তাই অনুষ্ঠানে আসতে পারেনি।
সৌমেন রায় অবশ্য বিজেপির টিকিটে কালিয়াগঞ্জ থেকে ভোটে জিতেছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। সম্প্রতি বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে উঠেপড়ে লেগছে বিজেপি। বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে দাবি জানানোর পাশাপাশি মুকুল রায়ের ক্ষেত্রে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তারপর অবশ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, মুকুল রায় বিজেপিতেই রয়েছেন। ফলে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হচ্ছে না।সূত্রের খবর, এই ঘটনার পর অনেকেই এখন প্রকাশ্যে অনুষ্ঠান এড়াচ্ছেন।
কালিয়াগঞ্জের বিধায়কের ক্ষেত্রেও তেমনই ঘটছে বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।রবিবার কালিয়াগঞ্জ এর কুনরে মুস্তাফা নগর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির ও বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা শিবির এর আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তপন দেব সিংহ প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি দধিমোহন দেবশর্মা, তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ, কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান রাম নিবাস সাহা, কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ঈশ্বর রজক, কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল সভাপতি সুজিত সরকার এবং লায়ন্স ক্লাবের পক্ষে সুদীপ ভট্টাচার্য্য। উল্লেখ্য এ দিনেই রক্তদান চক্ষু পরীক্ষা শিবির কে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ করা যায়।সকলেই উপস্থিত থাকলেও শুধু দেখা গেল না বিধায়ককে। যা নিয়ে অবশ্য আড়ালে আবডালে প্রশ্নটা উঠছেই।