January 13, 2025

আজ থেকে ১০ বছর আগে তৃণমূলের নেতারা কেমন ছিলেন ? আর আজ কেমন হয়েছেন?কালিয়াগঞ্জ বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা শেষে সভা মঞ্চ থেকে সেই পার্থক্য তুলে ধরলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ

1 min read

আজ থেকে ১০ বছর আগে তৃণমূলের নেতারা কেমন ছিলেন ? আর আজ কেমন হয়েছেন?কালিয়াগঞ্জ বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা শেষে সভা মঞ্চ থেকে সেই পার্থক্য তুলে ধরলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ

তনময় চক্রবর্তী  আজ থেকে ১০ বছর আগে তৃণমূলের নেতারা কেমন দেখতে ছিলেন, কি কি খাওয়া দাওয়া করতেন, চলাফেরা জীবন যাত্রার মান কেমন ছিল তাদের তার সম্পূর্ণ একটা প্রতিচ্ছবি আজ উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা শেষে সভা মঞ্চ থেকে তুলে ধরলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন আজ থেকে ১০ বছর আগের তৃণমূলের নেতা আর আজকের তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। দিলীপ বাবু আরো বলেন আজ থেকে ১০ বছর আগে পড়ার মাথায় চায়ের দোকানে তৃণমূলের নেতারা বসে থাকতো পকেটে পয়সা ছাড়াই। কেউ গেলে বলতো, খগেন দা একটু চা খাওয়াবে ? চেয়ে চেয়ে খেত। কিন্তু এখন আপনি দেখবেন তৃণমূলের সেই নেতাকে সেই পাড়ায় চায়ের দোকানে পায়ের উপর পা তুলে নাড়িয়ে বলছে কাউকে দেখলে আরে চা খেয়ে যা চা খেয়ে যা। দোকানদারকে সেই নেতাই সঙ্গে সঙ্গে বলে দিচ্ছে স্পেশাল চা দাও তো ? পয়সা কোথা থেকে আসছে এখন? দীলিপবাবু বলেন এটা পঞ্চায়েতের পয়সা ।

তিনি বলেন যে নেতা একটা বিড়ি একবারে পুরোটা ১০ বছর আগে খেত না। নিভিয়ে রেখে কানে রাখত। সে এখন লম্বা লম্বা সিগারেট খায়। আর গোল গোল ধোঁয়া ছেড়ে লোককে দেখায় দেখ কেমন পয়সার মেরে সিগারেট খাচ্ছি। তিনি বলেন ১০ বছর আগে যে তৃণমূলের নেতার ভাঙাচোরা সাইকেল ছিল। পাড়া দিয়ে যখন সাইকেল চালিয়ে সেই নেতা যেত তখন বেল বাজাতে হতো না এমনিতেই চলে যেত সাধারন মানুষ  তৃণমূলের নেতা যাচ্ছে দেখে। এখন চকচকে মোটরসাইকেল ?  তাও আবার আমাদের নেতার বাড়ির পাশ দিয়েই সেই তৃণমূলের নেতা যখন যাচ্ছে তখন পিপিপ পিপিপ করে বাজাতে বাজাতে । আর দেখায় দেখ পয়সা মেরে কেমন মোটরসাইকেল কিনেছি। আর যে নেতার ভাঙ্গা মটরসাইকেল ছিল তার এখন চকচকে গাড়ি। কালো  কাঁচ  লাগিয়ে তারা এদিক ওদিক যায় যাতে কোন লোক তাদের দেখতে না পারে। আর কোন সময় যদি কেউ দেখে ফেলে তখন গাড়ি আটকে সেই মানুষটি বলে সেই নেতা কে আমার কাছ থেকে আবাস যোজনার যে কুড়ি হাজার টাকা নিয়েছেন ওটা ফেরত দিতে হবে। আবার কেউ বলছে আমার ছেলের চাকরি দেওয়ার নাম করে যে ১০ লক্ষ টাকা আপনি নিয়েছেন ওটা ফেরত দিতে হবে।

চাকরি তো আমার ছেলের হলো না। তাই এইসব মানুষদের কাছ থেকে রেহাই পেতে অনেক সময় এখনকার তৃণমূল নেতারা হুশ করে গাড়ির কালো কাঁচ  বন্ধ করে বেরিয়ে যায় এদিক-ওদিক। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আরও বলেন যে তৃণমূল নেতার ১০ বছর আগে টিনের টালি বাড়ি ছিল । যে বাড়িতে টিনের চালে কিংবা টালি তে অজস্র ফুটো ছিল। যার ফলে ঘরের ভিতরে বেশি জল পরত বাইরে কম পড়তো। বালতি, মগ, গামলা সব রাখতে হতো। এখন সেই নেতাদের দোতলা তিনতলা চারতলা অবধি নীল সাদা রঙের দিদির শাড়ির মতো রং করা বাড়ি হয়েছে। এত টাকা এলো কোথা থেকে। দিলীপ বাবু বললেন এগুলো সবই পঞ্চায়েতের চুরি করা টাকা , জেলা পরিষদের চুরি করা টাকা ও পৌরসভার কাট মানি খাওয়া টাকা।আজ থেকে ১০ বছর আগে যে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের বাড়িতে দুইবেলা হারি বসত না।

দুই টাকা কিলো দরে চাল খেত। তাও এক বেলা খেতে পেত। সেই সময় সেই নেতাদের গালগুলো ঢুকে গিয়েছিল ভিতরে। হাড় বেরিয়ে থাকতো। চেহারা দেখলেই বোঝা যেত। এখন দেখুন সেই সব নেতাদের গালগুলো সব ফুলে ফেপে  উঠেছে। ক্রিম লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একেবারে চকচক করছে। কোথা থেকে এত পয়সা এলো তাদের। যাদের ১০ বছর আগে মাথার চুলে তেল জুটত না হাওয়াতে উরত  সেই সময় এই সব নেতাদের লাল লাল চুল। আর এখন দেখুন শ্যাম্পু মেরে চুলে টেরি কেটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোথা থেকে এত পাইসা আসছে। গরিব লোকের উন্নয়নের সব টাকা পয়সা ঝেড়ে সব ফাঁক করছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। সে পঞ্চায়েত সদস্য হোক কিংবা লোকসভার সদস্য হোক। সবগুলো দুর্নীতিগ্রস্ত। সবকয়টাই চোর। আজকের সিবিআই সব তথ্য বের করে জিজ্ঞেস করার জন্য শুধু চিঠি লিখেছে তাতে মনে হচ্ছে মরা কান্না পড়ে গেছে। মনে হচ্ছে দেখে কারো ছেলে মরেছে কারো বাবা মরেছে। এরা আবার সিবিআই কে গালাগালি দিচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *