October 24, 2024

বাধ্যতামূলক মুখে মাস্ক নামেই লকডাউনে নিরাপদ কোথায়।

1 min read

বাধ্যতামূলক মুখে মাস্ক নামেই লকডাউনে নিরাপদ কোথায়।

জয়ন্ত বোস, কালিয়াগঞ্জ।সোজা সাপটা ভাষায় আজকের প্রতিবেদনে আলোকপাত করছি এক নিরাপদে নিরাপত্তার কিছু বিষয় নিয়ে। বিশ্বে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা জীবন বাঁচানোর তাগিদে। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু মিছিল এবং লাখ লাখ মানুষের সংক্রামিত কে ঘিরে এক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের প্রতিটি দেশের শহর থেকে গ্রামে। কারন এক অজানা শত্রু নোবেল করোনা ভাইরাস। পশ্চিমবঙ্গের জনগন, ভারতের জনগন প্রতিনিয়ত খবরে দেখছে এই মারণ ভাইরাসের ছোবল, যেখানে ২৪ ঘন্টায় দুই হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এই নোবেল ভাইরাস। নেই কোনো প্রতিষেধক, নেই কোনো সঠিক রোগ নির্ধারণের ল্যাব টেস্ট পরীক্ষা।

বিশেষ করে এই ভারতের মাটিতে যেখানে জনসংখ্যা ১৩২ কোটি, প্রতি বর্গ কিলোমিটার হিসেবে ভারতে ৫৬০ জন, পশ্চিমবঙ্গে ১০২৬ জন এবং খোদ কলকাতায় কুড়ি হাজারের উপর। এই নোবেল ভাইরাস নাকি বায়ু বাহিত নয় কিন্তু জনে জনের সংস্পর্শেই ছড়িয়ে পড়ে জীবদেহে বাসা বাঁধছে এই অদৃশ্য অজানা শত্রু করোনা। তাই দেশের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রতিটি রাজ্য সরকারের সাথে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং সরকার এই সংক্রমনের হাত থেকে মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সরকারি নির্দেশ জারী করেছিলেন গত ২৪ মার্চ লকডাউন। আজকের এই প্রতিবেদন লিখতে গিয়ে ২২ দিন অতিক্রম হতে চলেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে পৃথিবীর সকল দেশের তুলনায় অধিক জনবহুল দেশ ভারতে এই ভাইরাসের ছোবলে সেই সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হন নি, তবে হতেই বা কতক্ষণ। এক সেকেন্ডে এই সংক্রমন যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পরতে পারে সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। স্থানীয় প্রসাশন সরকারি নির্দেশ সমানে মাইকিং করে জনগনকে সচেতন করছে লকডাউন মেনে চলার, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে বের না হওয়া, সোশ্যাল দূরত্ব বজায় রাখার, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ও স্যানিটেশন করা ইত্যাদি সতর্কতা এবং গতকাল থেকে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশ নামা। তবে এ কোন লকডাউন আমরা দেখছি ও মানছি। প্রথম প্রথম লকডাউনের দিনগুলো তে দেখলাম এক কড়া দাওয়াই। সঠিক ভাবে জনগন মানতে শুরু করলো। কিন্তু ২২ দিনের মাথায় এসে দেখছি সরকারি পদক্ষেপে এক গাফিলতি এবং এই গাফিলতির ফাঁক দিয়েই প্রবেশ করবে অজানা শত্রু। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির থেকেও বর্তমানে মানবজাতির কাছে আজ এক কঠিন পরিস্থিতি। মুখে মাস্ক লাগানোর নির্দেশ তো পাবলিক শোতে পরিনত হয়ে যাচ্ছে কারণ নামেই তো লকডাউন। একদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী করোনা সংক্রমনের প্রতিরোধে জনতার একতা দেখতে প্রদীপ বা মোমবাতি প্রজ্বলন করার আহ্বান করছেন ঠিক তেমনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনের কাছে বার্তা দিচ্ছেন কড়াকড়ি তবে বাড়াবাড়ি নয়। প্রত্যহ যেভাবে আমাদের দেশে, প্রতিটি রাজ্যে সংক্রমনের উর্ধ্বমুখী তাতে করে আগামী দিনে প্রদীপ, মোমবাতি জ্বালিয়ে একতা পরখ করার মানুষ কে পাওয়া যাবে কিনা কিংবা কড়াকড়ি,বাড়াবাড়ি কেন করা হলো না এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে না হয়। পৃথিবী তথা ভারতের তথা রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকার কথা বাদই দিলাম, তুলে ধরছি উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌর ও পঞ্চায়েত এলাকার কথা। আর এখানকার পরিস্থিতি দিয়েই অনুমান করা যায় সর্বত্র কি হচ্ছে। আর হবেই না বা কেন। সরকারের সব রকম প্রচেষ্টার মাঝে বাড়াবাড়ির অভাব। সকল স্তরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো আর্থিক পরিস্থিতির স্বীকার হচ্ছে, স্বীকার হচ্ছে দিন আনে দিন খায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো। সরকারি সাহায্য তারা পাচ্ছেন বটে কিন্তু সবকিছুই না। লকডাউনের কোনো রঙ নেই, লকডাউন গরীব বড়লোক মানে না, লকডাউন কোনো বিশেষ ধর্মের নয়, লকডাউন এই ধরনের ব্যবসায়ীর তো ঐ ধরনের ব্যবসায়ীর জন্য নয় সেটাও নয়। হ্যাঁ, নিত্য অতি অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের জন্য লকডাউনের বাহিরে। এই ছোট্ট শহর ও শহরাঞ্চলে নিত্যদিন দেখা যাচ্ছে রাস্তায়, বাজারে মানুষের সমাগম, আডডা, বাইক ও গাড়ি নিয়ে আঁতেল গিরি করে ঘুরে বেড়াতে। আর এই চিত্রপট কিন্তু সমগ্র রাজ্যজুড়ে, সমগ্র দেশ জুড়ে। তাহলে বলতে হয় নামেই কি লকডাউন ? আর মুখে মাস্ক কি পাবলিক শো নয়? কি পরিস্থিতিতে দেশের , রাজ্যের জনগন বিরাজ করছে তার সঠিক মূল্যায়ন কোথায়। আর এই ভাবেই যদি লকডাউনের নামে লকডাউন চলতে থাকে মুখে মাস্ক পরে তাহলে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে মানুষ দেখবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো মানুষের পরিনতির করুন দৃশ্য ভারতের , রাজ্যের মাটিতে। প্রদীপ, মোমবাতি জ্বলে উঠুক কড়াকড়ি বাড়াবাড়ি মধ্যে দিয়ে এক নতুন দিশায় , এক নতুন জীবন বেঁচে থাকার তাগিদে। পাবলিক শোকে প্রাধান্য না দিয়ে এই নোবেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এবং সংক্রমন থেকে বাঁচতে এখনি কড়াকড়ি বাড়াবাড়ি তে লকডাউন হোক, মুখে মাস্ক ব্যবহার হোক। নচেৎ আমাদের সকলের জীবন হারিয়ে যেতে বেশী সময় লাগবে না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *