জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের আদিবাসী পড়ার কচিকাঁচদের নিয়ে বাড়িতে গিয়ে ক্লাস নেবার অভিনন্দনযোগ্য প্রয়াস-
1 min readজেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের আদিবাসী পড়ার কচিকাঁচদের নিয়ে বাড়িতে গিয়ে ক্লাস নেবার অভিনন্দনযোগ্য প্রয়াস–
তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ(উত্তর দিনাজপুর)--বিদ্যালয়ের জেলা পরিদর্শক এমন নিষ্ঠাবান হলে তাকে দেখেও অনেক শিক্ষক শিক্ষিকাগন উৎসাহ পেয়ে থাকে। লকডাউননের জেরে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব বন্ধ থাকলে কি হবে যদি আন্তরিকতার অভাব না থাকে তাহলে অনেক অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করতে সময় লাগেনা।আর তাইতো গুটিকয় শিক্ষকের সাথে খোদ প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের
উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দীপক কুমার ভক্ত শনিবার নিজেই রায়গঞ্জ ব্লকের মহেশপুর আদিবাসী পাড়ায় বাড়িতে গিয়ে এলাকার ছেলে মেয়েদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা ও ক্লাস নিলেন।তিনি ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেন করোনার লকডাউন চলায় তোমাদের পড়াশোনার খুবই অসুবিধা হচ্ছে বুঝতে পারছি।কিন্তূ একদম পড়াশোনা বন্ধ করে রাখলেতো চলবেনা।তাই যতদিন এই অসুবিধা থাকবে আমরা তার মধ্যেই দিন কয় পরপর আমরা আসবো এবং তোমাদের নিয়ে ক্লাস করবো।জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দীপক কুমার ভক্ত ছাত্র ছাত্রীদের করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে গিয়ে বলেন করোনা ভাইরাস একটি সংক্রামক অসুখ।তোমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে এই সময়।প্রত্যেকেই সবসময় মাস্ক পরে থাকবে।বাইরে বের হয়ে কোন খাবার একদম খাবেনা।প্রতিদিন ভালো করে হাত ধুতে হবে হ্যন্ড স্যানটাইযার দিয়ে।এদিন মহেশপুর আদিবাসী পাড়ার অভিভাবক মন্টু হেমরমের বাড়িতে মোট চারটি ক্লাস হয়।এদিন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দীপক কুমার ভক্ত ছাত্র ছাত্রীদের হাতে বই, খাতা,কলম তুলে দেবার সাথে সাথে একটি করে মাস্ক পরিয়ে দেন।জানা যায় রায়গঞ্জ পূর্বচক্রের মহেশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক চন্দন দাস এবং অভিষেক দাস আদিবাসী ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাস নেন।তারা নিয়মিত ক্লাস নেবেন বলেও জানান।পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান সাংবাদিকদের জানান আগামী বুধবার রায়গঞ্জ ব্লকের মহিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষনিয়াতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ক্লাস নিতে যাবেন বলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক তাকে জানিয়েছেন।জানা যায় গত ২৯শে মে প্রথম কালিয়াগঞ্জ ও হেমতাবাদে এই ভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্লাস নেবার সূচনা হয়।