আশি বছর বয়সেও বৃদ্ধ ভাতা পাবার আশায় দুয়ারে দুয়ারে তদ্বির করেও নিরাশার যন্ত্রনায় মৃৎশিল্পী গোপেন পাল-
1 min readআশি বছর বয়সেও বৃদ্ধ ভাতা পাবার আশায় দুয়ারে দুয়ারে তদ্বির করেও নিরাশার যন্ত্রনায় মৃৎশিল্পী গোপেন পাল-
তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ(উত্তর দিনাজপুর)–কথায় বলে তেলা মাথায় তেল দেওয়া আমাদের স্বভাব।আর এই স্বভাবের আজও পরিবর্তন না হওয়ায় যাদের মাথায় তেল নেই তাদের মাথায় তেল দেবার জন্য লোকের বড়ই অভাব এই সমাজে।এমনই একজন তেলহীন মাথার মানুষ
কালিয়াগঞ্জের মুস্তাফা নগরের পাল পাড়ার ৮০ বছরের গোপেন পাল।হত দরিদ্র মৃৎশিল্পী গোপেন পাল বলেন তাদের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের এমন অনেক মানুষ সরকার থেকে বৃদ্ধ ভাতা পায় যাদের জমি জমা পাকা বাড়ি সবই ঈশ্বরের কৃপায় আছে।অথচ আমার একটি ভাঙা বাড়ি আছে
,নেই জমিজমা,সামান্য মৃৎশিল্পের কাজ করে দারুন অনটনের মধ্য দিয়ে চললেও আমার মত বৃদ্ধ মানুষের অসুবিধার কথা শোনার মত কোন মানুষকে দেখিনা।আশি বছরের বৃদ্ধা গোপেন পাল জানান সরকার বলে ষাট বছর হলেই বৃদ্ধ ভাতা পাওয়া যাবে।কিন্তু কোথায় সেই সরকারি নির্দেশে কাজ হচ্ছে?আমি দেখছি যাদের বৃদ্ধ ভাতা পাবার কথা নয় তারাই এসব জোগাড় করে নিচ্ছে স্থানীয় নেতাদের সাহায্যে।আসলে বাবা,আমার মত গরিব মানুষের পাশে কে দাঁড়াবে? আসলে কথায় আছে তেলা মাথায় তেল দেওয়া আমাদের স্বভাব।
সেটাই পুরোদমে চলছে।কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার তিনি গরিবদের সরকারি সাহায্য পাবার কথা বললেও কোথায় পাচ্ছি?গোপেন বাবু দুঃখ করে বললেন এবারের মত আমার কপালে বৃদ্ধ ভাতা পাবার মত কোন সুযোগ আর দেখছিনা।আবার যদি পৃথিবীর মুখ দেখার সুযোগ পাই তাহলে পরবতীতে দেখা যাবে বলে তিনি বলেন।গোপেন বাবু বলেন কতবার এই বৃদ্ধ ভাতা পাবার জন্য মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে গিয়ে বলেছি,আমার শরীরতো দেখছেন।আমি কিছুদিন আরো বাঁচতে চাই।আমাকে একটু সাহায্য করেন।কিন্তু না এরা নিজেদের দলের লোক ছাড়া কিছুই বোঝেনা।বয়সের ভারে কাজ করার ইচ্ছা না হলেও জোর করে মনের সাহসে এখনো মাটির কাজ করে চলেছি পেটের তাগিদে।গোপেন বাবু বলেন আমার বাড়ির সামনে দিয়েই সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের যাওয়া আসা।আমি কি কষ্টের মধ্যদিয়ে বেঁচে আছি একবারের জন্যও কি তারা আমার খোঁজ নিতে পারেনা?,আসলে বেছে বেছে শুধু তৃণমূল দলের লোক হলেই এই সুযোগ সুবিধাগুলো তারাই পেয়ে থাকে বলেই গোপেন বাবুর অভিযোগ।তবে নেতাদের মধ্যে কোন সহৃদয় ব্যক্তি যদি আমার মৃত্তুর পূর্বে এই অশীতিপর বৃদ্ধের জন্য বেঁচে থাকার জন্য একটি সরকারি ভাতা করে দিতে পারে তাহলে মৃত্যুর পরে আর আক্ষেপ থাকবেনা আমার।