লক ডাউনের জেরে এবারে বঞ্চিত জামাই আদর।
1 min readলক ডাউনের জেরে এবারে বঞ্চিত জামাই আদর।
পিয়া গুপ্তা মনে সুখ নেই শাশুড়ি কুলের। জামাইকে ঘরে থেকে আসন পেতে হাতপাখা হাতিয়ে নিয়ে জামাইষষ্ঠী পালন করে অভ্যস্ত তারা। তবে এবার বিধির ঘর বাম। করোনা ও আমফান এই দুই এর জোড়া ফলায় বছরের এই একটি দিন যে জামাইকে বাড়ি ডেকে আপ্যায়ন করবে সেই উপায় নেই।গত দু-তিনদিনে বাজারের যা খবর এসেছে তাতে খেতের পর খেত উজাড় হয়ে যাওয়ায় ফল সবজিতে আগুনের আঁচ লাগতে শুরু করেছে।
কাল জামাই ষষ্ঠী। লকডাউন এর মাঝেই বাঙালির আরেক বড় উৎসব। নমঃ নমঃ করে হলেও যেসব জায়গায় ক্ষতির পরিমাণ কম, সেখানে জামাইয়ের কপালে একটু আশীর্বাদ জুটবেই। কিন্তু প্রশ্ন হল, জামাইয়ের শ্বশুরবাড়ি যাওয়া আটকাবে না তো!!এ ই সময় রাস্তায় বেরিয়ে যদি নিয়ম কেউ ভাঙেন ‘জামাই মানুষ’ বলে কি ছাড় পাবেন?রাজ্য সরকারও বলেছে লক ডাউনে নিয়ম না মানলে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেবে।
ফলে ষষ্ঠীর রসনা তৃপ্তি করতে গিয়ে নিয়ম ভাঙলে জেল-জরিমানা-হাজতবাস হতে পারে স্বাভাবিকভাবেই। তাই এই লকডাউনে জামাইষষ্ঠীতে এবার দূরে দূরে থেকে ভাব ভাবনা প্রণাম আশীর্বাদের বিনিময় সারতে হচ্ছে জামাই আদর। পেটপুজো ও জামাই আদর এবার উহ্যই থাকবে এই লকডাউনে র জেরে। তা বলে জামাই কুলের সঙ্গে শাশুড়িদের ফ্রি বৎসরের জনসংযোগ অবশ্য বাদ থাকবে না।কারণ ঘরে ডেকে পাঁচ পথ বেঁধে খাওয়াতে না পারলে ও ভিডিও কলে সম্পর্কের বাঁধন অটুট রাখতে চেষ্টা করে চলছেন শাশুড়িরা। তাই স্মার্টফোনে হাত পাকাতে শুরু করছেন তারা। কালিয়াগঞ্জ এর 13 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিল্পা চক্রবর্তী। বছর সত্তর ছুঁইছুঁই। স্বামী গত হয়েছেন বছর আটেক আগে। তবে কর্মসূত্রে মেয়ে জামাইরা থাকেন ভীন জেলায়।বছরের এই দিনটিতে সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে যান । ফাকা বাড়িতে গম গম করে নাতি-নাতনি রা। প্রতিবছর জামাইষষ্ঠীর দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন তিনি। বছরের এই দিনটিতে সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে যান। ফাকা বাড়ি গমগম করে নাতি-নাতনিদের হুটোপুটি তে। তবে এবার মন ভালো নেই তার। লকডাউন এ কোপ পড়েছে জামাইষষ্ঠীতে ও। যা নিয়ম করার তা জামাইষষ্ঠীর দিনই করতে হয়। যদিও এই বছর হল না মানে, তা আর হলই না। এই আচারের কোনও বিকল্প দিনক্ষণ নেই।”