উত্তর দিনাজপুর জেলার ৭টি ব্লকে বায়ো গ্যাস প্রকল্প চালু করতে চলছে জেলা প্রশাসন
1 min read(বর্তমানের কথা) ঃউত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট (এমজিএনআরইজিএ) এবং বর্ডার এরিয়া ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (বিএডিপি)প্রকল্পে জেলার চালু করতে যাচ্ছে সাতটি ব্লকে বায়ো গ্যাস প্রকল্প । ইতিমধ্যেই গোয়ালপোখর ব্লকে এই প্রকল্প সাফল্য পেয়েছে। সরকারি উদ্যোগে বায়ো গ্যাস ইউনিট চালুর বিষয়ে গ্রামাঞ্চলে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ন’টি ব্লকের মধ্যে ইটাহার এবং চাকুলিয়া বাদে চোপড়া, গোয়লপোখর, করণদিঘি, কালিয়াগঞ্জ, ইসলামপুর, রায়গঞ্জ ও হেমতাবাদ ব্লকের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে মোট ৭০০টি বায়ো গ্যাস ইউনিট তৈরি করা হবে। এর ফলে ৭০০টি পরিবার উপকৃত হবে। প্রত্যেকটি ব্লকে মোট ১০০টি করে ইউনিট করা হবে। প্রতি ইউনিটে বিএডিপি ফান্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা এবং এমজিএনআরইজিএ থেকে চার হাজার টাকা দেওয়া হবে। এক একটি ইউনিট বানাতে মোট ৫৪ হাজার টাকা খরচ করা হবে।
গোবরের মাধ্যমে বায়ো গ্যাস তৈরি হবে। যেসব পরিবার গবাদি পশু পালন করে সেসব পরিবারই বায়োগ্যাস ইউনিট বসানোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। জেলার গ্রামাঞ্চলের পরিবারগুলি রান্নার জন্য কাঠ, খড়কুটো, ঘুঁটে ব্যবহার করে। এর থেকে নির্গত ধোঁয়া পরিবেশের ক্ষতি করে। আর্থিক সঙ্গতি না থাকার কারণে ওই পরিবারগুলি জ্বালানি গ্যাস কিনতে পারে না। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গোবর ও অন্যান্য পচনশীল পদার্থ একটি নির্দিষ্ট চেম্বারের মধ্যে পচিয়ে তা থেকে গ্যস উৎপন্ন করা হয়। বাকি অংশ জৈব সার হিসেবে ব্যবহার হতে পারে।উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, বিএডিপি এবং এমজিএনআরইজিএ’কে মিলিয়ে জেলার সাতটি ব্লকে বায়ো গ্যাস স্কিম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই আমরা এই কাজ শুরু করব। এমজিএনআরজিএ প্রকল্পের উত্তর দিনাজপুরের নোডাল অফিসার শুভজিৎ গুপ্ত বলেন, গোয়ালপোখর ব্লকে আমরা সম্প্রতি বায়ো গ্যাস স্কিমটি চালু করেছিলাম। তাতে সাফল্যও মিলেছে। এখন সেখানে বায়ো গ্যাস ব্যবহার করে একটি পরিবার রান্না করছে। এবার ওই স্কিমে আরও ৭০০টি ইউনিট চালু করতে জেলাশাসক নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা দ্রুত তা চালু করব। গোয়ালপোখরের বিডিও রাজু শেরপা বলেন, ব্লকের কিলান গ্রামে বায়ো গ্যাসের একটি ইউনিট আমরা করেছি। এখন ওই গ্যাস ব্যবহার করেই একটি পরিবার রান্না করছে। এতে পরিবারটি জ্বালানি খরচ অনেকটাই কমিয়ে এনেছে।