উত্তর দিনাজপুর জেলা স্থাস্থ্যদপ্তর কুষ্ঠরোগ শনাক্ত করতে বাড়ি বাড়ি বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখবে
1 min read
উত্তর দিনাজপুর জেলা স্থাস্থ্যদপ্তর কুষ্ঠরোগ শনাক্ত করতে আগামী ১৪ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখবে। এই কর্মসূচি সফল করার জন্য জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই জেলায় কুষ্ঠ বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, ক্রমাগত প্রচারের ফলে গত কয়েক বছরে জেলায় কুষ্ঠ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেকটা কমিয়ে আনা গিয়েছে। জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা আগের চাইতে সম্প্রতি অনেকটা কমেছে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে জেলায় ১০২২ জন কুষ্ঠরোগী ছিলেন। ২০১৭ সালে তা কমে হয়েছে ৬৪০ এবং ২০১৮ সালে আরও কমে ৩৪০ হয়েছে।জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ৩০ জানুয়ারি থেকে জেলায় কুষ্ঠরোগের বিষয়ে সচেতনতা প্রচার অভিযান শুরু করেছে। জেলা স্থাস্থ্যদপ্তরের সামনে থেকে ট্যাবলো বের করে গ্রামেগঞ্জে প্রচার চলছে। ১৩ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত এভাবে প্রচার চালাবে। ১৪ তারিখ থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। তাঁরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। রোগের বিষয়ে সন্দেহ হলে তাঁরাই ওই ব্যক্তিকে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাবেন।উত্তর দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এলসিডি ক্যাম্পেন চলবে। কারও শরীরে কুষ্ঠর লক্ষণ আছে কিনা তা স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখবেন। শরীরে ওই লক্ষণ পাওয়া গেলে তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁরা নিয়ে যাবেন। সেখানে চিকিৎসক দেখে আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেবেন। স্বাস্থ্যদপ্তর প্রচার চালিয়ে গ্রামের মানুষকে সচেতন করছে। বিভিন্ন সময়ে লিফলেট বিলি করে শিবির করছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই রোগ সম্পর্কে গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা আছে। অশিক্ষা, অন্ধবিশ্বাসের কারণে কেউ কেউ এই রোগকে পূর্বপুরুষের পাপের ফল বলে মনে করেন। অনেকে আবার প্রতিবেশীদের কু-নজর বলেও জানান। এই কারণে গ্রামগঞ্জের লোকেরা রোগ লুকিয়ে রাখেন। তাঁরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান না।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});