আমি হাসপাতাল এ আলো দিলাম এবার আমার চাই ব্লাড ব্যাংক ও আড়াইশো বেডের হাসপাতাল বললেনকালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌর পতি কার্তিক চন্দ্র পাল
1 min read
তন্ময় চক্রবত্তী ঃ- আমি হাসপাতাল এ আলো দিলাম এবার আমার চাই ব্লাড ব্যাংক ও আড়াইশো বেডের হাসপাতাল। শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ হাসপাতাল চত্বরে গ্রীন সিটি মিশন এর ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় নতুন ভাবে সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ কুমার মৃধা র সামনে একথা বললেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌর পতি তথা কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ এর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে এতদিন পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ছিল না, ফলে সাধারণ মানুষদের ভীষণ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হতো এতদিন। কিন্তু শহর বাসিন্দাদের কথা চিন্তা করে আজ সে সমস্যার দূর করলেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর এর সহযোগিতায় ।আজ থেকে পৌরসভার দেওয়া সেই উচ্চ বাতিস্তম্ভের আলোয় আলোকিত হবে হাসপাতাল চত্বর ।তাই এবার তার দাবি আড়াইশো বেডের হাসপাতাল ও সাথে একটি ব্লাড ব্যাংক ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পৌরপতি অনুষ্ঠানের আশা প্রকাশ করে বলেন, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মির্ধার সামনেই যেভাবে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে পরিশ্রম করে চলছে তা খুবই প্রশংসাযোগ্য ।তাই তার আশা এবার আড়াইশো বেডের হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাঙ্ক করে দেবেন কালিয়াগঞ্জ বাসির স্বার্থে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক। পৌরোপতি আরও বলেন আজ কালিয়াগঞ্জ শহরের দীর্ঘ ত্রিশ বছরে কোন উন্নয়ন হয়নি, হাসপাতালে পরিষেবা থেকে শহরের উন্নয়নের সব দিক দিয়ে সিপিএম ও কংগ্রেস শহরকে স্তব্ধ করে রেখেছিল। এখন আর পিছনে তাকানোর সময় নেই। এখন এগিয়ে বাংলা, এগিয়ে কালিয়াগঞ্জ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অনুপ্রেরণায় এখন কালিয়াগঞ্জ শহর প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এখন মানুষ বলতে পারছে কালিয়াগঞ্জ একটা পৌর শহর ।পৌরোপতি কাত্তিক চন্দ্র পাল বলেন গত দু’বছর আগে অব্দি কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল শুধুমাত্র নামেই ছিল। কিন্তু তিনি যেদিন থেকে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান সেদিন থেকেই তার ইচ্ছা ছিল কালিয়াগঞ্জ বাসীর দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন কালিয়াগঞ্জ এর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল ফিরিয়ে আনার জন্য। এজন্য তাকে বহু জায়গায় যেমন দরবার করতে হয়েছে তেমনি কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে পরিকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপারে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তার সাথে তার তর্ক বিতর্ক লেগেই থাকত ।পরে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে পরিকাঠামো উন্নয়নের জোর দেন আজ আর কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে ডাক্তারের সমস্যা নেই। বর্তমানে কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে এখন 15 জন ডাক্তার রয়েছে, চালু হয়েছে ইসিজি ব্যবস্থা খুব শীগ্রই ২৪ ঘন্টা চালু হতে চলছে সিজার ব্যবস্থা ।এর পাশাপাশি হাসপাতালে এতদিন যে নাচো কর্মীর ঘাটতি ছিল সেটাও এখন মিটে গিয়েছে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের তৎপরতায় । পরবর্তীতে বলেন এখন আর শুধুমাত্র কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হয় তা নয় এখন পার্শ্ববর্তী জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর কুশমন্ডি ও হরিরামপুর থেকেও রোগী এসে ভর্তি হয় কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে তাই এই হাসপাতালে এখন ভীষণ চাপ বেড়ে গেছে। পরবর্তীতে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে আগামী দিনে আরো নতুন কিছু অপেক্ষা করছে কালিয়াগঞ্জ বাসির স্বার্থে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});