মানবজাতি করোনার ছোবলে দিশেহারা তবে করোনার আশীর্বাদ প্রকৃতির কোলে।
1 min readমানবজাতি করোনার ছোবলে দিশেহারা তবে করোনার আশীর্বাদ প্রকৃতির কোলে।
জয়ন্ত বোস, কালিয়াগঞ্জ।প্রকৃতি তার নিজের ইচ্ছামতো চলে। চললেও মাঝে মাঝেই পৃথিবীতে প্রকৃতির কোলে নেমে আসে বিভৎসতা। কখনো বন্যা, কখনো টাইফুন, কখনো সুনামী , কখনো তুষারপাত, কখনো দাবানল আবার মাঝে মাঝেই আগ্নেয়গীরি। প্রকৃতি তার নিজের রুপ থেকে হারিয়ে যেতে বসে। প্রকৃতির বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রুপ মানবজাতি দেখে আসছে। আজ প্রকৃতি দেখছে মানবজাতির করুণ অবস্থা।
প্রকৃতির কোলে থেকে মানবজাতির ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের সোপান তৈরী হচ্ছে ততই প্রকৃতির কোলে নেমে আসছে এক গহন গভীর পলিউশন অর্থাৎ দূষন। এই দূষনের ছোবলে প্রকৃতি ঘখন তার নিজের রুপ হারিয়ে ফেলছে তখনই প্রকৃতির কোলে নেমে আসছে এক গভীর সংকট। মানবজাতির সৃষ্ট দূষনে প্রকৃতির কোল থেকে অক্সিজেন নামক মানবজাতির বেঁচে থাকার একমাত্র রসদ দূষিত হচ্ছে। সবুজায়নের সবুজ ফিকে হয়ে যাচ্ছে, পাখিদের কুজন কোথায় যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। একবিংশ শতাব্দীতে মানবজাতি তার নিজেদের বেঁচে থাকার তাগিদে প্রকৃতির উপর যথেচ্ছ পরিমান আঘাত হানতেও পিছপা হচ্ছে না।
আজ কিন্তু উল্টো পুরাণ। আঘাত নেমে এসেছে মানবজাতির কোলে। মানুষ মানুষকেই বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। মানবসভ্যতার যুগে পাথরে পাথরে ঘষে আগুন জ্বালানোর কৌশল সৃষ্টি থেকে পরবর্তীতে আগুন জ্বালানোর কতরকম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির আবিস্কৃত জিনিস মানবজাতি পেয়েছে কিন্তু আজ পৃথিবী থেকে মানবসভ্যতা কে জ্বালিয়ে শেষ করে দেওয়ার অন্তিম পর্যায়ে মানুষ পৌঁছে গেছে। নোবেল করোনা ভাইরাস এমনই একটি মানব সৃষ্ট জ্বালানি যার জ্বলনে জলছে গোটা বিশ্ব মৃত্যুর আশঙ্কায়, দিশেহারা মানবজাতি।
সমগ্র বিশ্ব জুড়ে আতঙ্কের বেড়াজালে একটা নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে বর্তমান গৃহবন্দী মানুষ করোনা ভাইরাসের ছোবলে, আর ঠিক এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের আশীর্বাদ প্রকৃতির কোলে। চারিদিক সবুজ আর সবুজ , ফিরে পেয়েছে প্রকৃতি তার নিজের গায়ের রং। কি অফুরান ফ্রেশ অক্সিজেন। হারিয়ে যেতে থাকা পাখিদের কুজন ঘড়ে গৃহবন্দি থেকেই শোনা যাচ্ছে, দেখা মিলছে তাদের অনাবিল আনন্দে পাখা মেলে উড়তে। এত বড় আঘাতের পরেও যদি মানবজাতি শিক্ষা না নেয় তবে আগামীতে পৃথিবীর রুপ দেখবার কেউ থাকবে না। আর এই প্রসঙ্গে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের একটি গানের কথা স্মরন হলো ” নীল আকাশের নিচে এই পৃথিবী, আর পৃথিবীর পরে ঐ নীল আকাশ,,,,,,,,,,তুমি দেখেছো কি ? “