January 12, 2025

তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র হরিরামপুরে ভোটপ্রচারে নেমে পড়লেন

1 min read

তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র হরিরামপুরে ভোটপ্রচারে নেমে পড়লেন

হরিরামপুরে ভোটপ্রচারে নেমে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। তবে সোমবার প্রথমদিনেই এক নির্বাচনী বৈঠকে নিচুতলার কর্মী অসন্তোষ তাঁকে কিছুটা বিব্রত করে। যদিও অভিজ্ঞ ওই নেতা দলের কর্মীদের মনোভাব বুঝে পরিস্থিতির সামাল দেন। ভোটের টিকিট পাওয়ার পর   সোমবার প্রথমে তিনি হরিরামপুর লায়ন্স ক্লাবের মাঠে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে ম্যারাথন বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে নিজের কেন্দ্রের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে দানগ্রাম এলাকায় দেওয়াল লিখন করেন তিনি। পরে অঞ্চল থেকে বুথস্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ও কথাবার্তা বলেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে দলের অভ্যন্তরেই কোন্দল ছিল। কিন্তু বিধানসভা ভোটে যাতে সঙ্ঘবদ্ধভাবে লড়াই করা যায়, সেজন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বিপ্লববাবু। তৎকালীন রাজ্যের মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাসকে হারিয়ে ২০১১ সালে বিধায়ক হয়েছিলেন বিপ্লব মিত্র।

২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে স্থানীয় কোন্দলের কারণেই তিনি জিততে পারেননি বলে দাবি করেছিলেন। এবার হরিরামপুর বিধানসভা থেকে আবার লড়াইয়ের সুযোগ পেতেই কোনও ফাঁকফোকর না রেখে একদম নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ভোট প্রচার শুরু করলেন। হরিরামপুর ব্লক তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলীয় কর্মসূচিতে এতদিন গরহাজির থাকতে দেখা গিয়েছে ব্লকের নেতা-কর্মীদের একাংশকে। এ ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে রিপোর্টও পৌঁছে গিয়েছিল। সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠাটাই ছিল বিপ্লববাবুর কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁর দাবি, এখন আর দলের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই।হরিরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লববাবু বলেন, এই কেন্দ্রে আমাদের এক লক্ষেরও বেশি কর্মী ও নেতা রয়েছেন। আমাদের এত বড় সংসারে মতবিরোধ থাকতেই পারে। আমরা যারা বড়রা রয়েছি, তাদের কাজই হল সকলকে একছাতার তলায় নিয়ে এসে, সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করা। হরিরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে আমাদের শত্রুপক্ষ বিজেপির বিরুদ্ধে সকলে মিলে সঙ্ঘব্ধভাবে লড়াই চালাব। হরিরামপুর ও বংশীহারি ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব যেমনভাবে প্রচার করতে বলবে, সেভাবেই আমি প্রচার চালাব। আর আমার কেন্দ্র ছাড়া আরও পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীদের জিতিয়ে আনতে হবে। হরিরামপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি আব্দুল হাতেম বলেন, এতদিন হরিরামপুর ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশকে ব্লক সভাপতি মিটিং ও দলীয় কর্মসূচিতে ডাকলে তাঁরা আসতেন না। আমাদের প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর এদিন প্রচারের কথা হঠাৎ করে জানতে পেরে অল্প সময়ের মধ্যেই কিন্তু সব অংশের কর্মীদের উপস্থিত করানো গিয়েছে। আমরা হরিরামপুর ব্লকে গত লোকসভা নির্বাচনে ১১ হাজার ভোটের লিড দিয়েছিলাম দলকে। আমাদের অভিভাবক, দলের জেলা চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্রকে সামনে রেখে সকলে এক হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছি। আমাদের মধ্যে কোনও মান-অভিমান থাকলে বসে মিটিয়ে ফেলা হবে। আমাদের কর্মীরা সঙ্ঘবদ্ধ। প্রার্থী ও সকলকে নিয়ে বসে সেই বার্তা আমি ব্লক সভাপতি হিসেবে দিয়েছি। তাঁর রণকৌশল ব্যাখ্যা করে বিপ্লববাবু এদিন বলেন, আমি কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছি। তাঁদের জানিয়েছি, পাড়া ভাগ করে কর্মীদের দায়িত্ব নিতে হবে। মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়িয়ে প্রচার করলে তৃণমূলের ভোট বাইরে যাবে না। পরে ব্লক নেতৃত্বকে নিয়ে আলাদাভাবে বৈঠক করে দলীয় রণকৌশল ঠিক করব। এদিকে, ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের কোন্দল নিয়ে কটাক্ষ করে বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, হরিরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। হরিরামপুর ও বংশীহারি ব্লকে তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে যা বিজেপির বড় বেনিফিটের জায়গা। এবার হরিরামপুর বিধানসভার মানুষ বহিরাগত কাউকে ভোট দেবেন না বলে ঠিক করে ফেলেছেন। স্থানীয় কেউ, যিনি কাজ করবেন, এমন কেউই বিজেপির প্রার্থী হবেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *