পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে ফের বসলেন কানাইয়া লাল আগরওয়াল
1 min readপুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে ফের বসলেন কানাইয়া লাল আগরওয়াল
দেবব্রত চক্রবর্তী ইসলামপুর ইসলামপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে ফের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন কানাইয়া লাল আগরওয়ালকে । দায়িত্ব গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে শ্রী আগ্রবাল জানিয়ে দিয়েছেন কি তার প্রথম পাইরোটি হিসাবে কোভিদ সিচুয়েশন থেকে মোকাবেলা করা হবে। তিনি জানিয়েছেন করুনার তৃতীয় ঢেউ আশঙ্কায় তাই সেটিও টেও মোকাবেলার জন্য আগামী প্রস্তুতি হিসাবে আরো কয়েকটি সেভ হোম গঠন করার পাশাপাশি যাবতীয় সব রকমের অগ্রিম প্রস্তুতির কাজ করা হবে পাশাপাশি বর্তমান করুণা সমস্যা থেকে বের হবার জন্য সব ধরনের কাজ করা হবে। শহরে সেনিটাইজেশন এর কাজ করার পাশাপাশি অন্য ধরনের সব কাজ তিনি করবেন।
তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন বর্ষাকাল বৃষ্টির কারণে যেসব সমস্যা শহরে হইতে পারে এবং করোনা সংকট কারণে যতগুলি সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে তার সমাধানের জন্য তিনি যাবতীয় কাজ করবেন। তিনি বলেন চেয়ারম্যান হিসাবে উনার দীর্ঘকালের অভিজ্ঞতা রয়েছেন সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। ইসলামপুুর শহরবাসীকে করোনা সংকটকালে যেকোন সমস্যার জন্য তাাার সঙ্গে সোজাসুজি ফোনে কথা বলতে পারেন তার জন্যয তিনি দুইটি মোবাইল নাম্বারর জনসাধারণের উদ্দেশ্যে দিয়েছেন।
তিনি বলেন আবার তাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান বানিয়েছেন সে দায়িত্ব তিনি পুরোপুরি পালন করবেন বলে দাবি করেছেন।প্রসঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান করা হয়েছে প্রাক্তন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে। তিনি ফুলবাড়ি কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রতীকে ভোটে লড়াই করে পরাজিত হন। এরপর তাঁকে ওই গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের পর কানাইয়াবাবুকে নিয়েও ইসলামপুরে জল্পনা ছড়িয়েছিল সেটা সত্যি হলো। রায়গঞ্জ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে লড়াই করে হেরে গিয়েছেন কানাইয়াবাবু। তিনি দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতিও। আগে তিনি ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন।২০১৫ সালে ইসলামপুরে পুরসভা নির্বাচনে কংগ্রেস দল ক্ষমতায় আসে। ফের চেয়ারম্যান হন কানাইয়ালাল আগরওয়াল। পরে তিনি দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০২০ সালের ২১ মে ওই বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। তখন রাজ্যজুড়ে করোনার প্রকোপ ও লকডাউন চলছিল। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার পুরসভা নির্বাচন বন্ধ রাখে। সেসময় রাজ্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ অনান্য পুরসভাগুলির মতোই ইসলামপুরেও প্রশাসক মণ্ডলী বসানো হয়। প্রশাসক করা হয় কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে। বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে প্রশাসক বোর্ডের পদ থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সরিয়ে দেয় সরকার। কানাইয়াবাবুকেও তাই পুরসভার প্রশাসক পদ ছাড়তে হয়। তাঁর স্থানে প্রশাসক করা হয়েছে এগজিকিউটিভ অফিসারকে। নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে পদ ছাড়ার ঘটনা কানাইয়াবাবুর এবারই প্রথম নয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের প্রার্থী করে তৃণমূল। সেসময় কানাইয়াবাবু ইসলামপুরের বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে ভোটে লড়েন। ভোটের ফল প্রকাশের আগেই উপনির্বাচন ঘোষণা হয়। দল উপনির্বাচনে আবদুল করিম চৌধুরীকে প্রার্থী করেছিল। লোকসভায় কানাইয়াবাবু পরাজিত হন। পরাজয়ের পরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি করেন। এবারও তিনি বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। রাজ্য সরকার এবার তাঁকে ফের পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান করে একটি মেইল বার্তা পাঠিয়েছেন। বর্তমানে পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার পাঁচু গোপাল রায় প্রশাসক পদে আছেন। কিন্তু দপ্তরের কর্মীদের মধ্যে তাঁর সেই হুইপ নেই যা কানাইবাবুর ছিল। কানাইবাবু চার বার পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। ফলে তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক। গত বছর করোনা মোকাবিলায় প্রশাসক হিসেবে কানাইবাবু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। দ্বিতীয় ঢেউয়ে তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো উচিত। ফলে বাসিন্দারাও তাঁকে প্রশাসক হিসেবে চাইছিলেন।তাই প্রশাসক পদের নিয়োগ পত্র পেয়েই সেফ হোম সহ কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন।