রাজবংশী সমাজের প্রাণপুরুষ পঞ্চানন বর্মার জন্মদিবস অনুষ্ঠান
1 min readজয়ন্ত বোস , (বর্তমানের কথা) : ১লা ফাল্গুনের শুভলগ্নে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা মহকুমার খলিশামারি গ্রামে আজকের দিনে ইং ১৮৬৫ সালে এক জোতদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন পঞ্চানন বর্মা. আজ তার ১৫৩ তম জন্মদিবস . উত্তরবঙ্গ ব্যাপী সর্বত্রর সাথে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে হরিহরপুরে পঞ্চানন মোড়ে সাড়ম্বরে বিভিন্ন অনুষ্ঠনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো পঞ্চানন বর্মার জন্মদিন. উত্তরবঙ্গ তপশীলি জাতি ও আদিবাসী সংগঠন ( উতজাআস ) এর উত্তর দিনাজপুর জেলা শাখার পরিচালনায় পঞ্চানন বর্মার জন্মদিবস পালিত হলো . অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্জাআস এর সভাপতি রঞ্জনা রায় , জেলা শাখার সভাপতি বিপদভঞ্জন দেবশর্মা , অনুষ্টানের সভাপতি মণীন্দ্র নাথ রায়, কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার সিও জনার্দন বর্মণ , সংগঠনের একনিষ্ট সদস্য অবসরপ্রাপ্ত বিসিএফ অফিসার রমেন্দ্র নাথ রায় এবং অন্যান্য সদস্যগণ. প্রচুর জনসমাগমের মাঝে রঞ্জনা রায় ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার আবক্ষ মূর্তিতে মালা পরিয়ে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন. ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা সম্পর্কে বিভিন্ন জনেরা বক্তব্য রাখেন সেই সাথে গান , আবৃতি ও খন গান পরিবেশিত হয়.উত্তরপূর্ব ভারতের রাজবংশী সমাজের সংস্কার সাধনে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন পঞ্চানন বর্মা. পিছিয়ে পরা রাজবংশী সমাজকে দিয়েছিলেন ক্ষত্রিয়র মর্যাদা. রাজবংশীদের মধ্যে অধিকার সচেতনতায় সৃষ্ঠির লক্ষ্যে তিনি সংগ্রাম করেছিলেন.নিজ সম্প্রদায়ের উন্নতিকল্পে তার যোগ্য নেতৃত্ব এবং সরকারের কাজে সহযোগীতার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি “রায় সাহেব ” এবং Member of British Empire (MBE) উপাধিতে ভূষিত হন . কিন্তু এমন একজন মনীষীর জন্মদিনে সংগঠনের কতিপয় বক্তার বক্তব্যে ভাষাগত জাতি বিদ্বেষের ভাব ফুটে উঠে এমনকি খুবই উত্তেজিত স্বরে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার সিও জনার্দন বর্মণ বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাতিবর্ণ অর্থাত নিম্নবর্ণ ও উচচবর্ণ বিদ্বেষ ভাবকে জাগ্রত করে তুললেন. একটি সুন্দর খনগানের পরিবেশনের মধ্য দিয়ে ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার ১৫৩ তম জন্মদিবস অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়.