মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের কৃতীদের সম্বর্ধনা দেওয়ার পর বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কাত্তিক পাল বললেন আর্থিক প্রতিকূলতা কারো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না
1 min readমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের কৃতীদের সম্বর্ধনা দেওয়ার পর বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কাত্তিক পাল বললেন আর্থিক প্রতিকূলতা কারো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না
তনময় চক্রবর্তী একেই বলে সবুর কা ফল মিঠা হোতা হ্যায়। এমন অনেক উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর কৃতি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের, যাদের আগামী দিনে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে বাধ সেধেছে আর্থিক প্রতিকূলতা। তাদের অদম্য জেদ এবং লক্ষ্যে অবিচল থাকার মানসিকতা নিয়ে এবার যে সমস্ত কৃতি সন্তানেরা মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে কালিয়াগঞ্জ ব্লক এর মধ্যে সেরার সেরা শিরোপা পেয়েছে আজ তাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে অত্যন্ত গরীব ঘরের সন্তান ।
তাই তাদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে লক্ষ্য বড় থাকলেও তাদের চোখে কিন্তু উকি মারছে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা ।এবার তাদের মুখে হাসি ফুটাতে এগিয়ে এলো একদা কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়নের কান্ডারী বলে পরিচিত প্রাক্তন পৌর পতি তথা আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্তিক চন্দ্র পালের নেতৃত্বে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার বিজেপির ছয়জন কাউন্সিলর। আজ তারা সকলে এক হয়ে কালিয়াগঞ্জ এর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সেরার সেরা কৃতি ছাত্রীদের সংবর্ধনা দিল। আর সেখানে গিয়ে তাদের সামনে তারা কথাও দিলেন উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিকূলতা কোন বাধা হয়ে দাঁড়াবে না তাদের । তারা সবসময় তাদের পাশে রয়েছে।
এদিন প্রাক্তন পৌরপতি তথা জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র পাল সহ কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার ছয় জন কমিশনার একসঙ্গে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে কালিয়াগঞ্জ ব্লক এর প্রথম স্থান অধিকারী কৃতি দের বাড়িতে গিয়ে সম্বর্ধনা জানান তেমনি সম্বর্ধনা জানান রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিকের নবম স্থান অধিকারী কালিয়াগঞ্জ সরলা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী শ্রেয়শী দাস এর বাড়িতে গিয়েও।
এই সম্বর্ধনা যখন কার্তিক বাবু সহ বিজেপির কাউন্সিলররা তাদের জানালেন তখন তাদের মধ্যে থেকে আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া এমন একটি পরিবারের অভিভাবক কে বলতে শোনা গেল দাদা আপনি আমাদের প্রধান ভরসা। আমার সন্তান এর স্বপ্ন আরো ভালো করে পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করার।কিন্তু তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক সংকট। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আপনি যদি আমাদের পাশে থাকেন তাহলে আমার সন্তান তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। কিছুক্ষণ কার্তিক বাবু তাদের কথা শোনার পর সকলের সামনে প্রতিশ্রুতি দিলেন আপনার সন্তান এর উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিকূলতা কোন বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। আমরা সবাই বিজেপির কাউন্সিলররা আপনার পাশে দাঁড়াবো। আপনি কোন চিন্তা করবেন না। এরপর খানিকটা হতচকিত হয়ে সেই পরিবার এর অভিভাবক কে বলতে শোনা গেল দাদা আপনার মতো মানুষই হয় না। অনেকেই এসেছে ফুলের স্তবক দিয়েছে কিন্তু কেউ এমন কথা বলেননি।
তাই আপনি আমাদের কাছে ভগবান।এদিন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, আমরা আজ বিজেপি দলের পক্ষ থেকে কালিয়াগঞ্জ এ মাধ্যমিকে প্রথম বৈশালী গাঙ্গুলী দ্বিতীয় স্নেহা ঘোষ তৃতীয় সোনিয়া দাস ছাড়া রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিকের নবম স্থান অধিকারী কালিয়াগঞ্জ সরলা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী শ্রেয়শী দাস ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অভিজিৎ সাহা কে তাদের বাড়িতে গিয়ে সম্বর্ধনা দিলাম এবং তার সাথে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত আমরা কামনা করলাম। তিনি বলেন এই সমস্ত কৃতি দের সুখে দুঃখে তাদের পাশে থাকব। যদি তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হয় তাহলে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস আমরা দিয়েছি।
এছাড়াও আমরা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অভিজিৎ সাহা র বাড়িতেও গিয়েছিলাম। সে রাইটার নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিল। সে প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে পরীক্ষায় পাশ করেছে ।তাই তার এই লড়াইয়ে আমরাও তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি তার বাড়িতে গিয়ে।
তিনি বলেন আগামী দিনে যাতে অভিজিৎ সাহা যাতে আরো বড় জায়গায় পৌঁছাতে পারে তার জন্য সব রকম সহযোগিতা তাদের পক্ষ থেকে করা হবে বলে তিনি জানান।এদিন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা আট নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার কার্তিক চন্দ্র পালের সঙ্গে ছিলেন কমিশনার বর্ণালী দাস, গৌরাঙ্গ দাস, বিভাস সাহা, পিয়ালী সাহা , গৌতম বিশ্বাস।