রাজ্যে বিজেপিকে ঠেকাতে গিয়ে বাম-কংগ্রেসদের বিধান সভা থেকে দর্শনীয় বোল্ড আউট
1 min readরাজ্যে বিজেপিকে ঠেকাতে গিয়ে বাম-কংগ্রেসদের বিধান সভা থেকে দর্শনীয় বোল্ড আউট
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১২ জুন:এবারের ২১শের বিধান সভা নির্বাচনে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এক এক রকম চিন্তা ভাবনা করে মাঠে খেলতে নেমেছিল।বিজেপি ভেবেই নিয়েছিল রাজ্যের কুর্শি দখল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। সংযুক্ত মোর্চার তিন বাহিনী ভেবেই নিয়েছিল এবার তারা যেভাবে শক্তপোক্ত জোট করে মাঠে নামতে চলেছে একদিকে মমতার সংখ্যালঘু ভোটে থাবা মেরে মমতাকে অনেকটাই কাবু করতে পারবে।দ্বিতীয়ত ত্রিমুর্তি মিলে যে আসন পাবে তাতে সরকার না গড়তে পারলেও ত্রিমুর্তি তৃণমূলকে অন্তত পক্ষে যাঁতাকলের মাঝে ফেলতে পারবে এমন একটা সংখ্যা পেয়ে যেতে সংযুক্ত মোর্চার হাতেই সরকার গড়ার আসল চাবি কাঠি থাকবেই থাকবে।অন্যদিকে তৃণমূলের এবার যা অবস্থা তাতে তৃণমূলের সুপ্রিমকেও বলতে শোনা গিয়েছে একদিকে একজন মহিলা অন্যদিকে বিজেপির তাবর তাবর নেতা নেত্রী থেকে ভারতের প্রধান মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সবাই মিলে যে ভাবে ডেইলি প্যাসেঞ্জারী করা শুরু করে দিল তাতে এবার বুঝি আর গদিতে বসা যাবেনা।তিনি অনেকটাই ভেবে নিয়েছিলেন একদিকে তার পা অন্যদিকে ভগবান এই দুটই যদি তাকে বাচলেও বাঁচাতে পারে।ভগবানের ভরসার উপর ছেড়ে দিতে হয়েছিল এই কারনে সেই সময় প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে যেভাবে তৃণমূল দল থেকে বিজেপিতে যাওয়া শুরু হয়েছিল তা দেখে কেও যদি বলে তৃণমূল ওসব নিয়ে চিন্তিত ছিলনা তাহলে সম্পুর্ন মিথ্যা কথা বলা হবে,করা হবে সত্যের অপলাপ।কিন্তূ সব থেকে আশ্চর্যের ২মে সারা দেশের দর্শকরা খেলা দেখতে বসে যে খেলা দেখলো পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে যে খেলা দেখতে পেল তাতে একটি আঞ্চলিক দল তৃণমূলের কাছে তিন সর্বভারতীয় দল বিজেপি,জাতীয় কংগ্রেস এবং সিপিআইএম দল এমন ভাবে গোল খেয়ে মাঠ থেকে পালাতে হল এই দৃশ্য আগে কখনো দেখা যায়নি।বিজেপি যদিও তাদের মূল লক্ষে পৌছ তে পারেনি ঠিকই।
কিন্তূ ৩থেকে ৭৭রে যেতে পেরেছে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যয়কে হারিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বাপের বেটার মতই কথা রেখেছে।বিজেপি একটি শক্তপোক্ত বিরোধী দলের মর্যাদা আদায় করে নিতে পেরেছে।এটাই বা কোন অংশে কম বলা যায় বিজেপির কাছে? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ দের মতে সিপিআইএম এমন দুটি দলের সাথে এবার গাঁটছড়া বেঁধেছিল আমাদের বলে দেওয়া অত্যন্ত সহজ হয়েছিল যে এবারের বিধানসভা ভোটে সিপিআইএম ব্যপক ফল খারাপ করবে অত্যন্ত ভালো ভালো প্রার্থী দিয়েও।কেননা বামেদের ঘাড়ে এমন শনির দশা
জোর করে বসিয়ে দিয়েছিল রাজ্য সিপিআইএম নেতৃত্ব যার ফল হাতে নাতে পেয়ে গেছে কিছু বুড়ো ভ্যামেদের জন্যে। বামেরা যা নিয়ে গর্ব করতে পারতো সেই গর্বের বস্তুটি এবার হারিয়ে ফেলতে হয়েছে কিছু সাময়িক স্বার্থের জন্য। যে কারনে সংযুক্ত মোর্চা গঠন করা হয়েছিল তাতে একটি মাত্র আসন পেয়েও বিজেপিকে রুখতে পেরেছে তাদের নিচুতলার কমরেড বা বণগ্রেস কর্মীরা উপর তলার নেতাদের কথাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে উপর তলার চেয়ে নীচু তলার কর্মীদের দাম ঢের বেশী।তারা ২০১৯সালেও যেমন জোট করার কারনে বাম-কং সব ভোট রামেদের বাক্সে দিয়ে ১৮টি আসনে জয়ী করেছিল।এবার বিজেপির অতিরিক্ত আস্ফালনের কারণেই সব ভোট এবার তৃণমূলে দিয়ে বিজেপিকে আটকাতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল।তা না হলে এবারে তৃণমূলের হ্যটট্রিক করার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যেত তাই নয় কি?এর উত্তর আপনারাই দেবেন।