ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের চক্রান্তের শিকার হয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক অমল আচার্য, বলছে ইটাহারের বাসিন্দারা
1 min readইটাহার বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের চক্রান্তের শিকার হয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক অমল আচার্য, বলছে ইটাহারের বাসিন্দারা
তনময় চক্রবর্তী ইটাহারের উন্নয়নের কান্ডারী অমল আচার্য। তাই এখানে শেষ কথা বলবে অমল দাই। বলছে ইটাহারের সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রার্থী পদ ঘোষণা করলে আশ্চর্য রকম ভাবে দেখা যায় ইটাহারের উন্নয়নের কান্ডারী বলে পরিচিত অমল আচার্য সেখান থেকে বাদ পড়ে যান।সেখানে অমল আচার্য এর বদলে প্রার্থী হন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। এর পরে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। দলের তরফে ঘোষণার সাথে সাথে হাজার হাজার মানুষকে দেখা যায় প্রাক্তন বিধায়ক অমল আচার্যর বাড়ির সামনে চলে আসতে ।
সকলকেই দেখা যায় অমল বাবুকে জড়িয়ে ধরে বলতে দাদা তুমি এগিয়ে চলো আমরা তোমার সাথে আছি। আবেগ তাড়িত হয়ে অনেকেই আবার দেখা যায় সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়তে।এরই মাঝে আবার এদিকে ইটাহারের সাধারণ মানুষদের বলতে শোনা গেল, এমন কি হয়েছিল যে কারণে ইটাহারের উন্নয়নের কান্ডারী অমল আচার্য কে বাদ দিতে হলো ? তাদের বক্তব্য যে মানুষটি ইটাহারের উন্নয়নের জন্য নিজের জীবন সঁপে দিয়েছেন ,যে মানুষটি সব সময় মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থেকেছেন । সেই মানুষটিকে আজ দলের প্রার্থী থেকে বাদ দিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কিছু হতে পারে না। ইটাহারের বাসিন্দা রবি রঞ্জন দাস বলেন, অমল দা ইটাহারের মাটিতে আগামী দিনেও শেষ কথা বলবে। তিনি এখানকার প্রকৃত উন্নয়নের কান্ডারী। তার হাত দিয়ে যখন একের পর এক ইটাহারের উন্নয়ন হচ্ছে ঠিক তখন কি কারনে চক্রান্ত করে অমল দাকে প্রার্থী করা হলো না।
এর ফল ইটাহারে ভালো হবে না তৃণমূল কংগ্রেসের বলে দাবি করলেন রবি রঞ্জন বাবু। ইটাহারের ওপর এক বাসিন্দা শ্যামল মন্ডল জানান, আমরা কখনোই মেনে নিতে পারব না নতুন তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় প্রার্থীকে। এর ফল ভোটের বাক্সে পড়বে সে ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। তিনি বলেন ইটাহারের ভূমিপুত্র অমল আচার্য একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দলীয় টিকিট পাওয়ার যোগ্য ব্যাক্তি ছিলেন এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তিনি আরো বলেন অমলবাবু এমন মানুষ ছিলেন যে মানুষটির মনে ও প্রাণে ছিল ইটাহারের উন্নয়ন করার মানসিকতা। যার হাত ধরে ইটাহারের উন্নয়ন আজ হয়েছে অলিতে গলিতে। ইটাহার এ এমন কোন রাস্তা নেই যে তার মাধ্যমে পাকা হয়নি। তেমনি ইটাহারের বেশিরভাগ অঞ্চলের পানীয় জলের সমস্যা যেমন দূর হয়েছে তেমনি তৈরি হয়েছে ইটাহারে আধুনিক মানের বাস স্ট্যান্ড। এর পাশাপাশি ইটাহারের সবচেয়ে বড় সমস্যা নদী ভাঙ্গনের। আজ সেই সমস্যা ও অনেকটা দূর হয়েছে অমলবাবুর মাধ্যমে। পাশাপাশি কৃষকদের উন্নয়নে তার হাত ধরে প্রভূত উপকার হয়েছে। আর তাই গত ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তার জয়ের যাত্রা ছিল অব্যাহত।উল্লেখ্য ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে অমল আচার্য যেমন ৭০৫১ ভোটে তৎকালীন বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই প্রার্থী রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্রী কুমার মুখার্জি কে হারিয়ে জয়লাভ করেছিল তেমনি ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে অমল বাবু হাজার ১৯,১২০ ভোটে বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই প্রার্থী রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্রীকুমার মুখার্জিকে হারিয়ে জয়লাভ করেছিল। পাশাপাশি গত লোকসভা নির্বাচনেও বিপুল ভোটে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে এগিয়ে রেখেছিলেন অমল আচার্য তার বিধানসভা কেন্দ্র ইটাহার থেকে। সব মিলিয়ে বলা চলে ইটাহার কেন্দ্র থেকে এবার অমল আচার্য যে এবার দলের কাছে চক্রান্তের শিকার হয়েছেন সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তবে কানাঘুষা চলছে তৃণমূল কংগ্রেস এর চক্রান্তের বিরুদ্ধে তার যোগ্য জবাব দিতে আগামী দিনে অমল বাবু পদ্ম ফুল শিবিরে যোগদান করেন কিনা সেটা এখন দেখার বিষয়।এদিকে টেলিফোনে অমলবাবুর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি শুধু বলেন তিনি দলনেত্রীর কাছে সমস্ত কিছুই জানিয়েছেন এর সুবিচার পাওয়ার জন্য ।এর জন্য কয়েক দিন দেখবেন। তারপর আগামী দিনে সিদ্ধান্ত নিবেন তিনি কী করবেন।