কালিয়াগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্রে বাস স্ট্যান্ড করার জমি থাকলেও উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের বাস স্ট্যান্ড গড়ার প্রতিশ্রুতিই সার-
1 min readকালিয়াগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্রে বাস স্ট্যান্ড করার জমি থাকলেও উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের বাস স্ট্যান্ড গড়ার প্রতিশ্রুতিই সার-
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ ১২জুন: রাজ নৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া মানেই শিশুদের ললিপপ দেখানোর মতই ঘটনা বর্তমানে।উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্র মা বয়রা কালী মাতার মন্দিরের সামনে রায়গঞ্জ বালুরঘাট রাজ্য সড়কের গা ঘেঁষে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কয়েক বিঘা জমি।যেখানে একসময় কয়েক যুগ ধরে চলে আসছিল স্বর্ণময়ী দাতব্য চিকিৎসালয়। সেই স্বর্ণময়ী দাতব্য চিকিৎসালয়ের পরিতক্ত বিল্ডিং গুলো ভুতরো বাড়ি হিসেবে জঙ্গলে ঘেরা স্মৃতি হিসেবে আজও বহন করে চলেছে।
কিন্তু শহরের প্রাণকেন্দ্রে ভূতের বাড়ি গুলো জঙ্গলাকির্ন হয়ে পড়ে থাকলেও কি জেলা প্রশাসন অথবা পৌর প্রশাসন কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই এই পরিতক্ত জমিটিকে. সাধারণ মানুষের কাজে লাগানোর কোন প্রকৃত উদ্যোগ। অথচ উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের দূরপাল্লার বাস গুলি একটি বাস স্ট্যান্ডের অভাবে সেই বাসগুলিকে রাজ্য সড়কের উপর সারা রাত দাড়িয়ে থাকতে হয় ঝড় বৃষ্টির মধ্যেও। একটি সরকারি সম্পত্তির কিভাবে নষ্ট হচ্ছে তা দেখার মত কোনো মানুষ নেই। যদিও কালিয়াগঞ্জ বিধান সভার বিধায়ক আছেন,কালিয়াগঞ্জ ব্লক প্রশাসন আছে,কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর পিতা আছেন।আছেন জেলা পরিষদের তিন তিনজন নির্বাচিত সদস্য।যাদের কোন কাজ নেই।স্রেফ পাঁচটি বছর কোন কাজ না করেই বহাল তবিয়তে পদ নিয়ে শুধুই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের চেয়ার আলোকিত করে বসে থাকা ছাড়া দ্বিতীয় কোন কাজ কালিয়াগঞ্জ শহরের মানুষ দেখতে পায়নি বলে অজস্র অভিযোগ পাওয়া যায়।
কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরের মানুষদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল শহরের প্রাণ কেন্দ্রে এত বড় জায়গা দখল করে জঙ্গলে ভর্তি ভুতরে বাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকলেও উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলাশাসক অথবা জেলা প্রশাসনের কোন আধিকারিক এ ব্যাপারে একটি দিনের জন্য খোঁজ খবর নেবার সময় পান না। বেশ কয়েকমাস পূর্বে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের চেয়ারম্যান একবার কালিয়াগঞ্জ শহরের এই ভুত রো বাড়ির স্থলে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেনউত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের জমিতে উত্তর বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ একটি অত্যাধুনিক বাস স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হবে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের অর্থেই এই বাস স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হবে। কিন্তু রাজনৈতিক নেতারা যেমন প্রতিশ্রুতি দেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের চেয়ারম্যান জয়ন্ত রায় ঠিক একই রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে পৌর সবার ভোট বৈতরণী পার করেছিলেন।শুধু তাই নয় জেলা পরিষদের পরিত্যক্ত জায়গায় একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় ছিল সেই যাত্রী প্রতীক্ষালয়টিকেও রাস্তা সংস্কারের নামে ভেঙ্গে ফেলা হয়ছে। যার ফল স্বরূপ যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি ভেঙ্গে ফেলার কারনে বাস ধরতে আসা যাত্রীদের রোদ্রের মধ্যে দাড়িয়ে থেকে বাস ধরতে হচ্ছে।ফলে সাধারন মানুষ বর্তমান পৌর সভার কাজকর্মে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ।জানা যায় কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রাক্তন পৌর পিতা কার্তিক চন্দ্র পাল কালিয়া গঞ্জের অবস্থিত জেলা পরিষদে পরিতক্ত জায়গাটি জেলা পরিষদের কাছ থেকে ,লিজ নেবার জন্য তিনি চিঠি দিলেও জেলা পরিষদ থেকে আজ পর্যন্ত সেই চিঠির কোন গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি বলে জানা যায়।এ ব্যাপারে রবিবার কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর পিতা রাম নিবাস সাহা বলেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের বাস স্ট্যান্ড যাতে এই জমিতেই হতে পারে সে ব্যাপারে পৌরসভার পক্ষ থেকে থেকে আমরা চেষ্টা করছি।a ছাড়াও কালী বাড়ির সামনে যে প্রতীক্ষালয়টি ছিল সেটি যাতে দ্রুত করা যায় সে ব্যাপারে পৌরসভা অত্যন্ত তৎপর।