December 22, 2024

আসুন " বিশ্ব ভালোবাসা দিবস" ভ্যালেন্টাইন ডে -তে এক অনাবিল ভালোবাসার ইতিহাস।

1 min read


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

জয়ন্ত বোস, বর্তমানের কথাভালোবাসতে এই দিনটিকে সাড়ম্বরে পালন করা হয়ভ্যালেন্টাইন ডে, এই দিনটির নাম প্রায় আমরা সকলেই শুনেছি, আজকের জেনারেশনের কাছে এই দিনটি ভালোবাসার দিন বা প্রেম নিবেদনের দিন। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা, কি ঘটনা লুকিয়ে আছে এই দিনটির পেছনে। প্রতি বছর ১৪ই ফেব্রুয়ারির দিনটি ভ্যালেন্টাইন ডে হিসাবে পালন করা হয় থাকে, চলুন জেনে নেওয়া যাক এই দিনটির ইতিহাস সম্পর্কে।ঘটনাটি ঘটে ২৬৯ খ্রিষ্টাব্দের গোরার দিকের, সেই সময় ইউরোপের রোম,পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী সাম্রাজ্য ছিল। রোমের রাজা ছিল দ্বিতীয় ক্লোরিয়াস।যিনি একজন নিরদ্রয়ি ও অত্যাচারী রাজা ছিলেন। তিনি নিষ্ঠুর ভাবে, দ্রুতগতিতে সারা পৃথিবীতে তার সাম্রাজ্য বিস্তার করছিলেন। একবার ক্লোরিয়াস তার সাম্রা জ্যে একটি সমীক্ষা চালান এবং সমীক্ষার ফল স্বরূপ তিনি জানতে পারেন, তার সাম্রাজ্যে অবিবাহিত পুরুষেরা, বিবাহিত পুরুষের থেকে বেশি শক্তিশালী।



 এরপর ক্লোরিয়াস নির্দেশ দেন তার সাম্রাজ্যে কোনও যুবক আর বিবাহ করতে পারবেনা, এই নিষ্ঠুর ঘোষণায় সমস্ত রাজ্যবাসি নিরাশ হয়ে পরে। সেই সময় রোমে একজন খৃষ্টান পাদ্রী বসবাস করতেন যার নাম ছিল সেন্ট ভ্যালেন্টাইন।ক্লোরিয়াস এই ঘোষণা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন পছন্দ হয়নি, তিনি রাজার এই আদেশের বিরোধ করেন এবং দেশের যুবকদের বিবাহ করার জন্য উৎসাহিত করেন।তার এই বিরোধের কথা, রাজা ক্লোরিয়াসের কানে পৌঁছানো মাত্র তিনি সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে গ্রেফতার করে কারাগারে বন্দি করার আদেশ দেন। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন যে জেলে বন্দি ছিলেন সেই জেলের জেলারের একটি অন্ধ মেয়ে ছিল।জেলার তার অন্ধ মেয়ের ব্যাপারে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে সবকিছু বলেন এবং তার কন্যার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ভগবানের কাছে পার্থনা করতে বলেন।জেলারের কথা মত ভ্যালেন্টাইন ভগবানের কাছে পার্থনা করেন এবং তার পার্থনায় জেলারের মেয়েটি তার দৃষ্টিশক্তি পুনরায় ফিরে পায়।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


 দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার পর মেয়েটি সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের সাথে কারাগারে দেখা করতে আসে। আর প্রথম দেখাতেই, তাদের একে অপরকে ভালো লেগে যায়। পরবর্তীতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন তাকে বিবাহের প্রস্তাব দেন। আর এই কথা রাজা ক্লোরিয়াসের কানে পৌঁছানো মাত্র তিনি সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে বিবাহের বিরধিতা করতে বলেন কিন্তু সেন্ট ভ্যালেন্টাইন রাজার এই কথা অমান্য করেন। রাজা ক্লোরিয়াস তখন সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের ফাঁসির আদেশ দেন, ফাঁসির আদেশ শোনা মাত্র সেন্ট ভ্যালেন্টাইন তার প্রেমিকাকে একটি প্রেম পত্র লেখেন।যার উপরে তিনি লেখেন ফ্রম ইয়োর ভ্যালেন্টাইন। রাজা ক্লোরিয়াস ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২৬৯ সালে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে ফাঁসি দিয়ে দেন। 


এর পর থেকেই ১৪ই ফেব্রুয়ারির দিনটি, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের শরণে, ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস হিসাবে পালন করা হয়। আজকের সময়েও যদি কোনও প্রেমিক-প্রেমিকা ভ্যালেন্টাইন ডের দিন প্রেম পত্র লেখে, তাহলেও তারা পত্রের উপরে ফ্রম ইয়োর ভ্যালেন্টাইন কথাটি লেখে।যাই হোক, প্রচলিত এই কাহিনী কতটুকু সঠিক, সেটা আমরা জানি না। তবে এটুকু জানি যে, ভালোবাসা প্রকাশের জন্য কোন বিশেষ দিনের প্রয়োজন হয় না। প্রতিটি দিন,ভালোবাসার দিন, ভালোবাসা প্রকাশের দিন।তবুও প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী ১৪ই ফেব্রুয়ারির এই দিনটি আমাদের কাছে একটু বিশেষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আসুন এই দিবসের প্রাক্কালেই শপথ নি ভালোবাসা দিয়ে ও নিয়ে সকলকে আপন করে নেওয়ার এক আন্তরিক প্রচেষ্টায় আন্তরিকতায় সকলকে কাছে পাওয়ার অঙ্গীকার।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *