কালিয়াগঞ্জ শহরে ঢুকে পড়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার
1 min readকালিয়াগঞ্জ শহরে ঢুকে পড়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার
তনময় চক্রবর্তী করোনা আতঙ্কের মাঝে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ঢুকে পড়েছে কালিয়াগঞ্জ শহরে। কি ভয় পাচ্ছেন নাকি? একদম পাবেন না আপনাদের আনন্দ দিতে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা এবার রয়েল বেঙ্গল টাইগার এনেছে।
আর সেটা দেখতে আপনাকে একবারের জন্য আসতেই হবে কালিয়াগঞ্জ শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হাসপাতাল পাড়া তিস্তা কলোনি তে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা র স্বপ্নের বিনোদন পার্কে।
কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে শহরের হাসপাতাল পাড়ায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি হচ্ছে এই বিনোদন পার্কের কাজ। যেখানে গেলে আপনি স্বচক্ষে একদিকে যেমন দেখতে পাবেন রয়েল বেঙ্গল টাইগার, তেমনি দেখতে পাবেন হাতি, বিলুপ্ত প্রজাতির ডাইনোসর সহ আরো অনেক জন্তু জানোয়ারদের। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খেলনা রয়েছে সেখানে।
তবে আশ্চর্যের বিষয় যেখানে রয়েল বেঙ্গল টাইগার কে রাখা হয়েছে ঠিক তার পাশেই নিজের জীবনকে বাজি রেখে ফুচকা ওয়ালা দেদারছে ফুচকা ও বিক্রি করছে এই লকডাউন এর মধ্যেও । কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার এই অভিনব উদ্যোগ খুশি কালিয়াগঞ্জ এর নাগরিকরা।লোকে বলতো যে জায়গা
কিছুদিন আগে অব্দি ও নাকি ভুতুরে জায়গা ছিল, আজ সেই জায়গা তেই এবার মানুষকে বিনোদন দিতে এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা বিনোদন পার্ক এর মাধ্যমে। আর যেখানে আশ্রয় নিয়েছে বনের হিংস্র পশুরা।
আর সেই সমস্ত হিংস্র পশুদের সামনে দেখা যাচ্ছে এক ফুচকাওয়ালা কে ফুচকা বিক্রি করতে। তবে ভয় পাবেন না আপনারা এই হিংস্র পশু দের কথা শুনে। এই জন্তুরা কেউই অবশ্য জীবন্ত অবস্থায় নয় এরা সবাই এখানে আছে প্রতীকী হিসাবে। করোনা আতঙ্কের জেরে সবাই যখন গৃহবন্দী ঠিক এরা তখন চুপচাপ করে ঢুকে পড়েছে কালিয়াগঞ্জ এর ১২ নং ওয়ার্ডে কালিয়াগঞ্জ বাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের বিনোদন পার্কে।
একটা সময় যে তিস্তা কলোনিতে বিষধর সাপ ও ভুতের আতঙ্কে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছিল সেই এই তিস্তা কলোনি তেই তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা তৈরি করছে বিনোদন পার্ক।যার শিলান্যাস করেছিলেন ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য।আর কিছুদিনের মধ্যেই শহরের নাগরিকরা এখানেই যাবেন একটু মন পরিবর্তন করতে একটু বিনোদন নিতে।
লকডাউন এর আগে থেকেই বিনোদন পার্ক এর কাজ শুরু হয়েছিল। যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে সেই কাজ চলছিল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কিছুদিন আগেই এই বিনোদন পার্ক সকলের উদ্দেশ্যে খুলে দিতে পারতো কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা। কিন্তু অদৃশ্য এক শত্রু ভাইরাস এর আক্রমণে থমকে গিয়েছে এই বিনোদন পার্কের ফিনিশিং টাচ।
আস্তে আস্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজ্যে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞে এবং উন্নয়নমূলক কাজে ছাড় দিয়েছে সরকার গত পয়লা জুন থেকে। ফলে পার্কের কাজ আবার শুরু হয়ে যায়। আজ বিনোদন পার্কের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে সেখানে চলে যান কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার নতুন প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল তার বিশ্বস্ত দুই সৈনিক সমাজসেবী অমিত দেবগুপ্ত ও পুরসভার কর্মী চন্দন ঘোষ কে সাথে নিয়ে। সেখানে গিয়ে কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখার পর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, ,লকডাউন না থাকলে এই কাজ সম্পন্ন হয়ে যেত এবং জনসাধারণের উদ্দেশে এতদিন খুলে যেত এই বিনোদন পার্ক।
কিন্তু লকডাউন এর জন্য পুরো কাজটি থমকে গিয়েছে। যারা বাইরের শ্রমিক কাজ করছিল তারা চলে গিয়েছে। পুনরায় সেই কাজ শুরু হচ্ছে। তিনি বলেন পার্কের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।আর যতটুকু বাকি আছে সেটাও দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হয়ে যাবে খুব তাড়াতাড়ি।
প্রশাসক বলেন একটি পার্কে যা যা দরকার সব কিছুই রয়েছে এই বিনোদন পার্কে।বাচ্চাদের খেলনা থেকে আরম্ভ করে বয়স্কদের জন্য আলাদা বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে এই পার্কের মধ্যে। এছাড়া স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য তারা এই পার্কেই বন্দোবস্ত করেছে জিমনেসিয়ামের।
কার্তিক বাবু বলেন বাহারি ফুলের বাহারে সৌন্দের্যের শোভাবর্ধন হবে বিনোদন পার্কের চারিদিক। সবশেষে তিনি বলেন এই পার্ক টি করতে প্রায় তিন কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এদিকে এই পার্কটি
হওয়ায় কালিয়াগঞ্জ এর মানুষ ভীষণ খুশি তারা বলেন তারা গত ৩৫ বছরে সিপিএমকে এবং কংগ্রেসকে দেখেননি এই ধরনের কোনো উদ্যোগ নিতে।আজ সেটা করে দেখিয়ে দিয়েছে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা ।
শহরের নাগরিকরা এইজন্য ধন্যবাদ জানান কালিয়াগঞ্জে নতুন প্রশাসক ।কার্তিক চন্দ্র পালকে।
তারা সকলেই বলেন এই পার্ক চালু হয়ে গেলে কালিয়াগঞ্জ এর চেহারা আমূল পরিবর্তন ঘটবে।