অবশেষে মুক্ত হল কালিয়াগঞ্জ এর থানাপাড়া। জামাইষষ্ঠীর আগেই জামাইদের মধ্যে খুশি হওয়া।
1 min readঅবশেষে মুক্ত হল কালিয়াগঞ্জ এর থানাপাড়া।জামাইষষ্ঠীর আগেই জামাইদের মধ্যে খুশি হওয়া।
তন্ময় চক্রবর্তী ঃ- জামাইষষ্ঠীর আগের দিন খুশির খবর দিল প্রশাসন কালিয়াগঞ্জ থানা পাড়ার বাসিন্দাদের। আজ থেকে খুলে গেল কনটেইনমেন্ট জোনের বিধি নিষেধ। ফলে খুশির হাওয়া এ পাড়ার জামাইদের মধ্যে।কালিয়াগঞ্জ এর করণা পজিটিভ প্রথম যেদিন ধরা পড়ে সেটি ছিল যে স্থানের নাম সেটি থানাপাড়া।
একেতেই দেশজুড়ে লকডাউন এর প্রভাবে এই থানাপাড়ার বাসিন্দারা আগে থেকেই গৃহবন্দী ছিলেন।তবে মাঝেমধ্যে দিনের বেলায় সরকারি বিধি নিষেধ মেনে অনেকেই এদিক-ওদিক তাদের নিত্য
প্রয়োজনে যাতায়াত করতো। কিন্তু নিয়তির কি পরিহাস করনা পজিটিভ প্রথম এখানেই ধরা পড়ে এক ব্যক্তির। ফলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক বেড়াজালে আটকে পড়ে এখানকার বাসিন্দাদের থাকতে হয়েছে পুরো ১৪ দিন একেবারেই ঘরের মধ্যে।
কারণ পূর্ব-পশ্চিম উত্তর-দক্ষিণ সব দিকেই ছিল পুলিশের ব্যারিকেড। কোন অবস্থাতেই নিয়ম ভাঙা যাবে না।তাই সকলেই সুন্দরভাবে নিয়মের মধ্যেই এই কয়টা দিন গৃহবন্দী ছিলেন।কিন্তু আজ ঠিক জামাইষষ্ঠীর আগের দিন তাদের এই নিয়মের বেড়াজাল সরকারিভাবে উঠে যাওয়ায় এ পাড়ার বাসিন্দারা বেজায় খুশি। তাদের অনেকের মুখে শুনতে পারা গেল যাক এবার জামাইষষ্ঠীতে তাহলে মার গেল না।
এপারার অনেকেই এবার যেতে পারবে এদিক ওদিক আর পাঁচজনের মতো জামাইষষ্ঠী করতে। তবে যে সমস্ত জামাইরা অন্য জায়গা থেকে আসবে পারায় তারা কিঞ্চিৎ হলেও একটু কিন্তু ভয়ে ভয়ে থাকতে পারে।
তাই সেই ভয় দূর করতে এবার এগিয়ে এলো কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা। আজ সকাল থেকে থানাপাড়ার কনটেইনমেন্ট জোন উঠে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার তরফ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গোটা এলাকা জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে এলাকাকে চাঙ্গা করে তোলা হয় ।
যাতে আর কোন জীবাণু এই এলাকার মানুষকে গ্রাস করতে না পারে ভয় দেখাতে না পারে। আর এহেন কাজে পৌরসভার উদ্যোগে বেজায় খুশি থানা পাড়ার বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য এই ১৪ দিন যে ভাবে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা তাদের পাশে থেকে তাদের সহযোগিতা করেছে তা তারা চির কৃতজ্ঞ।সকলেই ধন্যবাদ জানান তরুণ উদ্যমী কালিয়াগঞ্জ এর নতুন প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পালকে। এলাকার মানুষরা বলেন, পৌরসভা তাদের সব দিক দিয়ে সহযোগিতা করেছে তাদের ভূমিকার তুলনাই নেই।
আবার অনেকেই মজা করে বললেন যাক তারা এক দিক দিয়ে খুব খুশি যে জামাইষষ্ঠীর আগের দিন তাদের উপর থেকে বিধি-নিষেধ উঠে যাওয়ার জন্য। এ পাড়ার অনেকেই নতুন জামাই হয়েছেন এবছর । তাই তারা খুব চিন্তায় ছিলেন কি হবে কি হবে। কিন্তু অবশেষে জামাই ষষ্ঠী জয়ী হলো করোনার কাছে। উঠে গেল কালিয়াগঞ্জে থানাপাড়ায় আজ থেকে কনটেইনমেন্ট জোন।এদিকে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার নতুন প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, কালিয়াগঞ্জ এর থানাপারার কনটেইনমেন্ট জোনের বাসিন্দারা কোন অবস্থাতেই তাদের কোন অসুবিধার মধ্যে পড়তে না হয় এ কদিন সবদিক দিয়ে খেয়াল রেখেছিলেন তারা। তিনি খুব আনন্দিত এপার যে ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছিল সে যেমন সুস্থ হয়েছে তেমনি পাড়ার সকলে এই ১৪ দিন খুব সুন্দর করে সরকারি বিধি নিষেধ গুলো মেনে গৃহবন্দী ছিলেন। তাই পৌরসভার পক্ষ থেকে এই পাড়ার সকলের শুভ কামনা করেন এবং শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন আজ এই পাড়া থেকে যখনই কনটেইনমেন্ট জোন উঠে যায় তখন থেকেই পৌরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরে কর্মীরা সেখানে যায় নজরদারি করেন যেমন তেমনি পৌরসভার সাফাই কর্মীরা জীবাণুনাশক স্প্রে করে দেওয়া হয় সমগ্র এলাকাতেই।